সাম্প্রতিক সৌদিতে ৮ বাংলাদেশীর শিরশ্ছেদ আমাদের দেশের প্রতিটি বাঙ্গালী হৃদয়কে প্রবল ভাবে নাড়া দিয়েছে। জানি না এই ৮ সন্তানের বাবা-মা বা স্ত্রী-সন্তানরা তাদের এই নৃসংশ মৃত্যুর যন্ত্রনাকে কিভাবে বয়ে বেড়াছেন। আল্লাহ তাদের পরিবারকে এই মৃত্যুশোক বহন করার শক্তি দান করুন। এই ছবি গত ঈদুল আযহায় তোলা একটি সাধারন ছবি। তবে এই ছবির অন্তরালেও একটি প্রাণীর প্রতি ভালবাসার গল্প আছে। আমার ৮ বৎসরের ছেলে ইশতি এবং ৬ বৎসরের মেয়ে লাবণ্যে প্রতি বৎসর কোরবানী ঈদে কেনা দুটো ছাগল তাদের নিজের করে নেয়। এবং ঈদের ২/৩ দিন আগে থেকে ছাগল দুটোর লালন পালন, খাওয়ানো, আদর করা সব কিছু নিয়ে তাদের ব্যস্ত সময় কেটে যায়। তারপর ঈদের দিন কোরবানীর সময় যথারীতি কান্না কাটি ছাগল দুটো জবাই করা যাবে না ইত্যাদি ইত্যাদি । গত ঈদে জবাই করার পর সম্পূর্ণ কেটে কুটে ছাগল দুটোর মাথা যখন এক জায়গায় রাখা হলো তখন আমার ছোট মেয়ে লাবণ্য খেয়াল করলো ছাগল দুটো করুন চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। সে আমাকে ঘর থেকে ডেকে এনে দৃশ্যটি দেখালো। আমি ওর অবুঝ মনের কষ্টটি উপলদ্ধি করলাম, তাই সে সময় এই ছবিটি ক্যামরা বন্ধি করে রাখলাম। এমন কষ্ট বা উপলদ্ধি কি সৌদি সরকার বা জল্লাদ গুলোর হয় না? আইনতো মানুষের জন্যই সৃষ্টি…..মানুষর সৃষ্টিতো আইনের জন্য নয়।