আমাদের আজকের আখ্যানের প্রোটাগনিস্ট মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শিবু সামিউর মহাদেব শিবের ভক্ত নন, তবুও নাম তাঁর শিবু।
নামে কীইবা আসে যায়? মানুষ বাঁচে তাঁর কর্মে।
পেশায় চিকিৎসক অসাম্প্রদায়িক ও সাম্যবাদী এই শিবু বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই একজন নেশাগ্রস্ত ভ্রমণবিলাসী।
সেদিন ভরা বর্ষার পূর্ণিমাকালে বাল্যবন্ধুদের সাথে নিয়ে অনিন্দ্য সুন্দরবনে বেড়াতে গেল শিবু। ইউনেস্কোর বিশ্ব ম্যানগ্রোভ হেরিটেজ সুন্দরবনের নদনদীতে নিশাকালে গায়ে জোছনা মেখে হাওয়া খেয়ে খেয়ে নৌযানে অরণ্যযাপন অভাবনীয় সুখানুভূতি বটে। চাঁদের মায়াবী আলো, অন্ধকার বনের শোভা আর জলের ঢেউয়ে সুরের নাচন, যেন অপার্থিব পরিবেশ!
বনের কচিখালি, হিরণপয়েন্ট, কটকা, দুবলার চর ও করমজল পার হওয়ার পর লাউডুবের খাড়িতে শিবুদের নৌযান বাঁক নিতে গিয়ে স্রোতের টানে ডুবে গেল। বন্ধুদের সবাই চলনসই সাঁতারু তাই জলডুবিতে মরবার ভয় কাউকে গ্রাস করল না। কিন্তু সেখানে নৌকাডুবির জোছনা রাত নেমেছে, হয়ত বাঘের ভয় ছিল বলেই।
যে যার মতো সাঁতরে পারে উঠল ওরা। কিন্তু ঝাউয়ের সারি সারি গাছ ছাড়া কিছু দেখতে পেল না শিবু। শেয়াল ভোঁদড়ের বিশ্রাম বিরতির নৈশস্বর কানে বাঁজল তাঁর। তবে বাঘের ভয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো পড়িমরি দৌঁড়াতে লাগল শিবু।
পরদিন সকালে এক নির্জন দ্বীপে লাল কাঁকড়া ও কাছিম পরিবেষ্টিত হয়ে বালু চরে নিজেকে খুঁজে পেল সে।
নিজেকে হারিয়ে না ফেলে ব্রিটিশ অভিযাত্রী বিয়ার গ্রিলসকে স্মরণে আনতে পারল শিবু। জীবন বাঁচাতে জলখাবারের ব্যবস্থা না হয় করা গেল, কিন্তু অরণ্যের হিংস্রতাকে সামাল দেয়ার উপায় ভাবতে পারল না সে। নিজেকে বড় অসহায় বোধ করতে লাগল। নিজের চিকিৎসক স্ত্রী মীম ও সন্তানের মুখের কথা স্মরণ করে কান্না চাপতে পারল না শিবু। নিজের জন্য নয় বেবীটার জন্য হলেও ওকে বাঁচতে হবে।
মাস গড়িয়ে গেল। নিজেকে উদ্ধার পাওয়ার আশা দেখলনা শিবু। এরইমধ্যে নিজের বুদ্ধি কৌশলে তাঁর দুর্বিষহ অরণ্যবাসকেই রীতিমতো প্রায় স্বাভাবিক করে নিয়েছে সে। গাজী কালুর ভক্ত নয়, তবু কী এক যাদুবলে সুন্দরবনের হিংস্রতা ও সৌন্দর্যের প্রতীক বাঘের সাথেও সখ্যতা গরে তুলেছে শিবু। সেখানে কুমির, চিত্রল মায়া হরিণ, বন্য শূকর, বানর, সর্পকূল, পাখপাখালি বা বাহারি মৎসের বন্ধুতা শিবুর কাছে ডালভাত। শিবুর মনে এই প্রতীতি জন্মাল যে, অরণ্য তবে অন্ধকার অসভ্যতার আবাসস্থল নয়!
