এডমন্টন, আলবার্টা (কানাডা): গত ২ জুলাই আলবার্টা প্রদেশের এডমন্টন সিটি সাউথ এলাকায় সন্ত্রাসের প্রতি নিন্দা, ধিক্কার, প্রতিবাদ জানিয়ে এক জরুরী সভায় নেন স্থানীয় প্রবাসীরা। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কানাডা ইউনিট কমান্ডের অন্যতম নির্বাহী ও বাংলাদেশ হেরিটেজ সোসাইটির সাবেক সভাপতি, এবং বাংলাদেশ প্রেসক্লাব এর সভাপতি, দেলোয়ার জাহিদ।
পবিত্র মাহে রমজানে এমন জঘন্যতম হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা, এবং এহেন নৃশংসতা ও বর্বরতার বিরুদ্ধে জন প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য স্বদেশ ও প্রবাসে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানিয়ে গুলশানে হামলা ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন মির্জা বশিরুল আলম, আহসান উল্লাহ, মাহিনুর জাহিদ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের (এমজেএমএফ) বাংলাদেশ স্পোর্টস ক্লাবের সভাপতি, হায়দার জান চৌধুরী, আনামুর রহমান, তানভীর হাসান, সাইফ খালেদ, রাশেদুল চৌধুরী, এবং এশিয়ান নিউজ ও ভিউজের প্রকাশক সাইফুর হাসান।
যারা এ হামলার নগ্ন শিকার হয়েছেন তাদের আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করে এবং হতাহতদের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি শোক ও সহমর্মিতা জানিয়ে মোনাজাত করেন হায়দার জান চৌধুরী।
নাসিমা মির্জা প্রতিবাদীদের ইফতার ও খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করেন মির্জা পরিবারকে সহায়তায় ছিলেন রূপা চৌধুরী, সন্জীব চৌধুরী, সোনিয়া ইসলাম, তাবাস্সুম আনাম, গুলসান জেবিন, এলমা জাহিদ, ইসরাত জাহান, রায়হানা রাসমিন, রিয়া কারীন সোহা ইসলাম, এবং লুৎফুন্নেছা জাহিদ প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার জাহিদ সন্ত্রাসের প্রতি তার ভাষায় শুধু ধিক্কার, নিন্দা, ও প্রতিবাদ নয় বরং এর উৎস্যমূল অনুস্ন্ধান করতে হবে. পরিস্হিতি আন্তর্জাতিক. তিনি আহবান জানান এবং এর প্রতিকারে এখনই দ্রুত ও সংঘবদ্ধ প্রয়াসের উপর গুরুত্বারূপ করেন।
'এটি সন্ত্রাস নয়, এ যেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি অঘোষিত যুদ্ধ' দলমত নির্বিশেষে সকলে ঐক্যবদ্ধ না হলে দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে বলে হুসিয়ারী উচ্চারন করেন মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার। তিনি প্রবাসেও সন্দেহ ভাজন লোকদের উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখতে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দকে আহ্বান জানান ।