মিডিয়ায় পরকিয়াকে উৎসাহ দান: পরিবারগুলোকে ভাঙ্গার নীল নকশা

এম. হামিদুজ্জামান সুমন
Published : 27 June 2011, 04:20 PM
Updated : 27 June 2011, 04:20 PM

৭ বছর প্রেমের পর ২০০০ সালের ৪ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুমানাকে বুয়েট শিক্ষক হাসান সাঈদ বিয়ে করেন। তাদের দাম্পত্য জীবন ছিল সুখের। একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ছিল প্রচন্ড। কিন্তু রুমানা কানাডা যাওয়ার পরই সব কিছু যেন পাল্টে যায়। কানাডা যাওয়ার আগে রুমানা একজন ভালো গৃহিণী ছিলেন, ভালো মা ছিলেন এবং ভালো স্ত্রী ছিলেন। সাঈদের ভাষায় কানাডাই যেন তার জীবনকে ওলটপালট করে দেয়।

সাঈদ পুলিশের কাছে দাবি করেছে, তার স্ত্রী কানাডায় ইরানি যুবকের সঙ্গে থাকেন। রুমানাও নাকি তার কাছে সব কিছুই স্বীকার করেছে। এবার ১২ মে ঢাকায় আসার পরও রুমানা সাঈদকে কথা দিয়ে বলেছে, তার ভুল হয়েছিল। এসব আর হবে না। কানাডায় ফিরে যাবে না। কিন্তু সাঈদকে বাচ্চা নিয়ে বাসায় থাকতে হবে। তারা দুজনই বিষয়টি মিটমাট করে ফেলে। কিন্তু তাদের মাঝে কোনো বিষয় নিয়ে বিরোধ দেখা দিলেও ঘুরে ফিরে ইরানি ওই যুবকের বিষয়টি চলে আসে। তখনই আবারও দুজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। রুমানা তখন তাকে বলে তিনি কানাডায় ইরানি ওই যুবকের কাছে চলে যাবেন। ঘটনার দিন ৫ জুন একই ভাবে তাদের মধ্যে ফের ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়।

হাসান সাঈদ বলেছেন, তিনি চোখে কম দেখেন। কখন কোথায় তিনি কামড় দিয়েছেন তা তখন বুঝতে পারেননি। তবে তিনি আঙ্গুল ভেবে নাকে কামড় দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

৫ই জুন বিকালে ঘটনার শুরু কেমন করে হলো- সে ব্যাপারে গণমাধ্যম জানতে চাইলে হাসান বলেন,

কম্পিউটার খোলা রেখে হেমা [রোমানার ডাক নাম] ওয়াশরুমে যায়। আমি সামনে গিয়ে দেখি, ফেসবুক খোলা। তার এক বন্ধুর সঙ্গে (নাভিদ বিন তাহের, ইরানি নাগরিক) আলাপ চলছিল। হেমা আমাকে কথা দিয়েছিল, নাভিদের কথা ভুলে যাবে। কোন ধরনের যোগাযোগ আর রাখবে না। আমি ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে ওই ছেলেটিকে বাদ দিয়ে দিই। ওয়াশরুম থেকে ফিরে হেমা দেখে তার ফ্রেন্ডলিস্টে ওই ছেলেটি আর নেই। এটি দেখে সে ক্ষেপে যায়। আমার ওপর হামলে পড়ে। আমাদের মধ্যে অনেকক্ষণ ধস্তাধস্তি হয়। তারই এক পর্যায়ে হেমা আমার চশমা টেনে খুলে ফেলে। আমি জানি না, তারপর কিভাবে কি হয়ে গেল? বুয়েট শিক্ষক হাসান সাঈদ বললেন, 'আমি জানি না, কেমন করে কী হয়ে গেল। আমি হয়তো তখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমি জানি, এর জন্য আমাকে ক্রসফায়ারে দেয়া হবে। ভাই, আমি তো এমনিতেই মৃত। চোখে দেখতে পাই না। ডরমিকম খাওয়াতে দৃষ্টিশক্তি আরও কমে গেছে। রোমানা মন্জুর [ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও হাসান সাঈদের সহধর্মিনী ] আসলে আমাকে ওই দিন ওষুধ খাইয়ে মুক্তি দিতে চেয়েছিল। আমি বুঝতে পারিনি। আপনি দেখবেন, বেশিদিন লাগবে না। দুই মাসের মধ্যেই আমার মৃত্যু হবে। আমার আসলে কেউ নেই। মা-বাবা, ভাই কেউ নেই।

