বীরশ্রেষ্ঠ: মুন্সি আব্দুর রউফ(১৯৪৯-১৯৭১)

মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধূরী
Published : 17 Dec 2011, 02:08 PM
Updated : 17 Dec 2011, 02:08 PM


ছবি:-বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ(১৯৪৯-১৯৭১)

মুক্তিযুদ্ধে অসীম সাহসীকতার জন্য যে ৭ জন শহীদকে বাংলাদেশ সরকার বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করেছেন তাদের নিয়ে আমার ৭ পর্বের ধারাবাহিক পোষ্টের আজ ৫ম পর্ব বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফকে নিয়ে।

বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের পরিচিতি ও স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর ভূমিকাঃ-

বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ জন্মেছিলেন ১লা মে, ১৯৪৯ সালে ফরিদপুর জেলার মধুখালি থানার সালামতপুর গ্রামে৷ বাবা মুন্সি মেহেদী হোসেন৷ ফরিদপুর জেলার মধুখালি থানার সালামতপুর গ্রামে তাঁর বসতি৷ তিনি এই গায়ের মসজিদের ইমাম৷ মা মুকিদুন্নেছা ৷ সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন এক স্ত্রী মুকিদুন্নেছা, এক ছেলে মুন্সি আব্দুর রউফ এবং দুই মেয়ে জহুরা ও হাজেরাকে নিয়ে মুন্সি মেহেদী হোসেনের সংসার৷ বাবার কাছেই মুন্সি আব্দুর রউফের লেখাপড়ার হাতেখড়ি৷ বাবা তাঁকে ডাকতেন রব বলে৷ অসম্ভব সাহসী ও মেধাবী রউফের লেখাপড়ার প্রতি ঝোঁক ছিলো না মোটেই৷ অথচ বাবা মায়ের অক্লান্ত চেষ্টা ছিলো তাঁকে পড়াশুনায় মনযোগী করে তুলতে৷ কিন্তু বইয়ের পাঠ তাঁর ভালো লাগতো না৷ ছোট চাচা মুন্সি মোতালেব হোসেনের সঙ্গই বরং তাঁর অধিক প্রিয় ছিলো৷ চাচা মুন্সি মোতালেব হোসেন ছিলেন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের হাবিলদার৷ চাচা যখনই বাড়ি ফিরতেন তখনি তিনি তাঁকে শোনাতেন সৈনিকদের সুশৃঙ্খল ও রোমাঞ্চিত জীবনের গল্প৷ সৈনিকদের লেফ্ট রাইট শব্দ তাঁর কানে মধুর ঝংকার তুলতো৷ তাই বাবার চেষ্টা মায়ের চোখ রাঙানো এড়িয়ে বালক রউফ মধুমতি নদীর তীর ধরে ঘুরে বেড়ায়৷ দিনে দিনে প্রিয় সন্তানটির এরকম দুরন্তপনা দেখে তাঁদের উদ্বেগের অন্ত নেই৷ একদিকে আর্থিক অনটন অন্যদিকে ছেলের স্কুলে অমনোযোগিতা দেখে মা মুকিদুন্নেছা একদিন রউফের উপরে রেগে গেলেন৷ মা একদিন তাঁকে পড়তে বসার জন্য বললেন৷ কিন্তু ছেলে রউফ পড়তে না বসে গাছের পাখিদের সাথে মিতালিতে ব্যস্ত, এই দেখে মা ছেলেকে দিলেন বকা৷ ছেলেও অভিমানে ঘর থেকে বের হয়ে দিলেন দৌড়৷ ছেলে ছুটছে, মা-ও পেছন পেছন ছুটছেন ছেলেকে ধরার জন্য৷ ছুটতে ছুটতে একেবারে মধুমতি নদীর কিনারে৷ পাড়ে দাঁড়িয়ে মাকে দৃঢ় স্বরে বললেন, আমাকে ধরতে এলে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ব কিন্তু৷ মায়ের রক্ত হিম হয়ে এলো৷ ছেলের এই জেদী রূপ মা এর আগে দেখেননি কখনো৷ এরপর মা গলার স্বর নরম করে ছেলেকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে আসেন৷ আর কোনদিন তাঁকে তিনি বকাঝকা করেননি৷ এরপর থেকে ছেলেও অবশ্য কিছুটা মনোযোগী হয়েছিলেন লেখাপড়ার প্রতি৷

