অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণের অসম্পূর্ণতা

Published : 1 Feb 2011, 09:51 AM
Updated : 6 Dec 2011, 01:14 PM

গত ২৮ নভেম্বর তারিখে সংসদে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ (সংশোধন) বিল -২০১১কন্ঠ ভোটে পাশ হয়েছে। এখন অপেক্ষা অ্যাক্ট আকারে গেজেট জারির। গণমাধ্যমে এ বিলের বিষয় অতি সংক্ষেপে যতটুকু অংশ প্রকাশিত হয়েছে ততটুকুনকে ন্যূনতম সাধুবাদ জানানো গেলেও পুরোপুরি সাধুবাদ জানানো যাচ্ছে না। তার অনেকগুলো কারণ রয়েছে।

যদিও এই বিলের মধ্যে এতটুকু আনতেই দীর্ঘতর গবেষণা , দীর্ঘ আন্দোলন , সংগ্রাম করতে হয়েছে। না জানি পুরো সাফল্য আদায়ের জন্য আরো কতটা লড়াই করতে হয়। এর আগে অনেকবার খোদ অর্পিত সম্পত্তি আইনটিকেই অনেকবার কাটাছেঁড়াও করা হয়েছে।

১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের যেসব হিন্দু নাগরিক ভারতে চলে গিয়েছিলেন তাদের যে সব সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি ঘোষণা করে সরকার গ্রহন করেছিল এবং হেফাজতে(কাষ্টডিয়ান) নিয়েছিল তা ফেরত দেওয়াই এ আইনের লক্ষ্য বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।

পাকিস্তান আমলে এই অর্পিত সম্পত্তির নাম ছিল শত্রু সম্পত্তি । এ বিষয়ে পাকিস্তান আমলে একটি আইন ছিল যার নাম ছিল 'শত্রু সম্পত্তি আইন'। পাক ভারত যুদ্ধের সময় ১৯৬৫ সালের শেষ দিক থেকে ১৯৬৯ সালের শুরুর দিক পর্যন্ত সময়ে যারা ভারতে অবস্থান করছিলেন বা ভারতে গিয়েছিলেন তারাই ওই বিধির আওতায় শত্রু বলে অভিহিত হতো। ১৯৭১ সালে নয় মাস ধরে দেশের সকল ধর্ম, বর্ণ বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর মানুষের অংশগ্রহণে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাঙালিদের একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র পাওয়া অর্জিত হয়। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে লড়াই তাদের তৈরি করা আইনই কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া বা বিকার ছাড়াই নতুন পাত্রে মোড়কজাত করে পরিবেশন করা হয়। আর তাই স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পরেও সংখ্যালঘু ধর্মীয় গোষ্ঠীকে ওই আইনটিই মিথ অফ সিসিফাসের দৈবের মতো ভারি পাথরের বোঝা বয়ে বেড়াতে হয়। শত্রু সম্পত্তিকে একটি সহনশীল নরম ময়ান দিয়ে 'অর্পিত সম্পত্তি আইন' বলে পরিবেশন করা হয়। ১৯৭৪ সালে এ আইনটিকে বাতিল করা এবং সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগও বাতিলের রায় বহাল রাখলেও বিভিন্ন সরকার আমলে বিভিন্ন কায়দায় ওই অর্পিত সম্পত্তি আইনকে চালু রাখে। দীর্ঘ দিন ধরে নির্বিচারে যারা এ দেশ ছেড়ে একবারের জন্য অন্য দেশে এমনকি বেড়াতেও যাননি তাদের সম্পত্তিও শত্রু সম্পত্তি হিসাবে তালিকায় এনে জোর জবর দখল করে সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দলের পান্ডারা। আর এসব ট্র্যাজেডির সুরাহা না করে দিনের পর দিন বছরের পর বছর ঝুলিয়ে রেখে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কীভাবে চলে?

