বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে ভোগান্তি

ডি. হুসাইন
Published : 13 April 2018, 04:25 AM
Updated : 13 April 2018, 04:25 AM

বিদ্যুৎ বিল আদায়ে স্বচ্ছতা ও গ্রাহকের ভোগান্তি দূর করতে প্রি-পেইড মিটার চালু করা হয় গত বছরের জুন মাস থেকে। আর প্রি-পেইড কার্ডে টাকা ভরাতে চরম ভোগান্তিতে পরছে সাধারণ জনগণ। গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসীর জীবন।

মোহাম্মদপুরের নুরজাহান রোডের ওয়ান ব্যাংকের সামনে ব্যাংক খোলার প্রায় এক দেড় ঘন্টা আগেই গ্রাহকদের বড় লাইন দেখা যায়।

শুধু নুরজাহান রোডের ওয়ান ব্যাংকই নয়, সম্পা মার্কেটস্থ মার্কেন্টাইল ব্যাংক, শ্যামলীর ওয়েস্টার্ন ব্যাংকসহ বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল সংগ্রহকারী প্রত্যেকটি ব্যাংকে গ্রাহকদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। মোহাম্মদপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দেখা যায় শতাধিক মানুষের লাইন।

চৈত্রের রোদে মাথা ঘুরে পড়ে যায় পঞ্চাশোর্ধ্ব এক মহিলা। ফুটপাতে দাঁড়িয়ে অনেকেই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরে। এক মহিলার সাথে কথা বলে জানা যায় ভোগান্তির কথা।

তিনি সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত দাঁড়িয় থেকেও বিল পরিশোধ করতে পাররেনি। আক্ষেপের স্বরে জানান, বারোটা বাজলে মেয়ের স্কুল ছুটি হয়ে যাবে তাকে বাসায় নিয়ে যেতে হবে। রান্নাবান্নার কাজ তো এখনো বাকিই রয়েছে । কয়েকঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকাটাই যেন পণ্ডশ্রম হলো। অনেকে ১০ থেকে ১২ টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে বিল পরিশোধ করতে পারেনা। কেননা ১২টার পরে ব্যাংকগুলো কোন বিল ( বিদ্যুৎ, গ্যাস,পানি) গ্রহণ করেনা।

রোদে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অনেকেই গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিল পরিশোধের এই সিস্টেমকে শাপশাপান্ত করতে লিপ্ত হতে দেখা যায়। অনেকেই আবার নতুন সিস্টেম কথাও বলছেন। তাছাড়া ব্যাংক কর্মচারীদের আচরণে অসন্তুষ্ট অনেকেই।

যতজন মানুষেই অপেক্ষা করে থাকুক না কেন ১২টার পর বিল নেওয়া বন্ধ করে দেয় ব্যাংকগুলো।

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী কথা ছিল অনলাইন ব্যাংকিং সেবা দানকারী ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ,পানি, গ্যাস বিল নেবেন। অথচ সব শাখায় ব্যাংকের পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার  উপায় নেই।

অনলাইনে বিল পরিশোধের ব্যবস্থা থাকলেও সেটা এখনো জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। তাছাড়া অনলাইনে বিল পরিশোধের পদ্ধতি এখনো সবার জানা হয়নি। মোবাইলে বিল পরিশোধের পদ্ধতিটাও সেরকমভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না এর  জটিল পদ্ধতির কারণে।

মোবাইলে টাকা রিচার্জ করার মত মোবাইলেও ঐ সব বিল পরিশোধ করা এখন অসম্ভব কোনো ব্যাপার না। এতে নগরবাসীর মূল্যবান সময় বাঁচবে, ভোগান্তিও কমবে বলে আমি মনে করি ।

তাই নগরবাসী এই ভোগান্তির আশু সমাধানে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।