শিক্ষা নিয়ে কালে কালে এমন কথা বলা হয়ে থাকে মনে হয়। এতে কিছু যায় আসে না। সব কিছুই নিজের মত চলে। সাংবাদিক যাঁরা তাঁরা তাঁদের কাজ করেন। আর অন্য যাঁরা এই নিয়ে ভাবেন বা কিছু লিখতে চান তবে মনে হয় তাতে কিছু তেমন আগায় না শুধু নিজের ভালোলাগা ছাড়া ।
যেমন দেখেছি – আজ থেকে ২৩ বছর আগে এক এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরে জানলাম যে আগে নাকি কেউ একজন পাস করলেই দশ গ্রাম থেকে লোকজন দেখতে আসতো তাকে। আর এখন নাকি মানুষ পরীক্ষা দিলেই পাস করে আর ষ্টার মার্কস পেয়ে যায়।
তারও দশ বছর পরে একজন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকের কাছে জানলাম যে এখনকার ছেলেপেলে শুধু নোটই পড়ে। বইয়ের মলাটের চেহারাটা কেমন তা দেখেইনি তারা । জানতেও নাকি চায় না। যে প্রথম হয় সেও নাকি বইয়ের ধার দিয়েও যায় না। দশ বছর আগেও নাকি পড়াশুনাটা ভালই ছিল।
আর এখন গত এক যুগ ধরে পরিচিত বেশ কয়েকজন বন্ধু পর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক যাঁদের সাথে কথার এক পর্যায়ে জানতে পারি যে তাঁরা ছেলেপেলেদের তো গাধা ছাড়া ভাবেনই না।
তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ালো তা কি আর এত আলোচনার দাবি রাখে !
তবে মনে রাখতে হয় যে আমাদের সময়ের বিনোদন ছিল আলিফ লায়লা। আর এখনকার বিনোদন (কার্টুন ছবির মাঝে যা বিজ্ঞান আর প্রযুক্তি সম্মিলনে দেখায়) সান ম্যানুফ্যাকচারিং মেশিন। তফাৎটা কিন্তু এখানেও আছে !
সুতরাং, কি দিয়ে যে কি বিচার্য্য তা বোঝা মনে হয় আসলে সহজ কাজ নয়।