এরপর অনেক আন্দোলন অনেক সংগ্রাম, অনেক আলাচনা -সমালোচনা। আর এ সংশোধনীকে বাস্তবে প্রয়োগ করতে ঝুটঝামেলাতো রয়েছেই।

২০০১ সালের ১১ এপ্রিল তারিখে "অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন,২০১১" শিরোনামে তালিকাভূক্ত কতিপয় সম্পত্তি বাংলাদেশী মূল মালিক বা তার বাংলাদেশী উত্তরাধিকারী বা মূল মালিক বা উত্তরাধিকারীর বাংলাদেশী স্বার্থধিকারী (সাকশেসর ইন ইন্টারেস্ট)এর নিকট প্রত্যর্পণ এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন কল্পে প্রণীত আইন উল্লেখ করে আইন করা হয়। পরের বছর সেটার উপর আবার সংশোধনী আনা হয়। সে আইনের ত্রুটি ও সীমাবদ্ধতা সাড়তে গত ২৮ নভেম্বর এই সংশোধনী আনা হয় বিল আকারে। এই কাটাকুটি ব্যবচ্ছেদের মধ্যেই পার হয়ে যায় অনেক সময়।

এ সংশোধনী আনার আগে দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গনতন্ত্রমনা প্রগতিশীল সুধীজনদের নিয়ে অর্পিত সম্পত্তি আইন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়। তাঁরা এ আইনের সংশোধনীর জন্য বিভিন্ন সুপারিশ করেন সরকারের কাছে।

সুধীজনের সঙ্গে আমারও ভাষ্য সংশোধনীতে আংশিক দাবি মানা হয়েছে। পুরো দাবি মানা হয়নি।

বিলে সহ অংশীদারদের দাবি মানা হলেও একই পরিবারের সদস্য অথচ অংশীদার নন তাদেরকে নাম মাত্র মূল্যে /প্রতীকি মূল্যে অর্পিত সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়,ভাই ভাইয়ের সম্পত্তির সহ অংশীদার না হলেও এক ভাইয়ের অধিগ্রহনকৃত সম্পত্তি অপর ভাইকে ইজারা বা লীজ দেয়াতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কিন্তু এই বিলে সেটি সন্নিবেশিত করা হয়নি। আর তাই ক্ষতিগ্রস্থরা এর সুফল পাবে না।

যদি কোন ব্যক্তি অথবা সংস্থাকে স্থায়ীভাবে এসব সম্পত্তির ইজারা দেয়া হয় তবে সেগুলোর প্রত্যর্পনের দরকার নেই। কিন্তু তা যদি না দেয়া হয় তবে সেগুলো অবশ্যই সহ অংশীদারদের মাঝে ফিরিয়ে দেয়া উচিৎ।

অথচ বঙ্গবন্ধু সরকার আমলে ১৯৭৪ সালের ২৩ মার্চ তারিখে এ আইনটি বাতিল করা হয়েছিল।। সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগও সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন যে ১৯৭৪ সালের পরে অর্পিত সম্পত্তির অস্তিত্ব আর থাকবে না। কিন্তু ওই সময়ের পরে ২০১১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সরকার আদালতের আদেশ অমান্য করে অর্পিত সম্পত্তি আইন চালু রেখে বিভিন্ন কায়দায় অবৈধভাবে সংখ্যালঘু ধর্মীয় ব্যক্তিদের সম্পত্তি অধিগ্রহন করে। গত ২৮ নভেম্বরের অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন সংশোধনী বিলে কিন্তু ১৯৭৪ সালের পরবর্তী সরকারগুলোর ওই অবৈধ অধিগ্রহন বাতিল এবং যেসব সংখ্যালঘু ভিটে মাটি ছেড়ে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছিল তাদেরকে তাদের সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কোন বিধান সন্নিবেশিত হয়নি।

