জাবির জিমনেসিয়ামে পুলিশ

দ্বিতীয় জীবন
Published : 7 May 2011, 06:17 PM
Updated : 7 May 2011, 06:17 PM

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মাত্র জিমনেসিয়ামটি দীর্ঘ নয় মাস যাবত শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য বন্ধ হয়ে আছে। দীর্ঘ নয় মাসে জিমনেসিয়ামটি পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার কারনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রয়েছে।

জানা যায়, গতবছরের জুলাই মাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১ মাসের জন্য জিমনেসিয়ামটি আর্মড পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প হিসেবে ব্যাবহারের অনুমতি দেয়। এ সময় আর্মড পুলিশের ১০০ জন সদস্যের একটি দল অস্থায়ী এ ক্যাম্পে অবস্থান নেয়।

এরপর, দীর্ঘ নয় মাস পার হয়ে গেলেও জিমনেসিয়াম থেকে পুলিশ সদস্যদের অপসারন করার কোন পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে জিমনেসিয়াম এ পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করার কারনে জিমনেসিয়ামে অনুষ্ঠিত নিয়মিত বাস্কেটবল প্রশিক্ষন সহ শরীরচর্চার সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করার কারনে এ বছর ইনডোর গেমস এর কোন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি। পরবর্তীতে হওয়ার সম্ভাবনাও অনিশ্চিত। প্রশাসন বিষয়টি বিবেচনা করলে আমরা আবার জিমনেসিয়ামে খেলাধুলা এবং শরীরচর্চা করার সুযোগ পেতাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. সিফাতুল্লাহ বলেন, জিমনেসিয়ামে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করার কারনে শরীরচর্চা এবং বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। তবে এ মাসের মধ্যে পুলিশ চলে গেলে কার্যক্রম শুরু করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, পুলিশ সদস্যদের ইতিমধ্যে জিমনেসিয়াম থেকে সরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেট সংলগ্ন আর্মড পুলিশ এর নব নির্মিত পুলিশ ফাঁড়িতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

তবে সরেজমিনে দেখা যায়, এখনো জিমনেসিয়াম থেকে কোন পুলিশ সদস্যকেই সরিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে নেয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত রিজার্ভ পুলিশের ২২ সদস্যের একটি দল সেখানে অবস্থান করছে।

জিমনেসিয়ামে অবস্থানরত আর্মড পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, গত জানুয়ারী মাস থেকে আমাদের বলা হচ্ছে নব নির্মিত ফাঁড়িতে নেওয়া হবে তবে ফাঁড়ি নির্মানের কাজ এখনো সমাপ্ত না হওয়ায় আমরা সেখানে স্থানান্তরিত হতে পারছি না। নির্মান কাজের ধীর গতির কারনে আরো দু এক মাস সময় বেশি লাগতে পারে।