নির্জন এই ভার্জিন দ্বীপে প্রথম ও একমাত্র মানব হিসেবে শিবু এর নাম দিয়েছে 'অ্যাডাম আইল্যান্ড'। মানুষের ভাষায় অসভ্য দাঁতাল শুয়োরের আস্তানা এই বনকে এখন ওর কাছে মনে হয় প্রকৃত সভ্যতার আঁতুড়ঘর। প্রতিদিন নিয়ম করে স্বয়ং বিনয়াবনত ব্যাঘ্র লিডার এসেও ওর সাথে দেখা দিয়ে কুশলাদি জিজ্ঞেস করে যায়। অরণ্যের বন্যরাই এখন শিবুর সখা। স্বপ্নাচারী শিবু তাই ঘুমঘোরে বিশ্ব সভ্যতার পাঠও নিতে পারে।
অ্যাডাম আইল্যান্ডে থাকা আফ্রিকান বানরের বংশধরেরা শিবুর কাছে বসে মানবেতিসের গল্প শোনায়।
আধুনিক মানুষ বা Modern Human এর উৎপত্তি 'আফ্রিকা' থেকে হয়েছে এই তত্ত্ব এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গৃহীত মতবাদ। প্রায় দু লক্ষ হতে ষাট হাজার বছর আগে আফ্রিকাতে প্রথম 'শারীরতাত্ত্বিকভাবে আধুনিক মানুষ' বা 'Anatomically Modern Human' এর আবির্ভাব হয়। এর অর্থ হল, ঐ সময় প্রথম Homo Sapiens এর আবির্ভাব ঘটে যাদের শারীরিক গঠন বর্তমান মানবসম্প্রদায়ের গঠনরূপ ধারণ করে।
এটাই হলো, আফ্রিকান উৎপত্তি মতবাদ (Out of Africa theory)।
আফ্রিকান বানররা মানুষের নিকটতম আত্মীয়। এর মাঝে নিকটতম হল শিম্পাঞ্জী। ক্রমান্বয়ে আসে বনবো, গরিলা, পঙ্গ, গিবন ইত্যাদি। মানুষ এবং শিম্পাঞ্জী উভয় ই Hominidae family এর অন্তর্ভূক্ত।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ শহরের পশ্চিমাঞ্চলের স্টের্কফন্টেইন গুহা ও এর কাছাকাছি এলাকায় মারোফেং সভ্যতার নিদর্শন হিসেবে প্রাচীণ মানবজাতির জীবাশ্ম পাওয়া গেছে । প্রাপ্য এ ধ্বংসাবশেষ প্রমাণ করেছে যে, আফ্রিকা হলো মানবজাতির উৎসস্থান।
শিবু নিজের অস্তিত্বের আদি ইতিহাস জেনে আফ্রিকানদের প্রতি অবনত হয়।
দ্বীপের এককোষী অ্যামিবা তাঁকে বলে…
প্রায় ২৫০ কোটি বছর পূর্বে কিছু 'বিশেষ' ব্যাকটেরিয়া সূর্য থেকে আসা শক্তি ব্যবহার করে জীবন ধারণ করা শুরু করল। জীবন ধারণের এ প্রক্রিয়ায় তারা পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ন বর্জ্য পদার্থটি উৎপাদন ও নিঃসরণ শুরু করল, যার নাম 'অক্সিজেন'। সুতরাং আমরা এখন যে অক্সিজেনের সাহায্য বেঁচে আছি তা আমাদের আদি প্রাণের উচ্ছিষ্ট ছাড়া কিছুই নয়।
বিস্ময়াভিভূত শিবু মধ্যরাতেই জেগে উঠে। ভাবে, প্রকৃতির উচ্ছিষ্টভোগী মানুষের তবে এতো অহংকার কীসে?