মুন্সি আব্দুর রউফের বাবা মুন্সি মেহেদী হোসেন হঠাৎ করে মৃত্যুবরণ করেন৷ মুন্সি আব্দুর রউফের বয়স তখন খুবই অল্প৷ স্বামীর মৃত্যুর পর এক ছেলে আর দুই মেয়ে জহুরা ও হাজেরাকে নিয়ে মা মুকিদুন্নেছা অকূলপাথারে পড়েন৷ নিত্য অভাবের মধ্য দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি৷ বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়ির কাঁথা সেলাই, শিকে তৈরি করার কাজ নেন৷ এমনিভাবে মুকিদুন্নেছা দুঃখের দীর্ঘতম দিনগুলি একটি একটি করে পাড়ি দেন৷ সাথে থাকে ছেলেমেয়েকে বড় মানুষ করার স্বপ্ন৷

বাবার মৃত্যুর পর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন ঘটতে থাকে আব্দুর রউফের জীবনাচারেও৷ আস্তে আস্তে কমে যেতে থাকে তাঁর দুরন্তপনা৷ লেখাপড়ার প্রতি মনযোগ বাড়ে৷ এর ফলে মেধাবী বলে তাঁর সুনামও হয়৷ গাঁয়ের প্রাথমিক স্কুল শেষ করার পর ভর্তি হন থানা শহরের হাইস্কুলে৷ এই সময়ে প্রায়ই মায়ের দুঃখ কষ্ট দেখে তিনি বিচলিত হয়ে পড়তেন৷ ভাবতেন কী করে মায়ের কষ্ট লাঘব করা যায়৷ এতটুকুন ছোট ছেলে কী আর করতে পারেন তিনি? তবে চাচার কাছে শুনেছেন সপ্তম শ্রেণী পাশ করতে পারলে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন৷ অষ্টম পড়া অবস্থায় এলো সেই সুযোগ৷ ১৯৬৩ সালের মে মাসে আব্দুর রউফ যোগ দেন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস-এ৷

সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েও রউফের মন ছিলো বাড়ির দিকে৷ নিয়মিত মাকে টাকা পাঠাতেন চিঠি লিখতেন৷ ছুটি নিয়ে মাঝে মাঝেই বাড়ি চলে আসতেন৷ ১৯৭১ সালে রউফ এক চিঠির উত্তরে মাকে লিখেছিলেন, এখন একটু কাজের ব্যস্ততা বেড়েছে, তাই আগের মতো ঘন ঘন ছুটি পাই না৷ তার জন্য তুমি চিন্তা করো না মা, ছুটি পেলেই বাড়ী আসবো তখন ছোট বোনের বিয়ে দিবো৷

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগে মুন্সি আব্দুর রউফ চট্টগ্রামে ১১ উইং-এ চাকরিরত ছিলেন৷ তিনি ছিলেন মাঝারি মেশিনগান ডিপার্টমেন্টের ১ নং মেশিনগান চালক৷ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সঙ্গে যুক্ত হন৷ তখন সবে যুদ্ধের প্রস্তুতিপর্ব৷ মাঝে মাঝে গড়ে তোলা হচ্ছে ছোটখাটো প্রতিরোধ৷ পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি-মহালছড়ি জলপথ৷ শান্ত হ্রদের পাশে আকাশ ছুঁয়ে থাকা মাথা উঁচু মৌন পাহাড়ের সারি৷ এমন নির্জন পরিবেশের জলপথ দিয়ে পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর চলাচলে প্রতিরোধের দায়িত্ব পড়ল অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কোম্পানির উপর৷ কোম্পানিটি বুড়িঘাট এলাকার চিংড়িখালের দুই পাড়ে অবস্থান নিয়ে গড়ে তুললো প্রতিরক্ষা ঘাঁটি৷ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ ছিলেন সেই কোম্পানিরই একজন মুক্তিযোদ্ধা৷


ছবি:- বাংলাদেশের গৌরব ৭ বীরশ্রেষ্ঠ।

সেদিন, ৮ এপ্রিল ১৯৭১৷ গনগনে মধ্যদুপুরের এক বিশেষ মুহূর্ত৷ সূর্য মাথার উপর থেকে পশ্চিম দিকে হেলে পড়ার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ নীরব-নির্জন হ্রদের বুক চিরে শান্ত পানিতে অস্থির ঢেউ তুলে এগিয়ে আসতে লাগলো সাতটি স্পিডবোট এবং দুটো লঞ্চ৷ এগুলোর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দুই কোম্পানি সৈন্য৷ তাদের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয় এবং ভারী অস্ত্রশস্ত্র ৷ এটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় কমান্ডো ব্যাটেলিয়নের কোম্পানি৷ লক্ষ্য বুড়িঘাটের মুক্তিবাহিনীর নতুন প্রতিরক্ষা ঘাঁটি৷

