নারীর অধিকার তথা সমান অধিকার

দুর্বার
Published : 19 Feb 2012, 07:23 AM
Updated : 19 Feb 2012, 07:23 AM

সম্মানিত পাঠকবন্দুগন লেখার প্রথমে ধন্যবাদ জানাচ্ছি মন দিয়ে পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

আজকে সারা বিশ্ব একটি আওয়াজ নারী পুরুষ সমান অধিকার চায়, কিন্তু প্রশ্ন জাগে ওখানে ' সমান অধিকান কি ? কাকে সমান অধিকান বলে, রাস্তায় ছেলে মেয়ে একসাথে মিছিল করা কি সমান অধিকার, পার্কের গভীরে ছেলে মেয় একাকী বসে থাকা কি সমান অধিকার, বাসের মধ্যে ধাক্কা ধাক্কি করে আসা যাওয়া কি সমান অধিকার,টেলিভিশনের পর্দায় অধনগ্ন হয়ে ফ্যাশান করা কি সমান অধিকার,রাতের অন্ধকারে একাকী চলাফেরা কি সমান অধিকার, যদি তার একটিও না হয় তাহলে কোনটা সমান অধিকার ? যদি তা হয় সমান অধিকার তাহলে পুরুষ দ্বারা নারী ধর্ষন হয় তার জন্য মামলা কেন? রাস্তায় ছেলেদের দ্বারা মেয়েদের ঈভটিজিং করা হয় তার জন্য মামলা কেন? গাড়ীতে মহিলা সিটে পুরুষ বসিতে পারিবেনা যদি বসে মহিলা আসিলে সীট চাড়িয়া দিতে হবে কেন?মিছিলের আগে মেয়েদের দেয়া হয় কেন? পিুলিশ যদি নারীদের গোয়ে হাত দিয়ে থাকে তা অপরাধ কেন? মেয়েদের দিকে যদি কু নজরে তাকায় অপরাধ কেন? কারণ সব তো সমান অধিকার? পুরুষরা যদি মেয়েদের দিকে তাকায় তা অপরাধ আর মেয়েরা যদি পুরুষদের দিকে তাকায় তা কি সমান অধিকার ? মহিলা আসিলে পুরুষ সিট ছাড়িয়া দিতে বাধ্য থাকিবেন এটা কি সমান অধিকার ? ছেলেরা মেয়েদেরকে দেখলে কু কু করে আর মেয়েরা করলে সমান অধিকার ?ধিক্কার জানায় ঐ সমস্ত সমান অধিকারকে, কারণ যারা মেয়েদের সমান অধিকারের জন্য পাগল প্রায় তারা কি একবার ভেবেছেন – নারীর অধিকার আল্লাহ তায়ালা নিজে দিয়েছেন, নারীদের অধিকার সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ (সা:) বলেছেন যার একটি মেয়ে সে কিয়ামতের দিন আমার সাথে সহাবস্থান করবে কিনতু মেয়েকে দ্বিনী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে,ঈমানদার বানাতে হবে, নামাজি বানাতে হবে, পর্দানশীল বানাতে হবে তাহলে নবীর সাথে তার স্থান হবে। আর নারীদের সম্মান সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলছেন, একজন নারীর পয়ের নীচে জান্নাত, একজন পুরুসের দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে, আর একজন নারীর যদি কখনো তার শরীরে হায়েজ নেফাসের কারনে ৫, ৭,৯,১১ দিন পর্যন্ত নামাজ মাফ করছেন, একজন নারী সন্তান প্রসব করার পর ৪০ দিন পর্যন্ত নামাজ মাফ করছেন, সন্তান জম্ম দেয়ার জন্য নারীর যদি নামাজ মাফ হয় আর ঐ সন্তান একজন পুরুষের ও কিন্তু পুরুষের জন্য কি নামাজ মাফ করছেন? সম্পত্তির হিসাবে আসেন একজন নারী পিতার কাছ থেকে সম্পত্তি পেয়ে থাকেন আবার স্বামীর কাছ থেকে সম্পত্তি পেয়ে থাকেন, কিন্তু একজন পুরুষ পিতার কাছ থেকে সম্পত্তির মালিক হয় কিন্তু স্ত্রীর কাছ থেকে সম্পত্তির মালিক হয় না। যে নারীর সম্মান আল্লাহ নিজে দিয়েছেন আর বর্তমান সমাজেযারা নারীর অধিকার এর জন্য হুলস্থুল শুরু করছেন তারা আসনে নারীর অধিকার চায়না তারা নারীকে পন্য বানাতে চায়, যারা নারীর সমান অধিকান চান, তাদের মেয়েগুলো কি রাস্তার মধ্যে হাফপ্যান্ট পরে চলা পেরা করে ? রাস্তার মাথে দাড়িয়ে প্রশ্রাব করে?পার্কের মধ্যে পর পুরুরেষর সাথে কি ঘষাঘষি করে ? তাদের স্ত্রীরা কি তাদের বিছানায় না শুয়ে পর পুরুষের সাথে বিছানায় ঘুমায়, কারন যারা নারীর অধিকার চায় তারা কিন্তু পর মহিলদের সাথে ফুর্তি করে? তাদের মেয়েদের বা স্ত্রীদের করলে সেটা হয়ে ইভটিজিং, তায় ব্লাগারদের জন্য বলতে চায়- ধোঁকাবাজের কথায় লাফালাফি না করে সত্যিাকরের অর্থে নারীদের অধিকার সম্পর্কে না জেনে অকথ্যা লাফা লাফি করবেন না, নারীর অধিকার সম্পর্কে আগে জানুন বুঝুন তারপর আন্দোলন করনে বাধা আসবেনা,