মহাশূন্য থেকে যে ভাবে পৃথিবীতে এল পানি!

পাহলোয়ান এরশাদ
Published : 31 Oct 2014, 03:51 PM
Updated : 31 Oct 2014, 03:51 PM

আপনার মনে কি কখনও মনে হয়েছে আপনি যে পানি খাচ্ছেন এই পানি কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে বা কোথা থেকে এই পানি এসেছিল এই পৃথিবীতে ? বা এই পানির বয়সই বা কত? হয়ত বলতে পারেন মাটির নিচে খুড়লেই তো পানি পাওয়া যায় আসবে কোথা থেকে। আপনি যে পানি খাচ্ছেন বা ব্যাবহার করছেন অথবা নষ্ট করছেন তার বয়স লক্ষ –লক্ষ বছর থেকে শতকোটি বছর। অনেক পানি আছে যাদের বয়স পৃথিবীর বয়সের চেয়েও অনেক বেশি, পানি সৃষ্টি হয়েছিল পৃথিবী সৃষ্টির অনেক পূর্বে। পৃথিবী সৃষ্টির প্রায় ২০০ মিলিয়ন বছর পর অগভীর সমুদ্র সৃষ্টি হয়ছিল। পৃথিবীর আয়তনের ৭৫ ভাগ এখন পানি দ্বারা আবৃত কিন্তু এই বিশাল জলরাশি এল কী ভাবে? এই প্রশ্নই ভূতত্ত্ববিদ দের তারা করে বেড়িয়েছে বছরের পর বছর ধরে। কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তর নিহিত ছিল পৃথিবীর বাইরে।

১৯৯৮ সালে পাওয়া একটি উল্কা খন্ড বিশ্লেষণে এর ভিতর পানির অস্তিত্ব ধরা পরে । নাসার বিজ্ঞানীগণ অনুবীক্ষন যন্ত্রের নিচে দেখতে পান ওই উল্কাপিণ্ডে একটি লবনকনার অস্তিত্ত্ব যার ভিতর একটি ক্ষুদ্র পানির কনা ছিল। পরে ওই পানির কনার বয়স হিসেব করা হয় যার বয়স ছিল পৃথিবীর সমান অর্থাৎ ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর। সুতরাং বিজ্ঞানীগণ এই সিন্ধান্তে আসেন যে, উল্কাই পৃথিবীতে প্রথম পানি বহন করে নিয়ে আসে। এই প্রথম ধরা পরে পৃথিবীর বাইরেও পানির অস্তিত্ব বিদ্যমান । কিন্তূ বিশাল মহাসমুদ্র কিভাবে এই উল্কার বয়ে নিয়ে আসা পানি দ্বারা তৈরি হল? এর উত্তর দিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীগণ। তাদের মতে শত শত কোটি বছরে আসা বিলিয়ন বিলিয়ন উল্কাই এই পৃথিবীতে পানি নিয়ে এসেছে।
অতএব আমরা যে পানি পান করছি তা মূলত আমাদের এই পৃথিবীর বাইরে সৃষ্টি হওয়া, আর এর পরিমান সীমিত, যার সঠিক ব্যাবহার আমাদের করা উচিৎ ।