লিটন নন্দীকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমার নেই , তাকে কোন বিশেষনে বিশেষিত করব ভেবে পাচ্ছিনা । এই যুগে এমন মানুষ বিরল, যে এতগুলো উন্মাদের সাথে যুদ্ধ করেছে! আমি তার ধর্ম বুঝি না রাজনীতিও বুঝি না। বুঝলাম শুধু সে একজন প্রকৃত মানুষ । আমরা শিক্ষিত হচ্ছি বটে কিন্তু মানুষ হচ্ছি কি? আমেরিকা, ইউরোপ কিংবা পার্শ্ববর্তীদেশ ভারতে কোন ধর্ষনের বা শ্লীলতা হানির ঘটনা ঘটলে আমাদের দেশের মিডিয়া এমন ভাবে প্রচার করে ঐ দেশের সব মানুষই ধর্ষক বা লম্পট আর আমরা নিজেরা সাধু। আমরা কখনো কি প্রশ্ন করেছি আমি বা আমরা প্রকৃত পক্ষে কতটুক ভদ্র মানুষ?
ইউরোপ-আমেরিকার মানুষকে বিয়ার, রেড ওয়াইন কিংবা স্কচ হুইস্কি খেতে দেখে আমারা ভাবি এরা সবাই মাতাল, কিন্তু না .. ড্রিংকস করলেও বোধকরি আমাদের মত মাতাল না। আমরা মদ না খেয়েও মাতলামি করি, কাপুরুষ হয়েও নিজেকে সুপুরুষ ভাবি। প্রকাশ্য উন্মত্ত উন্মাদ রা যে বীভৎস ঘটনা ঘটাল তাতে জাতি হিসেবে আমাদের মানসন্মান কোথায় নিয়ে গেল একবার ভেবে দেখেছ কি? এত নিজেদের সুপুরুষ দাবি করা কাপুরুষরা থাকা সত্ত্বেও কিছু লম্পট কি ভাবে এমন কাজ করল? তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এমন ঘটনা ঘটার পরেও কবি কেন এখনও নিরব?
যারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখেছে তাদের জন্য মঙ্গল পান্ডের উক্তিটি "কাপুরুষ! ভীরু মেষশাবক! দাঁড়িয়ে দেখছ কী? এখনো দাঁড়িয়ে আছো নির্বাক অচল কাঠের পুতুলের মত? লজ্জা কি নেই তোমাদের, ভুলে গেছো কি রানী ঝিন্দনের নির্বাসন? পাঞ্ঝাবের দাসত্ব? শ্রীমন্তের প্রতি নানা সাহেবের অবিচার? ভেলোরের রক্তপাত? রানী লক্ষ্মীবাঈয়ের অশ্রুমোচন? অযোধ্যার অপমান? প্রতাপের রক্ত! শিবাজীর রক্ত! ভোলেনি ভারত_ভোলেনি সে কথা। ওঠো, জাগো। জাগো হে বীর। ঋণ শোধের দিন আজ।"