মির্জা সাহেবের পুরস্কার কিচ্ছার গোমর ফাঁস

শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকশামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক
Published : 22 Feb 2012, 07:57 AM
Updated : 2 March 2022, 12:27 PM

বহুকাল আগে প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের একটি নাটকের কাহিনী ছিল এমন- একজন অসাধু-বিত্তবান ব্যক্তি নির্বাচনে জয়লাভের জন্য কিছু মাস্তান প্রকৃতির লোকের সমন্বয়ে একটি ভুয়া গোষ্ঠী দাঁড় করিয়েছে। তারপর নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে সেই গোষ্ঠীকে পরামর্শ দেয় তাকে যেন একটি ভুয়া সম্মাননা দেয় । কিন্তু ফল হয়েছিল বিপরীত। পুরো ব্যাপারটা হলো ভোটারদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি বিধায়- যারা তাকে ভোট দিতে চেয়েছিলেন, তারাও পরে বেঁকে বসেন। পরিণতি হলো পরাজয়। অনন্য মেধার অধিকারী হুমায়ূন আহমেদ এ ধরনের বহু নাটকের মধ্য দিয়ে সামাজিক অনাচারসমূহ ব্যাঙ্গাত্মকভাবে প্রকাশ করেছেন।

বাস্তবেও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায়ও ভুয়া পদক নিয়ে সুনাম কেনার দৃষ্টান্ত রয়েছে, যার একটি উগান্ডার প্রাক্তন স্বৈরশাসক ইদি আমিনকে নিয়ে। যে কথা বর্তমান সময়ের একজন নিষ্ঠাবান এবং সাহসী লেখক সৈয়দ বোরহান কবির সাহেব সম্প্রতি লেখা এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন। ইদি আমিনই একমাত্র উদাহরণ নয়। এ ধরনের ভুয়া পদক নিয়েছিলেন আরো অনেক রাষ্ট্রীয় কর্ণধার যাদের মধ্যে ইরানের পদচ্যুত শাহের নাম উল্লেখযোগ্য যিনি 'আর্য মহর' সম্মাননা ক্রয় করেছিলেন। বহু শতক পূর্বে গজনীর অত্যাচারী সুলতান মাহমুদ তার ক্রীতদাস পরিচয় থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সেকালের বিখ্যাত ফার্সি কবি ফেরদৌসিকে ষাট হাজার স্বর্ণ মুদ্রা দেওয়ার অঙ্গীকার করে বলেছিলেন তাকে প্রশংসাসূচক সম্মাননা জানিয়ে যেন কবি ফেরদৌসি একটি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন। ফেরদৌসি ঠিকই সুলতান মাহমুদের প্রশংসায় 'শাহনামা' কাব্য লিখেছিলেন যা ছিল সুলতান মাহমুদকে একটি সম্মাননা দেওয়ার মতোই।

