ঢাবির ন্যায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য আর এক অভিশাপ হাতে চলেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী ও বামপন্থী শিক্ষকরা এবারের ভর্তিতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ঠেকাতে মাঠে নেমেছেন। গত ২৪ আগষ্ট বুধবার একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং এ ডানপন্থী শিক্ষকদের সাথে তারা বির্তকে জড়িয়া পড়েন। শুরু হয় এক তীব্র হট্টগোলের।
"ইসলামী অর্থনীতি কোন অর্থনীতি নয়" বলে আওয়ামী ও বামপন্থী শিক্ষকরা চাইছেন যে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী যারা ইসলামী অর্থনীতি পড়ে এসেছে তারা যেন ভর্তি যুদ্ধে অংশ নিতে না পারেন। উল্লেখ্য যে, বিশ্বের নামকরা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী অর্থনীতির উপর উচ্চতর ডিগ্রী প্রদান করে থাকে।
আওয়ামী ও বামপন্থী শিক্ষকদের এই মনবাসনা পূর্ণ হলে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অর্ন্তভূক্ত বাংলা ও ইংরেজী ছাড়া প্রায় ১০ থেকে ১৫ টি বিষয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ভর্তি যুদ্ধের সুযোগ থেকে বন্চিত হবে। যা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপর একটি আধিকার হরন ও বৈষম্য বটে। এটি মানবাধিকার লংঘনের পর্যায় পড়ে কি না দেখার বিষয়।
ডানপন্থী শিক্ষকরা বলছেন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ভর্তি যুদ্ধে জয়ী হয়েই, নিজ যোগ্যতা প্রমান করেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। তারা এই বৈষম্য মেনে নিবেন না বলে জানিয়েছেন।
***
০২ নভেম্বর, ২০১১ইং এর আপডেট : ২০১১-১২ ইং সনের শাবিপ্রবি'র ভর্তি যুদ্ধে এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থী প্রথমস্থান অর্জন করেন।