শারদীয় নীল আকাশ, শিউলি ও কাশফুল

মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধূরী
Published : 17 Sept 2012, 10:31 AM
Updated : 17 Sept 2012, 10:31 AM

শারদীয় এক সন্ধ্যায় নীল আকাশে মেঘের ভেলায় চড়ে শহর থেকে কিছুটা দূরে চলে যান যেখানে নদী আর আকাশ মিতালী পেতেছে। মনে হবে আপনি কোন এক অচেনা রাজ্যে চলে এসেছেন। কি যাবেন? শরৎকে বলা হয় শুভ্রতার প্রতীক। ষড়ঋতুর এই অপরূপ দেশটির অনেকটা জুড়েই শরতের সৌন্দর্য। ভাদ্র-আশ্বিন এ দু'মাস শরৎকাল। সাদা কাশফুল, শিউলি, সি্নগ্ধ জ্যোৎস্না, আলোছায়ার খেলা নিয়ে শরতের আগমন। কবিগুরু শরৎ প্রেমে মুগ্ধ হয়ে লিখেছেন- সুরবি প্রত্যয়ী শরৎ, তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি ছড়িয়ে গেল ছাপিয়ে মোহন অঙ্গুলি শরৎ, তোমার শিশির-ধোয়া কুন্তলে বনের-পথে-লুটিয়ে পড়া অঞ্চলে আজ প্রভাতের হৃদয় ওঠে চঞ্চলি শরৎ। শরতের সি্নগ্ধতা এক কথায় অসাধারণ! শরতের এই মন ভোলানো প্রকৃতিতে পরান যে কী চায় আসলেই বোঝা মুশকিল। রোদ-বৃষ্টির এই খেলায় মনেও জমে উঠে কখনো মেঘ, আবার কখনও রৌদ্র। আর এরি মাঝে দিগন্ত ছড়িয়ে নীল আকাশে উঁকি দেয় সাতরঙা রংধনু। কিন্তু ব্যস্ত এ নগরীতে, শত ব্যস্ততার মধ্যে আমরা কি আসলেই পারি আমাদের মনের সব আশা-আকাঙ্ক্ষাকে শরতের রঙে সাজাতে? একটু কি পালিয়ে যেতে ইচ্ছা হয় না আপনার যান্ত্রিক এই শহরটি ছেড়ে? শরতের প্রাকৃতিক এ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে মাঝেমধ্যে আপনারও নিশ্চয় ইচ্ছা হয় গোধূলির ওপারে হারিয়ে যেতে প্রিয়জনের হাতটি ধরে। যদি মনের ইচ্ছেরা ডানা মেলে তবে আর দেরি নয়। বেরিয়ে পড়ুন শরতের শিউলি দেখতে, নদীর দুকূল ছাপিয়ে ভরে উঠা কাশফুলের বন দেখতে অথবা রংধনুর রং গুলোকে একটি একটি করে গুনতে। শরতের রঙিন প্রকৃতিতে বিলিয়ে দিন নিজেকে; নিজের জন্য, প্রিয়জনের জন্য বের করে নিন আপনার ব্যস্ত রুটিন থেকে একমুঠো সময়… আর হারিয়ে যান শরতের কাশফুল, গোধূলি, শিউলি আর জ্যোৎস্নার মাঝে, অনুভব করুণ সি্নগ্ধতার মাঝে। ছবিটির স্থান: ধল্লা ব্রীজ পশ্চিম প্রান্ত, হেমায়তপুর, সিঙ্গাইর। তারিখ: ১৫/০৯/২০১২ইং, সময়: বিকাল ০৫:২৮ মিনিট।