প্রতিরোধ কমিটির দাবি ছিল সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি কখনোই ১/১ (এক বাই এক) নম্বর খতিয়ানে দেখানো যাবে না। অথচ সংশোধিত এ বিলে সুনির্দিষ্টভাবে সেসব রাখা হবে– তার আলামত দেখা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশের বাইরে যারা চলে গেছেন, যেমন আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অষ্ট্রেলিয়া বা ইউরোপের অন্য দেশে , দেখা গেছে তাদের সম্পত্তিও ১/১ নম্বর খতিয়ানে দেখানো হয়েছে। আর এসব খতিয়ানে তাদের ঠিকানা হাল সাং- ভারত লেখা হয়েছে যা সংবিধান পরিপন্থী। তারাতো এ দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেননি। তাদের সম্পত্তি ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে বিলে কী উল্লেখ করা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। আর এ প্রকারের সম্পত্তি ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে কী পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে তাও স্পষ্ট নয়। যদিও পাসকৃত বিলের ৯(খ) ধারায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জেলা রেজিষ্ট্রার, স্থানীয় একজন সাংসদসহ সাত সদস্যের জেলা কমিটির কথা বলা হয়েছে । আর ৯(গ) ধারায় ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে আট সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। এদের কাজ কীরকম হবে তাও জানা যায়নি। এ জন্য কোন মন্তব্যও করা যাচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে পরে আরো লেখার আশা রইলো।

এখন এ আইনের উদ্ভব বিকাশ ও ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকানো্ যাক। এ দেশে প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে শত্রুপক্ষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার লক্ষ্যে ব্রিটিশ সরকার শত্রু প্রতিষ্ঠান আইন ১৯১৬ প্রণয়ন করে। এ যুদ্ধের পর পরই ব্রিটিশ সরকার শত্রুপক্ষ জার্মানির প্রতিনিধি, জার্মানির মিশন ও মিশনের আওতাভূক্ত সম্পত্তি নিয়ন্ত্রনের জন্য 'শত্রুমিশন আইন ১৯২১' প্রনয়ণ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৩৯-১৯৪৫ সালের মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িত রাষ্ট্রগুলো এক রাষ্ট্র থেকে অন্য রাষ্ট্রে অবস্থিত তাদের সম্পত্তি যাতে যুদ্ধের পক্ষে কাজে লাগাতে না পারে সেজন্য শত্রু সম্পত্তি আইন জারি করেছিল। কিন্তু যুদ্ধ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই আইনও রদ হয়ে যায়। ১৯৬২ সালে চীন–ভারত যুদ্ধের সময় উভয় দেশই শত্রু সম্পত্তি আইন চালু করে। আবার ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় পাকিস্তান এবং ভারতও শত্রু সম্পত্তি আইন চালু করে। শাসকশ্রেনী ১৯৭৭ এবং ১৯৯৩ সালে দুইটি সার্কুলার জারির মাধ্যমে শত্রু সম্পত্তির তালিকা যাচাইয়ের নামে লুকানো সম্পত্তি খুঁজে বের করার নির্দেশ দেয়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল হিন্দুদের সম্পত্তি নতুন করে তালিকাভূক্ত করা। তবে ১৯৮৪ সালের ৬ অগাষ্ট তারিখে একটি সার্কুলার হয় যে, নতুন করে কোন সম্পত্তি আর শত্রু সম্পত্তি(অর্পিত সম্পত্তি) হিসাবে অধিগ্রহন করা হবে না। আর ১৯৯৬ সালের ১০ এবং ১৪ নভেম্বরে তৎকালীন সরকারের কাছ থেকে আসে আরো দুইটি সার্কুলার যে গুলো অল্প মাত্রায় হলেও ======সদর্থক দিকে নিয়ে যায়।

তৎকালীন আইয়ূব সরকার কর্তৃক "ডিফেন্স অব পাকিস্তান রুলস ১৯৬৫", "এনিমি প্রপার্টি (কাষ্টডি এ্যন্ড রেজিষ্ট্রেশন ), অর্ডার" এবং "ইষ্ট পাকিস্তান (ল্যান্ড এ্যন্ড বিল্ডিংস) এ্যডমিনিষ্ট্রেশন এ্যন্ড ডিসপোজাল অর্ডার ১৯৬৬" জারি করে। এর আগে ১৯৪৭ এর দেশ ভাগ, ৪৯ এবং ৬৪ এর দাঙ্গার পর যারা তাদের অংশের সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা, তদারকির দায়িত্ব তাদের পরিবারের সদস্যসহ অংশীদারসহ মালিক এবং অন্যান্য আত্মীয় স্বজনদের বা অন্য নাগরিকদের ওপর সংরক্ষণ বা ব্যবস্থার ভার অর্পন করে দেশত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বা অন্যদেশে চলে যান তাদের সকল প্রকার সম্পত্তিগুলোও শত্রু সম্পত্তি হিসাবে তালিকাভূক্ত করা হয়। এমনকি যেসব হিন্দু নাগরিক কখনোই ভারতে যাননি তাদের সম্পত্তিগুলোও শত্রু সম্পত্তি হিসাবে তালিকায় আনা হয়।