কিন্তু পরে সুলতান মাহমুদ তার প্রতিজ্ঞা খেলাপ করে ষাট হাজার স্বর্ণ মুদ্রা দিতে অস্বীকার করে মূলত এটিই প্রমাণ করেছিলেন যে ক্রীতদাস রক্ত থেকে তিনি আসলে মুক্তি পেতে পারেননি। সে কারণেই কবি ফেরদৌসি বলেছিলেন, বিষ বৃক্ষের শেকড়ে যত মধুই ঢালা হোক, সে বিষাক্ত ফলই ফলাবে। কবি ফেরদৌসি আরও লিখেছিলেন- একজন ক্রীতদাস সুলতান হলেও তার দেহে ক্রীতদাসের রক্ত থাকবেই। ভারতে সুলতান আমলের অন্যতম কর্ণধার আলাউদ্দিন খিলজি নিজেকে আলেকজান্ডারের মতো বিশ্ববিজয়ী হিসেবে পরিচিত করার জন্য 'সেকেন্দার' (ফার্সি ভাষায় আলেকজান্ডার) পদবি পয়সা দিয়ে ক্রয় করলেও তিনি আলেকজান্ডারের মতো দ্বিগ্বিজয়ী হতে পারেননি। আমি লন্ডনে প্রবাসী থাকা সময়ে আমার এক পরিচিতজনকে দেখলাম একটি ঘটনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেছেন। পয়সার বিনিময়ে জনৈক বাংলাদেশিকে একটি ভৌতিক তথাকথিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি দিতে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নামিদামি কলেজের অডিটোরিয়াম ভাড়া করেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল একটি নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম ভাড়া করা হলে- সবাই মনে করবে ডিগ্রিটি সেই কলেজই দিয়েছে। সম্প্রতি বিএনপির করিৎকর্মা মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব এই মর্মে ঘোষণা দিলেন, যে তার নেত্রী খালেদা জিয়াকে কানাডার একটি সংস্থা 'মাদার অব ডেমোক্রেসি' সম্মানে ভূষিত করেছে। ঘোষণাটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন খালেদা জিয়াকে নোবেল পুরস্কারের কাছাকাছি কোন একটি পুরস্কার দিয়েছে কানাডা সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান, অথবা কানাডার একটি নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ যেভাবে একটি ভুয়া খবরকে সত্য বলে চালিয়ে যেতে পারতেন, মির্জা সাহেব সে দক্ষতা অর্জন করতে পারেননি। ফলে খালেদা জিয়াকে তথাকথিত সম্মাননা প্রদানকারী সংস্থা যে একান্তই নামসর্বস্ব একটি 'ফালতু' প্রতিষ্ঠান তা জানতে কারো অসুবিধা হয়নি। আমার দীর্ঘ বিলেত প্রবাস জীবনে আমি এই ভৌতিক সংস্থার নাম কখনোই শুনিনি। অনেক বিলেত, আমেরিকা এবং কানাডা প্রবাসীকে জিজ্ঞেস করলে তারাও বললেন- এই সংস্থার নাম তারা কখনো শোনেননি। যারা ওয়েব সাইটে এই সংস্থার ব্যাপারে খোঁজখবর করেছেন তারা দেখতে পেয়েছেন সংস্থার পরিচালনায় রয়েছেন শুধু একজন ব্যক্তি মাত্র, আর এর পেছনে রয়েছেন হাতেগোনা গুটিকয়েক বাঙালি। তারা দেখেছেন এই ভৌতিক সংস্থাও খালেদা জিয়াকে কোন সম্মাননা দিয়েছেন বলে কোনও উল্লেখ নেই। মির্জা সাহেবের ঘোষণাটি দেখে বিভিন্ন সময়ে ভুয়া সম্মাননা প্রাপ্তির কথাগুলোই মনে পড়লো, মনে পড়লো ভুয়া খেতাবপ্রাপ্ত এসব লোকদের অশুভ পরিণতির কথা।

স্কুলে পড়াশোনার সময় একটি ইংরেজি গল্প পড়েছিলাম, যার শিরোনাম ছিল 'অতি কথন লোকেরা সব সময়ই বিপদে পড়ে'। সেটি ছিল এক কচ্ছপ এবং দুইটি পাখির গল্প। পাখি দুইটি কচ্ছপকে উড়ালের মাধ্যমে অন্যত্র নেওয়ার আগে সাবধান করে বলেছিল ওড়ার সময় কথা না বলতে। কচ্ছপ সে সতর্কতা লংঘন করার ফলে নিচে পড়ে গিয়ে মৃত্যু মুখে পতিত হয়েছিল। মির্জা আলমগীর সাহেবেরও একই অবস্থা। ২০১৮ সালের এই তথাকথিত সম্মাননার কথা তিনি গত তিন বছর চেপে রেখেছিলেন সম্ভবত এটা অনুধাবন করে যে কানাডার একটি অজানা, অচেনা, অখ্যাত তথা ভুয়া সংস্থার সম্মাননা দেওয়ার কথা প্রকাশ করলে তিনি এবং তার নেত্রী উভয়েই ধীকৃত হবেন।

কিন্তু সেই কচ্ছপের মতো শেষ অবধি মুখ বন্ধ রাখতে না পারার পরিণতিতে তিনি এবং তার নেত্রী খালেদা জিয়া উভয়েই হুমায়ূন আহমদের সেই নির্বাচন প্রার্থীর অবস্থায় পতিত হয়েছেন। মির্জা সাহেব বোঝাতে চেয়েছিলেন এটি নোবেল পুরস্কার না হলেও, কাছাকাছি এবং প্রদানকারী কানাডার এক বিখ্যাত সংস্থা। কিন্তু আজকাল প্রযুক্তির উৎকর্ষের এ যুগে এ ধরনের ভুয়া খবর যে লুকিয়ে রাখা যায় না, মির্জা সাহেব তা বুঝতে পারেননি। নামসর্বস্ব 'কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন' যে আসলেই একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান, এর নাম যে কেউ কখনো শুনতে পায়নি, তা জানতে এ দেশের মানুষের কোন কষ্ট হয়নি।

