আমরা শোকাহত-মিরসরাইয়ের কান্না

আকাশের তারাগুলি
Published : 12 July 2011, 04:11 AM
Updated : 12 July 2011, 04:11 AM

মিরসরাই স্টেডিয়ামে সোমবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের আবু তোরাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে মগাদিয়া অরফানেজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলা ছিল। আবু তোরাব উচ্চ বিদ্যালয়, আবু তোরাব ফাজিল মাদ্রাসা ও প্রফেসর কামাল উদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থীরা ভাড়া করা একটি ছোট ট্রাকে করে আবু তোরাব বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। চলতি পথে ট্রাক ড্রাইভার মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে ট্রাকটি চালাতে থাকে।শিক্ষার্থীরা বার বার নিষেধ কর সত্বেও ড্রাইভার মোবাইল ফোনে কথা বলতেই থাকে।

১৩ নম্বর মায়ানি ইউনিয়নের মধ্যম মায়ানি সৈয়দ আলী গ্রামে পৌঁছানোর পর চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে আরোহীসহ ট্রাকটি পাশের ডোবায় পড়ে যায়। স্মরণকালের মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ফুটবল খেলা শেষে ৮০ জনেরও বেশী সোনা মুখ নিয়ে রওয়ানা দিয়েছিলো ঘাতক ট্রাকটি। ড্রাইভারটি এতো গুলো পরিবারের স্বপ্ন নিয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে নুন্যতম সচেতনতা না দেখালে উল্টোদিক থেকে যাত্রীবাহি বাস আসলে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পার্শবর্তী খাদের পড়ে যায় এবং চাঁদমুখ গুলো নিয়ে চলে যায় তলানীতে যেখান থেকে ফিরতে পারেনি ওরা। সর্বশেষে ৪৩ জনের নীরব নিথর দেহ পাওয়া গিয়েছে আরো নিখোজ অনেক। প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্যমতে ৭/৮ জন প্রানে বেঁচেছে।

এই ভার তাদের পরিবার, মিরেরসরাই বাসী কেমন করে সইবে। কেমন করে সইবে এই দেশ।
শিশু গুলোর পরিবারকে কে কি বলে সান্তনা দিবে নাকি সান্ত্বনা দেয়ার আছে। আমরা তাদের পরিবার ও স্বজনদের এই শোকের পাহাড় বহিবার শক্তি কামনা করি।

আমাদের ড্রাইভাররাও মানুষ, কারো পিতা, কারো ভাই কিংবা কোন প্রিয় মুখের স্বজন। উনারা কি পারেন না উনাদের স্বজনের মুখপানে চেয়ে নিজেরা সচেতন ভাবে রাস্তায় গাড়ি চালাতে। পারেন না গাড়ি চলা মোবাইল ফোনে কথা বলা বন্ধ করতে।

প্রশাসন/সরকার কি পারে না চালকদের এহেন অসচেতনতা থেকে বিরত রাখতে।

আমাদের সকল শোক নিহত সোনামনিদের জন্যে।

আগামীকাল ১৩ই জুলাই বৃহস্পতিবার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শোক পালনের জন্য সরকারি ভাবে আহবান জানানো হয়েছে।