একজন মেধাবী মেয়ের কথা শুনুন

ফারাবী
Published : 7 Oct 2011, 09:42 AM
Updated : 7 Oct 2011, 09:42 AM

কোন মেয়ের যদি পিতা মারা যায় এবং ঠিক ১ সপ্তাহ পর যদি মেয়েটির মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা থাকে তাহলে এই মেয়েটিকে হতভাগা ছাড়া আর কি বলতে পারেন ? ঠিক এমন টাই হয়েছে আমার নিজের বোনের বেলায়। আমার পিতা গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে মারা গেছেন। উনার লিভারে সমস্যা ছিল। আর আমার বোনের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর। পিতার চাকরির কারণে আমরা সিলেটে থাকতাম। কিন্তু আমাদের বাড়ী ব্রাহ্মনবাড়ীয়া সদরে। ফলে ২২ তারিখ রাতেই আমাদের লাশ নিয়ে ব্রাহ্মনবাড়ীয়া যেতে হয়। পরেরদিন লাশ দাফন কাফনের পর আমরা দেশের বাড়ীতে আর ১ দিন থাকি। অর্থ্যাৎ ২৪ সেপ্টেম্বর আমরা সিলেটে আসি। বাসায় এসে আমরা সবাই আমাদের পিতার জন্য কান্নাকাটি করছি। পড়াশোনা তো দূরের কথা খাওয়া দাওয়া করার মন মানসিকতা নেই। এই অবস্থায় আমার এক মাত্র বোন ২৫ সেপ্টেম্বর তারিখে পড়ার টেবিলে বসে। মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার আছে আর মাত্র ৪ দিন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য সে সম্মিলিত মেধা তালিকায় সারা দেশে ১১৮০ তম হয় এবং তার ৩য় পছন্দ অনুসারে সে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়। আমরা কখন কল্পনাও করিনি যে সে এত ভাল করবে। আসলে এই দেশের ছাত্র- ছাত্রীরা খুব মেধাবী। পড়াশোনার ভাল সুযোগ পেলে তারা চমৎকার সাফল্য এনে দেয়। ইনশাল্লাহ আমার বোন বাংলাদেশের এক জন বড় মাপের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ হবে।