সেদিন কানাডার সেই সংস্থার প্রধান, যার নাম মারিও গুইলম্বে, তার টেলিফোনে দেওয়া কণ্ঠস্বর শোনা গেল কানাডাভিত্তিক এক বাংলা অন লাইন চ্যানেলে। তিনি বললেন, খালেদা জিয়াকে ক্রেস্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল একান্তই মুমিনুল হক নামে তার তথাকথিত সংস্থার দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক নির্বাহী পরিচালকের। কাজেই সেই ব্যক্তিই সব কিছু জানেন এবং এই কারণ দেখিয়ে মারিও সাহেব আর টকশোতে হাজির হন নাই, কারণ তার ভাষায় এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। মারিও সাহেবের কথায় জানা গেল সংস্থাটি চার ব্যক্তির, অর্থাৎ তিনি, তার স্ত্রী, কন্যা এবং মুমিনুল হক সাহেব। মারিও সাহেবের মর্যাদা, পরিচয়, অভিজ্ঞতা যে শূন্যের কোঠায়, তাও পরিষ্কার হয়ে গেল। পরবর্তীতে সেই মুমিনুল সাহেব টক শোতে যখন মুখ খুললেন, তখন সে ব্যক্তির এবং তার তথাকথিত সংস্থার মর্যাদা এবং অবস্থান সম্পর্কে আর কিছু জানার বাকি থাকলো না। বাংলার সাথে তিনি ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা করাতেই তার আসল রূপ ধরা পড়ে গেল। ব্যাকরণগত ভুলসহ অতি নিম্নমানের ইংরেজি প্রমাণ করলো তিনি একজন অতি সাধারণ মানুষ। তার নিজের অভিজ্ঞতা, পড়াশোনা, পেশা, অতীত- এসব ব্যাপারে তিনি মুখ খোলেননি।

কয়দিন আগে খালেদা জিয়াকে ক্রেস্ট প্রদানকারি তথাকথিত কানাডার মানবাধিকার সংস্থার দাবিকৃত দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক নির্বাহী পরিচালক মামুনুল হকের এক সাক্ষাৎকার দেখলাম। সেটি প্রচার করেছিল 'ফেইস দ্য পিপল' নামক কানাডাভিত্তিক একটি বাংলা অনলাইন চ্যানেল। বাংলার সাথে সাথে তিনি মাঝে মাঝে ইংরেজিতেও কথা বলেছেন। তার অত্যন্ত দুর্বল এবং প্রায়ই ভুল ব্যাকরণের ইংরেজি শুনে তার সংস্থার মর্যাদা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া গেল। তার সাক্ষাৎকার থেকে আরো পরিষ্কার হলো এটি আসলেই একটি 'ফালতু' সংস্থা। তিনি জানালেন- তার সংস্থা কোনও সরকারি বা বিধিবদ্ধমূলক কিছু নয়, কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষালয় নয়, সরকার বা পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠিত, স্বীকৃত বা পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত কিছু নয়, এটি নেহায়েতই একটি সাধারণ অখ্যাত, অকর্মন্য এনজিও, যার কোন, এমনকি ভাড়া করা কর্মস্থলও নেই। কানাডার এক অখ্যাত দরিদ্র এলাকার একটি গির্জার এক কক্ষে তাদের বিনা ভাড়ায় কাজ চালাতে দেওয়া হয়, সংস্থায় কোনও স্থায়ী কর্মচারী-কর্মকর্তা নেই, দুই-চারজন ভলান্টিয়ার কাজ করেন, অফিসে মোট দুই চারজন মানুষ পার্টটাইম বসেন। এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির পরিচয় বারবার জিজ্ঞাসা করা হলেও, মুমিনুল হক সাহেব সুকৌশলে জবাব এড়িয়ে যান। শুধু একবার বলেছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কলম্বিয়া থেকে দেশত্যাগ (এক্সাইল) করে আসা এক লোক। মুমিনুল হক বলেন, সংস্থার সাথে যারা কাজ করেন তাদের মধ্যে রয়েছেন কিছু বাঙালি। তিনি আরও বলেন, ক্রেস্টটি দেওয়ার জন্য ২০১৮ সালে একটি হল ভাড়া করে সভা ডাকা হয়েছিল, সে সভায় কয়টি বাঙালি সংস্থার লোক ছিলেন। কিন্তু কানাডার কোন নামিদামি লোক ছিলেন কিনা, সে কথা তিনি বলেননি। বলেছেন কিছু বাঙালি সভা পণ্ডের চেষ্টা করলে পুলিশের সহায়তা নিতে হয়েছিল। সভায় কে বা কারা বক্তব্য রাখলো সে কথাও মুমিনুল হক সাহেব বলেননি।