লক্ষ্যের দিকে তীব্রগতিতে ছুটে আসছে দুটি স্পিড বোট এবং দুটি লঞ্চ৷ এগুলোতে রয়েছে ছয়টি তিন ইঞ্চি মর্টার আর অনেক মেশিনগান ও অনেক রাইফেল৷ অন্যদিকে এই জলপথ পাহারা দিচ্ছে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের যে কোম্পানিটি, সেই কোম্পানিটি মাত্র কয়েকদিন আগে পাকিস্তান বাহিনী ত্যাগ করে আসা৷

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরক্ষা ঘাঁটির কাছাকাছি পৌঁছেই পাকিস্তান বাহিনী শুরু করলো আক্রমণ ৷ স্পিড বোট থেকে ক্রমাগত চালাতে লাগলো মেশিনগানের গুলি আর লঞ্চ দুটো থেকে ছুটে আসছে অবিরাম তিন ইঞ্চি মর্টারের শেল৷ মুক্তিযোদ্ধাদের দিকে ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে লাগলো গুলির পর গুলি৷ গোলাগুলির প্রচণ্ড শব্দে আকাশ বাতাস কেঁপে উঠলো৷ পানির ভেতর অদ্ভূত আলোড়ন উঠলো৷ শব্দগুলো পাহাড়ের গায়ে গায়ে বাড়ি খেয়ে এক মহাধ্বণিযজ্ঞের সূচনা করলো৷ শীতল সবুজে হঠাৎ যেন লেগে গেল শব্দের আগুন৷ পাকিস্তানি বাহিনীর একটাই উদ্দেশ্য, রাঙামাটি-মহালছড়ির জলপথ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের পিছু হটিয়ে নিজেদের অবস্থান প্রতিষ্ঠা৷ আক্রমণের আশংকা মুক্তিযোদ্ধাদের মনে আগেই ছিলো৷ তাঁদের লোকবল, অস্ত্রশস্ত্র নেই বললেই চলে৷ কিন্তু মনের ভেতর দেশের জন্য জমানো আছে অসীম সাহস, তেজ ও দৃপ্ত অঙ্গীকার৷ দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে তাঁরা ঝাপিয়ে পড়েছিল দেশকে বর্বরদের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য৷ মুক্তিযোদ্ধারা খুব দ্রুতই পজিশন নিয়ে নিল পরিখায়৷ কিন্তু শত্রুপক্ষের গোলাগুলির তীব্রতা এত বেশি ছিলো যে, ভেঙে যেতে লাগলো প্রতিরোধ ব্যবস্থা৷ শত্রুদের মর্টার চিহ্নিত করে ফেলল মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক অবস্থান৷ আর তাই তীব্র গুলিবর্ষণে ভেঙে পড়লো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা৷

যুদ্ধের এই পর্যায়ে প্রতিরক্ষা ঘাঁটির কমান্ডার মুন্সি আব্দুর রউফ দেখলেন যে, এভাবে কিছুক্ষণ চলতে থাকলে ঘাঁটির সকলেই মারা পড়বেন৷ তিনি তখন কৌশলগত কারণেই পশ্চাদপসারণের সিদ্ধান্ত নিলেন৷ এই সিদ্ধান্তের কথা সৈন্যদের জানানো মাত্র সৈন্যরা যে যেভাবে পারে পিছু হটতে লাগল৷ মুন্সি আব্দুর রউফ দেখলেন, শত্রু এগিয়ে এসেছে খুব কাছে আর এভাবে সকলে একযোগে পিছু হটতে চাইলে একযোগে সকলেই মারা পড়বে৷ কাভার দেওয়ার জন্যে কাউকে না কাউকে পিছনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে৷ যেই ভাবা সেই কাজ৷ তিনি পিছু হটলেন না৷ কাভার দেওয়ার জন্য নিজ পরিখায় দাঁড়িয়ে গেলেন মুন্সি আব্দুর রউফ স্বয়ং৷ অসম্ভব সাহসে, দৃঢ়চিত্তে মেশিনগানটি উঁচুতে তুলে ফেললেন৷ অনবরত গুলি করতে লাগলেন পাকিস্তানি স্পিড বোটগুলোকে লক্ষ্য করে৷ প্রচণ্ড সাহসের সঙ্গেই তিনি কাজে লাগালেন পাকিস্তান রাইফেলসে কাজ করার অভিজ্ঞতা৷ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে তিনি যোগই দিয়েছেন দেশকে হানাদার মুক্ত করার লক্ষ্যে৷ পাকিস্তানি হানাদারদের তিনি পথ ছেড়ে দিতে রাজি নন৷ শত্রু সেনাদের বিরুদ্ধে একাই লড়তে লাগলেন এই অকুতোভয় বীর৷

