জামায়াত শিবিরের জন্য জাদুঘরে নতুন শোকেস বসানো হচ্ছে

ডাকপিয়ন
Published : 4 Oct 2011, 05:58 AM
Updated : 4 Oct 2011, 05:58 AM

যার ওয়াজ শুনে নিয়মিত স্বপ্নদোষ হয় এ দেশের প্রচুর মানুষের, সেই সেক্সী ইসলামী চিন্তাবিদ আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিচার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ের মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য তিনি এ বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। সাঈদীর করা সুনির্দিষ্ট ২০টি অপরাধকে সামনে রেখে তার বিচার শুরু হয়েছে।

বিচার শুরুর পরপরই এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলা ব্লগ সাইটগুলোতে। জামায়াত শিবিরের সমর্থকদের ব্লগীয় ভাষায় ছাগু নামে ঢাকা হয়। সাঈদীর বিচার প্রক্রিয়া শুরুর খবর মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচারের পরপরই ব্লগসাইটগুলো থেকে উধাও হয়ে গেছে শতশত ছাগু নিক। এ রিপোর্ট লেখার সময় জনপ্রিয় ব্লগসাইট বাঁধভাঙার আওয়াজ এ উল্লেখযোগ্য কোন ছাগুকে লগইন অবস্থায় দেখা যায়নি।

সারাদেশ থেকে আমাদের সংবাদকর্মীদের পাঠানো সংবাদে জানা যায়, এখনো কেউ শহীদ না হলেও প্রচুর শিবিরকর্মী আত্মহত্যা চালানোর চেষ্টা করছে। এবং অনেকেই দেশত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঢাকা-ইসলামাবাদ রুটে নতুন ফ্লাইট অন্তর্ভূক্ত করতে পারে বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ।

বিশেষজ্ঞরা আশংকা করছেন, এভাবে চলতে থাকলে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির তালিকায় চলে যাবে জামায়াত শিবিরের নাম। জীব বৈচিত্র রক্ষা এবং ছাগলের এ বিরল প্রজাতি সংরক্ষণে এখনই এগিয়ে না আসলে এক সময় পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে যাবে ঐতিহ্যবাহী এ ছাগলের পাল।

গতকাল বিকেলে দৈনিক মগবাজার কার্যালয়ের সামনে জামায়াত শিবিরকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার দাবিতে মানববন্ধন করে "দৈনিক মগবাজার সাংবাদিক শিবির"। মানববন্ধন শেষে বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ে এক স্মারকলিপি পেশ করা হয়। স্মারকলিপি গ্রহণ করার পর অতিসত্ত্বর জাতীয় যাদুঘরে জামায়াত শিবিরের জন্য ২টি শোকেস অন্তুর্ভুক্ত করার জন্য যাদুঘর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় মন্ত্রনালয় থেকে।

আজ সকালে যাদুঘর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, শোকেস দু'টির ব্যয় বহন করার জন্য দরপত্র আহবান করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক এবং ইবনে সিনা দরপত্র জমা দিয়েছে।