জনতার জাগরণে নির্ভর করছে মুক্তি কখন আসবে

মাসুদ খানমাসুদ খান
Published : 3 Sept 2012, 09:28 AM
Updated : 3 Sept 2012, 09:28 AM

জনগণ জেগে উঠলে যে কোন প্রকারের স্বৈর-স্বিদ্ধান্ত যে রহিত করা যায় তাই প্রমান করলেন আন্দোলনরত (মেডিকেল এবং ডেন্টালে ভর্তি হতে ইচ্ছুক ) ছাত্র ছাত্রীরা । অভিনন্দন তোমাদের । দাবি আদায়ে যে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় ও যে কাজ হয় তাও প্রমান করে ছাড়ল ছাত্র ছাত্রীরা । তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে এটা তেমন কোন ইঙ্গিত বহন করে বলে অবশ্য মনে হয় না , কারন এরা যেমন ক্ষমতার মসনদে আরোহণের লোভ যেমন সামলাতে পারে না আবার ক্ষমতায় থাকার সময়ও ক্ষমতাকে টেনে লম্বা করার জন্য নানান স্বৈর স্বিদ্ধান্ত নিতেও কার্পণ্য বোধ করে না । কিন্তু এসব অজনপ্রিয় স্বিদ্ধান্ত যে বুমেরাং হতে পারে তা জেনেও না জানার ভান করে থাকে গণতন্ত্রের নামে ঘাপটি মেরে থাকা আড়ালে স্বৈর শাসকরা । আর যখন হুঁশ ফিরে তখন পেছনে ফিরে চাওয়ার সময় ফুরিয়ে যায় – যেটার পরিনতি সাদ্দাম, মোবারক,গাদ্দাফি বা বেন আলীর মত নিদারুন ভয়াবহে শেষ হয় ।

আমাদের দেশেও যে বড় দুই দলের কপালে এমন পরিনতি অপেক্ষা করছে । সরকারে আসার পরে বা বিরোধী দলে থাকার সময় দেশ বিরোধী নানান কু-কামে লিপ্ত থাকে এরা । ক্ষমতায় থাকাকালীন দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা খরচ করে হিংসাত্মক কর্মসূচীতে আর সরকারের চেলারা এসব প্রতিহত করে তার চাইতে দ্বিগুন বেশি ধ্বংসাত্মকভাবে । ভাবখানা এমন যে দেশটা হয়তোবা উত্তরাধিকার সুত্রে পাওয়া কারো পৈত্রিক সম্পত্তি , যা ইচ্ছা তা রুপায়ন করার পারমিশন দেওয়া আছে ।

সত্যের, ন্যায্যতার শক্তি এমন যে এটা ঠেকানোর বা চাপিয়ে রাখার কোন ঔষধ আজ পর্যন্ত আবিষ্কার হয় নি , হয়তোবা সাময়িক ভাবে এটাকে দমন নিপীড়ন করে স্তব্দ করা যায় কিন্তু এটা এক সময় ছাই চাপা আগুনের মত দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে আর সে আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায় স্বৈর শাসকরা ।

বুয়েটে চলমান আন্দোলনের তীব্রতার মুখেও পদত্যাগ করছেন না মেইড বাই গোপালগঞ্জ নজরুল ইসলাম । আর এটাকে সরকারের গুণ্ডা পাণ্ডারা দেখছেন শিবিরের আন্দোলন হিসেবে । এরাই বর্তমানে শঙ্কর জাতের ছাগু । আন্দোলনের গতি দেখে বুঝায় যায় ভিসি কে পদত্যাগ করতেই হবে কিন্তু শেষে হয়তোবা দৃষ্টিকটু ভাবেই হবে । কারন প্রায় সকল ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক , কর্মচারী যেখানে উনাদের চান না সেখানে কোন যুক্তিতে উনি এখনো স্ব-পদে বহাল আছেন তা ঠিক বোধগম্য না । আর উনি যদি মনে করে থাকেন গোপালগঞ্জ হলেই রক্ষা পাওয়া যাবে তবে তা হবে ছেড়া কাথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখার মত ।

সময়ের কাজ সময়েই সারতে হয় যেটা মাল আগেও না বুঝে দেশের সর্বনাশ করেছেন আবার সে পরিস্তিতি থেকে শিক্ষা না নিয়ে নির্লজ্জের মত আবারো একই ভুল করতে চলেছেন । সোনালি ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান বা সুপারিশ কোন ধারায় উনি নাকচ করলেন তা জানবার মন চাই ? না কি গায়ে মানে না আপনি মোড়ল ! পালা গানের মত বাহাস করে পার পাওয়া যাবে না , আবার ক্ষুদ্র ঋণ উনি প্রসার করেছেন এমন আজগুবি তথ্য যে ধোপে ঠেকে না তা নিয়ে উনি কি ভাবছেন আল্লাহ মালুম । যদি ভাবেন জনগণ কিছুই খবর রাখে না বা জানে না বা মনে রাখে না তাহলে তা হবে বোকার স্বর্গে বাস করার শামিল ।

আশা করি বড় দুই দল এমন রাষ্ট্র বিরোধী এবং স্বৈরচারী মনোভাব পরিহার করে জনতার কাতারে এসে জনগণের দুঃখ দুর্দশা লাগবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে ।

দ্রষ্টব্য – বিগত মাস খানেক ধরে প্রায় ই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়ার পেনাল্টি হিসেবে বর্তমান সরকারের আমলে পঞ্চম বারের মত দাম বাড়ানো হল ।