ল্যান্স নায়েক আব্দুর রউফ এক একটা স্পিড বোটকে লক্ষ্য স্থির করে মেশিনগান দিয়ে অবিরাম গুলি বর্ষণ করতে থাকেন৷ তাঁর প্রচণ্ড গুলিবৃষ্টিতে থমকে গেল শত্রুরা৷ তারা প্রত্যাশাও করেনি এমন পাল্টা আক্রমণ হতে পারে৷ রউফের গুলি খেয়ে একের পর এক শত্রুসেনা লুটিয়ে পড়তে লাগলো৷ একটি একটি করে সাতটি স্পিড বোটই ডুবে গেল৷ এমন পর্যায়ে শত্রু সেনারা তাদের দুটি লঞ্চ নিয়ে পিছু হটতে বাধ্য হলো৷ পিছু হটতে হটতে দুটো লঞ্চই চলে গেল রউফের মেশিনগানের গুলির আওতার বাইরে নিরাপদ দুরত্বে৷ হানাদার বাহিনী এবার তাদের লঞ্চ থেকে শুরু করলো মর্টারের গোলা বর্ষণ৷ তারা লক্ষ্য স্থির করল, যেভাবেই হোক থামিয়ে দিতে হবে মুক্তিবাহিনীর মেশিনগানটাকে৷
একের পর এক ক্রমাগত মর্টারের গোলার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা রউফের একার পক্ষে সম্ভব ছিলো না৷ শত্রুর একটি মর্টারের গোলা হঠাৎ এসে পড়ে তার বাঙ্কারে৷ মৃত্যুশেলে ঝাঁঝড়া হয়ে যায় তাঁর সমস্ত শরীর৷ থেমে গেলেন তিনি৷ হাত থেকে পাশে ছিটকে পড়ল মেশিনগান৷ ততক্ষণে তাঁর সহযোগী যোদ্ধারা সবাই পৌঁছে যেতে পেরেছে নিরাপদ দুরত্বে৷ প্রকৃত বন্ধুর মতো একটি মাত্র মেশিনগান দিয়ে একই সঙ্গে শত্রুদের ঘায়েল করলেন এবং সহযোদ্ধাদের রক্ষা করলেন৷

তিনি বাংলার শোণিতাক্ত সূর্যের সঙ্গে মিশে গেলেন৷ মায়ের বুক খালি হলো, বোনের জন্য বিয়ের শাড়ি নেওয়া হলো না, অথচ নিজের বুকের আলো দিয়ে উজ্জ্বল করলেন তিনি স্বাধীনতার পথ৷ হয়ে গেলেন অমর, বীর, শহীদ, বীরশ্রেষ্ঠ ৷

চির রুদ্রের প্রতীক এই বীরকে সমাহিত করা হয়েছিলো রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারের পাশে৷ ১৯৯৬ সালে রাঙামাটিবাসী প্রথম জানতে পারে, এ চিরসবুজ পাহাড়ের মাঝেই ঘুমিয়ে আছেন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ৷ ঐ সময় দয়ালন চন্দ্র চাকমা নামে এক আদিবাসী বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের সমাধিস্থল শনাক্ত করেন৷ শনাক্ত করার পর তাঁর সমাধিস্থলটি সরকার নতুনভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছে৷


ছবি:- রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারের পাশে এই কবরে মহান এই বীর চিরশায়িত আছেন৷

সংক্ষিপ্ত জীবনী

নাম : মুন্সি আব্দুর রউফ ।
জন্ম : ১ মে, ১৯৪৯ ইং ৷
জন্মস্থান : ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার সালামতপুর গ্রামে ৷
পিতা : মুন্সি মেহেদী হোসেন ৷
মা : মোছাঃ মুকিদুন্নেছা ৷
কর্মস্থল : ই পি আর ( ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস)৷
যোগদান : ৮ মে ১৯৬৩ সাল৷
পদবী : ল্যান্স নায়েক ৷
মুক্তিযুদ্ধে অংশরত সেক্টর : ১ নং সেক্টর ৷
মৃত্যু : ১৮ এপ্রিল, ১৯৭১ সাল ৷
সমাধি স্থল : রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারের পাশে ৷

ছবি ও তথ্য সূত্র:- ইন্টারনেট, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বিভিন্ন গবেষনাপত্র।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা: গবেষক এহসান হাবীবকে।