১৯৬৫ সাল থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একই উদ্দেশ্যে তদানীন্তন ব্রিটিশ সরকার 'ভারত প্রতিরক্ষা আইন' কার্যকর করে। প্রতিপক্ষের সম্পত্তি সমূহের দখল ও পরিচালনার বৈধতা নিয়ে আসে। ১৯৬২ সালে চীন-ভারত যুদ্ধের সময় উভয় দেশই শত্রু সম্পত্তি আইন জারি করে।

আমাদের দেশে ভারত বিভক্তির পর তৎকালীন পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে যাওয়া সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায় হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টানদের ফেলে যাওয়া সম্পত্তি অর্থাৎ অগাষ্ট ১৯৪৭ থেকে ১৯৬৫ এর সেপ্টেম্বরের যুদ্ধের পূর্বেকার সম্পত্তিকে ন্যস্ত সম্পত্তি বলা হয়। প্রথমে 'পূর্ববঙ্গ বাস্তুত্যাগী আইন ১৯৪৯' পরে 'লিয়াকত নেহেরু চুক্তি ১৯৫০' এর আওতায় ভারতে গমনকারীরা ফিরে আসলে তাদের সম্পত্তির দখল ও ফেরতদানের ব্যবস্থা সংবলিত আইন তৈরি করা হয়। ফেরত দানের জন্য 'বাস্তুত্যাগী আইন আইন ১৯৪৯' বাতিল করে পূর্ববঙ্গ বাস্তুত্যাগী 'স্থানান্তর সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা আইন ১৯৫১' প্রণীত হয়। এ আইনরে মাধ্যমে জমি স্বল্প মেয়াদে বন্দোবস্তের ব্যবস্থা রাখা হয়।

অর্পিত সম্পত্তি মূলত পাক ভারত যুদ্ধকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়। ১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর যুদ্ধ আরম্ভ হলে পাকিস্তান সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা বিধি ১৯৬৫ এর ১৮২ নম্বর বিধি জারি করেন। মাত্র ১৭ দিন যুদ্ধ চলার পর যুদ্ধ বিরতি চুক্তি সম্পাদিত হলেও পাকিস্থানে জরুরি অবস্থা ১৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বহাল রাখা হয়। তাই ১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তারিখ থেকে ১৯৬৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখ পর্যন্ত সময়ে যারা ভারতে অবস্থান করছিলেন বা ভারতে গিয়েছিলেন তারাই ওই বিধির আওতায় শত্রু বলে অভিহিত ।

বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের পর রাষ্ট্রপতির আদেশ(পি.ও) ২৯/৭২ অর্থাৎ " দি বাংলাদেশ ভেসটিং অব প্রপার্টি এ্যন্ড এ্যসেস্টস অর্ডার" জারি করা হয় এবং এটিকে কার্যকর করা হয় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে। পরে কয়েকবার এ আইনকে ঘিরে সংশোধন আনা হয়।

কেউ কেউ বলছেন যে এ আইনটিকে একেবারেই বাতিল করে দেয়া হোক। পরের বিষয় কী হবে সেটি আইনই বলে দেবে। আর এটি করলে এত সব ঝামেলা পোহাতে হবে না। যা হোক, প্রথম পথই দেখিয়ে দেবে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য পরের পথের ঠিকানা। আমরা সে আশা নিয়েই অপেক্ষা করছি।

প্রকাশ বিশ্বাস: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আদালত প্রতিবেদক।