আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের আরো একটি অর্জন- বেগম জিয়ার বিদেশ সফর

আকাশের তারাগুলি
Published : 25 May 2011, 07:33 AM
Updated : 25 May 2011, 07:33 AM

আমাদের মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই মুহুর্তে রাজনৈতিক সফরে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তার আগেই উনি যুক্তরাজ্য রাজনৈতিক সফর ও ব্যক্তিগত সফর সম্পন্ন করিয়াছেন। দু এক দিনের মধ্যেই তিনি মিশন শেষে দেশে ফিরবেন। এরই মধ্যে আমরা জেনে গেছি উনার সফর সফল ও ফলপ্রসু হয়েছেন।

ব্রিটেন সফর কালে উনি ব্রিটিশ বাঘা বাঘ রাজনৈতিক নেতা, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্রাউনের সাথে সাক্ষাত করে রাজনৈতিক মতবিনিময় করেছেন এবং স্বদেশ প্রেমে উদ্বেলিত হয়ে তাঁদের কাছে বাংলাদেশ নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে। সরকারের নিপীড়ন নির্যাতন, মানবাধিকার লংঘন, বিচার বিভাগের আস্ফালন বিষয়ক চিত্র তুলে ধরেছেন। লর্ড অ্যাভেবুরি উনার এহেন উদ্বেগ আমলে নিয়েছেন এবং বিবৃতি প্রদান করেছেন। যদিও বিবৃতিতে তিনি এসব নিয়ে তার সরকারের সাথে লবিংয়ের ব্যপার নাকচ করে দিয়েছেন। তার মন্তব্য এরূপ ছিলো, বেগম খালেদা জিয়া সরকারে থাকার সময় আরো গুরুতর অভিযোগ ছিলো। এটাকে বাংলাদেশের নিজস্ব এখতিয়ারের মধ্যে ট্যাগ করে দিয়েছেন। যদিও লর্ড অ্যাভেবুরি একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন নন্দিত বিরোধী দলীয় নেত্রীর মুখের উপর এইভাবে নাকচ করে দেওয়াকে মোটেই সমর্থন দেয়া যায়না। লর্ড অ্যাভেবুরির এমন কাণ্ডে তীব্র নিন্দা জানাই।

তবে এইখানে বেগম খালেদা জিয়ার এবং দেশের সবচেয়ে বড় অর্জন সুদীর্ঘ কালে নির্বাসনে থাকা বাংলাদেশের রাজনীতির উজ্জলতম নক্ষত্র, তারুণ্যের স্বপ্ন গাঁথা, সফল গন সংগঠক, সততার প্রকৃষ্ট নিদর্শন(যদিও উনার নামে অনেক অভিযোগ বিদ্যমান, যে গাছে কুল থাকে সেখানেই ঢিল ছোড়া হয়), বাংলার মাহাথির, আধুনিক সিংগাপুরের স্বপ্নদ্রষ্টা যুবরাজ তারেক রহমানের সাথে সাক্ষাত, এবং সময় ক্ষেপণ। জাতি এর ভিডিও ফুটেজে এমন আবেগময় মুহর্ত দেখে গর্বিত। বেগম খালেদা জিয়াকে আশ্রয়হীন করার পর জাতি আরো একবার টিস্যুতে নয়নের জল মুছতে দেখলো।

লন্ডনের সফল সফর শেষে বেগম খালেদা জিয়া রওয়ানা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে। তিনি গত মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের সাথে সাক্ষাতের সময় সুচি নির্ধারিত ছিলো এবং সময় কালও নিদ্দিষ্ট ২৫ মিনিট ধার্য করা ছিলো। জাতি আশান্বিত ছিলো এই সাক্ষাতে বেগম জিয়া হিলারির কাছ থেকে আশ্বাস ও দিক নির্দেশনা পেতেন। দেশে বর্তমানে আওয়ামীলীগ সরকার যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে রেখেছে এবং হিলারির বন্ধু ডঃ ইউনুসের ব্যাপারেও আলোচনা হওয়ার কথা ছিলো। হিলারির নির্দেশ সত্বেও হাসিনা সরকার ইউনুসকে গ্রামীন ব্যাংক ছাড়া করেছে হাসিনার এই দুঃসাহসের ব্যপারেও একটা ব্যবস্থা নিয়ে ডঃ ইউনুসকে এমডি করার ব্যপারে অগ্রসর করানোর ব্যবস্থা হতো। কিন্ত হিলারী ক্লিন্টন আকস্মিক ভাবে ব্রিটেন সফরে চলে গিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়াকে তিনি এজন্য স্যরি বলেছেন, পরে সুবিধা মত সময়ে পুনরায় সাক্ষাত হতে পারে বলে আশ্বস্ত করেছেন। অথবা ব্রিটেনে থাকলে সাক্ষাতের সুযোগ করে নেয়া যেতে পারতো। দুর্ভাগ্য বাংলাদেশর যে বাংলাদেশ হিলারির সাক্ষাত পেলো না।

এরই মধ্যে হিলারির সাক্ষাত না পাওয়ার বেদনা ভুলিয়ে দিয়ে নিউজার্সি সিনেট নিয়ে এলো বেগম জিয়ার জন্য এক বিরল সম্মাননা যা অনেক গুলো পুরস্কার পাওয়া শেখ হাসিনা পর্যন্ত পাননি। নিউজার্সি (উচ্চকক্ষ) সিনেট সর্বসম্মত ভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে গণতন্ত্র, বিশ্বশান্তি, মানবাধিকার, সন্ত্রাস দমন, নারীশিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখ যোগ্য অবদান রাখার জন্য বিরল সম্মানে ভূষিত করেন। ডেমোক্র্যাট-দলীয় জিম হুইলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রধান বারবারা বুনো ও জ্যেষ্ঠ সিনেটর লরেটা ওয়েনবার্গ বিলটির ওপর বক্তব্য দেন। বেগম জিয়ার উপস্থিতিতে বেগম খালেদা জিয়ার বাছাইকৃত কীর্তি উপস্থাপন করা হয় এবং বেগম জিয়ার কর্মকাণ্ডকে অনুকরনীয় বলে উল্লেখ করেন। এ সময় সব সিনেটর দাঁড়িয়ে তাকে অভিনন্দিত করেন। বেগম খালেদা জিয়াও এমন সম্মাননা পেয়ে নিউজার্সি সিনেটকে ধন্যবাদ জানান।

বেগম জিয়ার এমন সম্মাননা লাভ বাংলাদেশের জনগনের আরেকটি বিশাল অর্জন। ডঃ ইউনুসের পর বেগম খালেদা জিয়া জাতিকে আরো একবার গর্বিত করেছেন

আগামীতে বেগম খালেদা জিয়ার শনৈঃ শনৈঃ অগ্রসরতা বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের দেশে পরিনত হবে।