ছবিটি যেখানে তুলেছি: রামকান্তপুর গ্রাম, সিংগাইর, মানিকগঞ্জ। তারিখ: ১৫/০৮/২০০৯ইং, সময়: বেলা ১২:২০ মিনিট। রামকান্তপুর মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার একটি ছোট্ট গ্রাম। এই গ্রামের কৃতি সন্তান বাংলাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার খান আতাউর রহমান বা খান আতা নামে যিনি বেশী পরিচিত এবং তাঁর সুযোগ্য সন্তান নতুন প্রজন্মের গায়ক “আগুনের” গ্রামের বাড়ী। গ্রামের পাশ দিয়ে ছোট্ট একটি নদী বয়ে গেছে, যে নদীটি শিবপুর গ্রাম এবং রামকান্তপুর গ্রামকে দুভাগে ভাগ করেছে। এই গ্রামে এখনো সোনালী আঁশ নামে খ্যাত পাটের অল্প বিস্তর চাষ হয়। চাষীরা অন্য ফসলের পাশাপাশি অল্প কিছু জমিতে পাটের চাষ করেন। তারপর যখন সংসারে খরচের প্রয়োজন পড়ে তখন অল্প অল্প করে গ্রামের বাজারে বিক্রি করে দৈনন্দিন সাংসারিক খরচা মিটিয়ে থাকে। বলা যায় “গিভ এন্ড টেইক” পদ্ধতিতে এই পাটের গাঁটগুলো বিক্রি হয়। অর্থাৎ ২/১ টি পাটের গাঁট বিক্রি করে সংসারের প্রয়োজনীয় অন্য বাজার সওদা করে তারা বাড়ী ফিরেন। তেমনি এক গ্রামীন পাট চাষী নৌকায় করে কিছু পাট নিয়ে গঞ্জে বিক্রি করতে চললেন।
শখের ফটোগ্রাফি: সওদার উদ্দেশ্যে সোনালী আঁশ
ক্যাটেগরিঃ ফটো
হেলজিনোম২০১০ বলেছেনঃ
কি সুন্দর সহজ সরল গ্রাম বাংলার প্রকৃত জীবন তাই না ইলিয়াস ভাই?আচ্ছা কে আমাদের শিখালো যান্ত্রিক জীবন?যেখানে নেই প্রকৃতির চোওয়া নেই মানুষে মানুষে ভালোবাসা?আছে শুধুই স্বার্থবাধিতা,পরনিন্দা,পরচর্চা
। আসলে আপনার ছবিটি কথা বলছে গ্রাম বাংলার চিরন্তন রূপ হয়ে।তাই আমি একটু অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেলাম। ধন্যবাধ।
মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধূরী বলেছেনঃ
আসলে গ্রাম আর শহর বলে কথা নয়….. মানুষ মানুষের কল্যাণে যে কোন অবস্থান থেকে কাজ করতে পারে। গ্রামে আধুনিকতার ছোঁয়া নেই বলে হয়ত বেশীর ভাগ মানুষ এখনো কঠিন বাস্তবতা কি তা উপলদ্ধি করতে পারে না বা করার প্রয়োজনও নেই তাদের পারিপার্শ্বিকতার কারণে। আমাদের বাংলাদেশের এই শহুরে জটিল সমাজ থেকে উন্নত বিশ্বের শহর বা শহরের মানুষের চিন্তা ভাবনার মধ্যেও অনেক ফারাক আছে। আমরা যত টুকু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকি বা থাকতে চাই এরা ততটুকু নয়। অথচ ওরা আমাদের চেয়ে অনেক বেশী আধুনিকতার সংর্স্পশে এসেছে। এখানে অর্থনৈতিক বিষয়টি অনেক বেশী জড়িত। যারা যত বেশী আর্থিক ভাবে সচ্ছল তারা তত বেশী উদার হতে পারে। তাই নয় কি?
ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
রণদীপম বসু বলেছেনঃ
খুব সুন্দর ছবি ! চমৎকার !!
মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধূরী বলেছেনঃ
ধন্যবাদ রণ’দা…ছবিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আপনার সিটিজেন জানার্লিষ্ট ধারা ছবি গুলো আমার কাছে ভালো লাগে । চালিয়ে যান এ প্রচেষ্টা সমাজ সংস্কারে নিজের চিন্তা ভাবনা গুলোকে অন্যের কাছেও তুলে ধরে।
ভালে থাকুন নিরন্তর। 🙂