একটি উদীয়মান নক্ষত্রের অবশ্যম্ভাবী পতন আসন্ন

আকাশের তারাগুলি
Published : 25 May 2011, 11:35 AM
Updated : 25 May 2011, 11:35 AM

খন্দকার দেলোয়ার হোসেন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ, নানান সমালোচনা, নানান অভিযোগ সত্ত্বেও আমৃত্যু বিএনপি হাল ধরে রেখেছেন। অসুস্থ অবস্থায় দলের সাংগঠনিক নেতৃত্ব দিয়েছেন, সীমিত আকারের হলেও। যাকে প্রতিনিয়ত নিজদলের সাথেই লড়াই করতে হয়েছে সবচেয়ে বেশী। শেষের দিকের কিছু কর্মকান্ডে বেশি সমালোচিত হলেও দলকে প্রচুর সম দিয়েছেন এবং সংগঠিত করার চেষ্টা করেছেন, দলকে সংগঠিত করার ও গতিশীল করাই যার প্রধান কাজ। অসুস্থ অবস্থায় সিঙ্গাপুরে তার প্রয়ান ঘটলেও তিনি সর্ব মহলে ব্যপক ভাবে সমাদৃতই ছিলেন, জানাজা শরীকের অংশ গ্রহণই বুঝা যায়।

মহাসচিবের মৃত্যুতে যুগ্ম মহাসচিবই হলেন ভার প্রাপ্ত মহাসচিব, সম্ভবত পদাধিকার বলে বা আশীর্বাদে। নিজেই নিজেক ঘোষনা করেন। যদিও বিএনপির কেউ কেউ এ বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করে বলেছিলেন যুগ্মমহাসচিবের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হবার কোনো বিধান নেই। এর পরেও কথা থাকে, কর্তার ইচ্ছেয় কর্ম। বিলেতের আশীর্বাদে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে স্থলাভিষিক্ত। দলের একটা অংশ মনে করেছে নতুন তারুণ্যের নেতৃত্ব এলো। আশান্বিত হলো। ১/১১র পরের ভংগুর বিএনপি সংগঠিত হয়ে গতিশীল হবে। বিরোধী দল হিসে যা অবসম্ভাবী। দলকে সরকারি আগ্রাসন থেকে মুক্ত রেখে গতিশীল করা। দলকে সুচারু রুপে পরিচালনা করা। কিন্তু সে আশা তিমিরেই রয়ে গেলো। ভারপ্রাপ্ত একটা অস্থায়ী পদ, তিনি এটাকে স্থায়ী রুপ দিতে দলকে গতিশীল না করে নিজেকে গতিশীল করার চেষ্টায় নিয়োজিত। দেশের কোথায়ও সাংগঠনিক কোন কর্মসুচী করছেন না। কিন্তু দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মনোরঞ্জনের জন্য পিলে চমকানো উক্তি, তেলবাজি, অপ্রয়োজনীয় কথনে ব্যস্ত। প্রতিনিয়ত ঢাকায় নিজের অবস্থানে বসে, কিংবা কোন সমাবেশে গিয়ে টিভি-মিডিয়ার সামনে উলম্ফন করে নিজেকে লাইমলাইটে আনতে গিয়ে দেশব্যাপী সংগঠন হিসেব বিএনপি থেকে নিজেকে বেশী উজ্জল করার প্রচেষ্টা কসরত করছেন। প্রতিদিন ক্যামেরা শো করছেন।
ইদানিং শোনা যায় বিলেত এসব দিকে নজর রাখছেন। সিনিয়ররাও বিরক্ত হয়ে পড়েছেন। যথাসম্ভব মান্নান ভুঁইয়ার মত কর্মঠ নতুন মহাসচিব খোজা হচ্ছে। এবং সব দিকে ভেবেই বি এন পি মহা সচিব নিযুক্ত করে বলে সবাই ধারনা করে যাতে শেষটা মান্নান ভুঁইয়ার মত না হয়।