বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরেই চলছে রমরমা ই-টোকেন ব্যবসা। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ভিসা পেতে হলে প্রথমে অনলাইনে ই-টোকেন পূরণ করতে হয় । ই-টোকেনে তারিখ পাওয়ার পর ভিসা অফিসে দাড়ালে ভিসা পাওয়া যায়। ই-টোকেন পূরণ থেকে শুরু করে ভিসা পাওয়া পর্যন্ত সময়টা বেশ দীর্ঘ। যাহোক এখন ভারত কিছু কিছু ভিসার ক্ষেত্রে সময়টা কমিয়ে এনেছে কিন্তু ভ্রমণ ভিসার ক্ষেত্রে তারিখের বিড়ম্বনাটা থেকে গেছে। ভ্রমণ ভিসার জন্য ই-টোকেনে তারিখ একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় আর যেটি পেতে বাংলাদেশীদেরকে বিভিন্ন সাইবার ক্যাফে, কম্পিউটারের দোকানে গুনতে হচ্ছে ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত। ভারতের ভিসা অফিসের ওয়েবসাইটে ভিসার জন্য ভিসা অফিসে যাওয়ার তারিখ/ সিরিয়াল পেতে বাংলাদেশীদের জন্য সময় দেওয়া হয় মাত্র দেড় মিনিট থেকে দুই মিনিট। যেটি অনেক কম সময়। আর এই সময়কে দায়ী করেই বিভিন্ন সাইবার ক্যাফে, কম্পিউটারের দোকানে চলছে রমরমা ই-টোকেন ব্যবসা। শোনা যায় অনেক সাইবার ক্যাফের মালিকই নাকি ভারতীয়দের দিয়ে ভারত থেকেই ই-টোকেনে সিরিয়াল করাচ্ছেন। যদি সেটি হয় তাহলে আমি বলবো সিরিয়ালের ব্যাপারটি ভারতের ভিসা অফিসের কারসাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা ই-টোকেন নাটক করে বাংলাদেশ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতাচ্ছেন। এই বিষয়টি নিয়ে হয়তো কারোর মাথা ব্যাথা নেই কিন্তু এই ব্যাপারটি অবশ্যই ভাবনার বিষয়। ভিসার জন্য দাঁড়ানোর তারিখ পেতেই যদি গুনতে হয় ২৫০০-৩০০০ টাকা তাহলে বিষয়টি কেমন দেখায়?
সর্বশেষ বলবো, কর্তৃপক্ষ এই ই-টোকেনে সিরিয়ালের ব্যাপারটি বাদ দিয়ে ভারতের ভিসা পদ্ধতি সহজ করলে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ বাড়তি অর্থ প্রদানের হাত থেকে রেহাই পাবে।