তদন্তকারী বললেন, আপনার সবাই আছেন। কেন থাকবে না? হাসান বললেন, 'আমার কেউ নেই। থাকলে ওরা আমার পাশেই থাকতো। আপনি দেখতে পেতেন। আমার এ অবস্থা দেখে সবাই পালিয়েছে। ভাবছে, ওতো এমনিতেই মৃত। থাক, ওর মতো। কপাল আমার'।

আন্তর্জাতিক একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত নামকরা একজন ব্যক্তির বক্তব্য। "কিসের নারী নির্যাতন? প্রেসক্লাবে নারীবাদীরা যতই নারী নির্যাতন নারী নির্যাতন বলে চিল্লাচিল্লি করে মুখে ফেনা তুলুক না কেন, আমি একা যে পরিমান নির্যাতনের শিকার হই বাংলাদেশের সব নারী মিলে সেই পরিমান নির্যাতিত হয় না। আমি আন্তর্জাতিক একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে মাসে ১২০০০ ডলার উপার্জন করলেও ০ পয়সা আয় ও সীমাহীন ব্যয় পারদর্শী বউয়ের নির্যাতনে পাগলপ্রায়। আত্মহত্যা পাপ না হলে বহু আগেই সে পথ বেছে নিতাম।"

এখানেই নারী ও পুরূষ নির্যাতনের মধ্যে পার্থক্য। ব্যাক্তি থেকে পরিবার তথা রাষ্ট্র নারী নির্যাতন নিয়ে মাতামাতি করলেও পুরুষ নির্যাতন নিয়ে কেউ ঘাটায় না। এদেশের বামধারার ধর্মহীন তথাকথিত নারীবাদী বুদ্ধিজীবিরা মিডিয়ায় এই রোমানা মন্জুরকে নিয়ে মাতামাতি করছে, পরকিয়াকে দিচ্ছে উৎসাহ। মিডিয়ায় পরকিয়াকে উৎসাহ দান চলছে- পারিবারিক সহিংসতা বৃদ্ধি ও পরিবার প্রথাকে দুর্বল করে ধংসের দ্বার প্রান্তে নেয়া হচ্ছে। পুরূষ নির্যাতন নিয়ে কেউ কথা বলেন না। কিন্তু কেন। পরকিয়াকে উৎসাহ দিয়ে পরিবার গুলোকে ভাঙ্গার নীল নকশা.. পরিবারগুলোই তো আমার দেশের সাংস্কৃতির বাহন।

দুটি ছবিসহ আপডেট @ 10-12-11

আমি আমার স্বামীর সাথে প্রতারনা করছি।তার মানে আমি খারাপ বা সস্তা… মেয়ে নই। তোমার সাথে অবৈধ শারীরিক মেলামেশা করছি বলে মনে করার কোন কারন নেই,আমি খারাপ মেয়ে।

রোমানা আরো লিখেছেন,

তোমার যেকোন চুলের কালারের মেয়ে বেছে নেয়ার সম্পূর্ণ যোগ্যতাই আছে তোমার সেক্স পার্টনার হিসেবে, তুমি পারবেও। আমাদের মনে হয় আর এটা(সেক্স) করা ঠিক হবে না। আমি জানি আমার কালো রঙ্গের চুলের কারণে তুমি আমাকে পছন্দ করোনা। কিন্তু আমাদের দেশে আমি বিউটি কুইন, মানুষের নজর দেখে আমি বুঝতে পারি। আমি চাইলেই যে কাউকে পেতে পারি, কিন্তু আমার আসলে দেখতে ভালো নয় এমন কারো সাথে সেক্স করতে ইচ্ছা করেনা।

***
লেখকঃ প্রকৌশলী [খাদ্য প্রযুক্তি]