সংস্থার একজন শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে দাবীকারী মুমিনুল হক সাহেব যে নিজেই একজন অজ্ঞতায় ভরপুর লোক- তা শুধু তার ভুল ইংরেজি থেকেই নয় বরং দুইটি কথা থেকে পরিষ্কার হয়েছে। খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে তিনি বলেছেন খালেদাকে জামিন না দিয়ে বাংলাদেশ 'জেনেভা কনভেনশন' লংঘন করেছে। এ থেকে বোঝা গেল 'জেনেভা কনভেনশন' কী এবং এতে কী কী বিধান রয়েছে মুমিনুল হক সাহেব সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ অজ্ঞ কেননা 'জেনেভা কনভেনশন' কোন দেশে কোন অসামরিক ব্যক্তি বিচার বা জামিন নিয়ে কোন বিধান, শর্ত বা কথাবার্তা নেই। তিনি বললেন খালেদা জিয়াকে 'পাঁচ বছর' সাজা দেওয়া হয়েছে, যা মোটেই ঠিক নয়,  নিম্ন আদালতে তাকে দিয়েছিল সাত বছর আর হাইকোর্ট দিয়েছে দশ বছর। তার এ ভুল বক্তব্য প্রমাণ করছে, খালেদা জিয়ার সম্পর্কেও তার জ্ঞান ভ্রান্তিকর। তিনি স্বীকার করেছেন, তাদের ওয়েব সাইটে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ক্রেস্টের কথার উল্লেখ ছিল না এবং বর্তমানেও নেই। তার কথা থেকে মনে হলো, তিনিই আসলে সংস্থার একমাত্র কর্ণধার যাতে তেমন আর কেউ নেই। কেননা অন্য লোকদের সংখ্যা, নাম, পরিচয় সংক্রান্ত সব প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান। অন্য আর কোনও ব্যক্তির নাম পর্যন্ত বলেননি। তিনি বলেছেন, সংস্থা সরকার বা কোন ব্যক্তি বা সংস্থা থেকে কোনও আর্থিক সাহায্য গ্রহণ করেন না। তাই স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে- এটি তাহলে কী করে চলে। বলেছেন, যারা কাজ করে তারা বিনা পয়সায় করে, আর গির্জা তাদের থেকে ভাড়া নেয় না। তারপরও তো অন্যান্য খরচের ব্যাপার রয়েছে তা কী করে চলে, সে কথা মুমিনুল সাহেব বলেননি। তার নিজের পেশা বা আয়ের উৎস কি তাও বলেননি, তার সব কথা এবং জবাবের মধ্যেই ছিল কৌতুহলী এবং রহস্যজনক গোপনীয়তা। সংস্থার মর্যাদা, আইনগত ভিত্তি, পরিচিতি, এর কর্মকর্তারা, কানাডা সরকারের সাথে এর সম্পর্ক এসব ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিরব থেকে ভদ্ররোক প্রমাণ করেছেন, এটি আসলে একটি নামসর্বস্ব সংস্থা এবং তিনিই এর আসল কর্মকার। এ ধরনের একটি 'ফালতু' সংস্থা থেকে ক্রেস্ট পাওয়ার কথাটি মির্জা সাহেব না বললেই বরং তার নিজের এবং খালেদা জিয়ার ভাবমূর্তি রক্ষা হতো। সম্ভবত এসব ভেবেই মির্জা সাহেব এই সাড়ে তিন বছর চুপ করেছিলেন। তবে পরে হঠাৎ কী ভেবে তিনি সেই কচ্ছপের গল্পের মতোই মুখ খুলে ফেলে নিজে এবং খালেদা জিয়াকে হাসির পাত্রে পরিণত করলেন! আমার জানা মতে, অনেকেই এর চেয়ে অনেক বেশি নামিদামি সংস্থা থেকে ক্রেস্ট পেয়েছে। সে তুলনায় খালেদা জিয়াকে দেয়া তথাকথিত এবং নামসর্বস্ব সংস্থার দেওয়া ক্রেস্ট একটি উপহাস মাত্র। এই উপহাসের কথা প্রকাশ করে একজন অসুস্থ নারীকে অপদস্ত এবং হাস্যরসে পরিণত করে মির্জা সাহেব খালেদা জিয়ার ক্ষতিই করেছেন।