বেলকুচিতে বৈশাখী মেলার নামে এসব কী হচ্ছে?

দেবদুত
Published : 24 April 2011, 02:10 AM
Updated : 24 April 2011, 02:10 AM

সরকারি অনুমতি ছাড়াই সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে অবৈধভাবে চলছে বৈশাখী মেলা। বেলকুচির ছাত্রছাত্রীরা যে সময় উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে ব্যস্ত, সে সময় ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আলহাজ সিদ্দিক হাইস্কুলে এ মেলা শুরু হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস ১৪ এপ্রিল মেলার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর থেকেই সেখানে চলছে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়া। ১ সপ্তাহের ঘোষণা দেওয়া হলেও আয়োজকরা মেলার সময়সীমা বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে।

ভ্যারাইটি শোর নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়া। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালে কিভাবে প্রশাসন থেকে এ ধরনের মেলা চলতে দেওয়া হলো_ এ প্রশ্ন করেছেন অনেকেই।

বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জিয়াউল হক জানান, মেলায় কি হচ্ছে, তা আমার জানা নেই। এ ধরনের মেলার অনুমতি দেওয়া হয় জেলা প্রশাসন থেকে। সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, বেলকুচিতে বৈশাখী মেলার জন্য আদৌ অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি-না, তা আমার দফতরের সাধারণ শাখায় খোঁজ নিয়ে জানতে হবে। সাধারণ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোতাকাব্বীর আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, বেলকুচির মেলার জন্য অনুমতি তো দূরের কথা, এ পর্যন্ত কেউ আবেদনই করেনি। বেলকুচি আলহাজ সিদ্দিক হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহজাহান আলী সমকালকে বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের চাপে কোনো রকম উপায় না দেখে মেলা চালানোর জন্য জায়গা দিতে বাধ্য হয়েছি। মেলা পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী ফজলুল হক সরকার বলেন, একটু-আধটু উল্টাপাল্টা কাজকর্ম ছাড়া তো আর মেলা হয় না। এদিকে মেলার ভাগ-বাটোযারা নিয়ে আয়োজকদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল হক রেজা ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ আলীসহ তাদের ২৫ নেতা দলীয় পদ থেকে ইতিমধ্যেই সরে এসেছেন।

সুত্র- দৈনিক সমকাল
২৩-০৪-২০১১