অরণ্যবাসী শিবুর কয়েক মাস কেটে গেল, কেউ তাকে উদ্ধার করতে এলো না। তবে স্বজনদের ভাবনায় মাঝে মাঝেই আচ্ছন্ন হয় সে। ইতোমধ্যে দাড়ি গোঁফ বড় হয়ে প্রায় জঙ্গল হয়ে গেছে তাঁর। হঠাৎ একদিন সে দেখল, দ্বীপের অনেক দূর দিয়ে একটি জাহাজ এগিয়ে যাচ্ছে। হাত পা নেড়ে বৃক্ষের ডালপালা দুলিয়ে অবশেষে সে সক্ষম হলো জাহাজটির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। জাহাজটি থেকে একটি ছোট নৌকা নামানো হলো। নৌকাটি দ্বীপের পাশে এসে থামল। নৌকা থেকে একজন নাবিক এক বছরের দৈনিক সংবাদপত্র নিয়ে নামল দ্বীপে।
'এতসব খবরের কাগজ কেন?' অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল শিবু।
নাবিক বলল, 'ক্যাপ্টেন আপনাকে অনুরোধ করেছেন গত কয়েক মাসের এ সংবাদপত্রগুলো পড়তে। তারপরও যদি আপনার লোকালয়ে ফেরার ইচ্ছে থাকে, তাহলে আপনাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হবে।'
সন্তানের কথা মনে পড়ল শিবুর। তাই লোকালয়ে ফেরার ইচ্ছায় গড়গড় করে প্রায় নিঃশ্বাস বন্ধ করে পড়ে যেতে লাগল বাংলাদেশের দৈনিক পত্রিকার শিরোনাম।
গমমন্ত্রী কামরুল ব্রাজিল থেকে পঁচা গম এনে পাবলিককে খাওয়াতে চাইলেও হাইকোর্ট বলেছে ঐ গম কাউকে খাওয়াতে জোর করা যাবে না। আবার গায়ের জোরে সেই কোর্ট আদেশ অনন্তকালের জন্য স্থগিতও করা হয়েছে!
সিলেটে শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যার ভিডিও প্রকাশ করে হন্তারকদের নারকীয় উল্লাস। টাকা নিয়ে এই হত্যার মূল আসামী কামরুলকে সৌদি পাঠিয়ে দিল পুলিশ!
মাগুরায় ছাত্রলীগের খুনোখুনির গুলিতে এবার বিদ্ধ হলো গর্ভের সন্তান। সেই সন্তান সুরাইয়ার চিকিৎসার দায়িত্ব নিল সরকার। তবে ছাত্রলীগের দুর্বৃত্তায়নের দায়িত্ব নেয়ার সক্ষমতা হয়ত কারো নেই!
এবার খুলনায় পায়ুপথে কম্প্রেসরের হাওয়া ঢুকিয়ে শিশু রাকিব হত্যা। প্রতি ঘরে ঘরে মানসিক রোগের হাসপাতাল স্থাপনের সময় এসেছে। নইলে পুরো দেশটাই একসময় অনাচার ও অসভ্যতার পায়ুপথ হয়ে উঠবে!
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছেলে শওকত আলীর মানবেতর জীবনযাপন। একপক্ষ দয়াপরবশ হয়ে শওকতের পক্ষে চাঁদা তুলছে। অপরপক্ষ বিষয়টিকে সাজানো নাটক বলছে। কোনোদিন কোনো ইস্যুতেই এক হওয়ার নজির বাঙালির নেই!
এবার শিবু মন দেয় ভিন্ন খবরে।
সম্প্রতি মানব সভ্যতার যাত্রা শুরু হওয়া আফ্রিকায় এক সপ্তাহ থেকে এসে সেই আফ্রিকা নিয়ে সংসদ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য ইলিয়াস মোল্লাহ বলেন, "ওখানকার (আফ্রিকার)কালো কালো মানুষ এখনও সভ্যতা পায়নি। তারা ১৫ দিন পর পর গোসল করে। গোসল করার সময় সাবান মেখে গায়ে পানি দেয় না। কারণ ওখান থেকে সুগন্ধি বের হয়।"
শিবু'র চিন্তায় এবার আমাদের মহান সংবিধানঃ
বাংলাদেশ সংবিধানের ২৮(১) ধারায় আছে, 'কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ ভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না।'
সেই সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়ে বর্ণবাদী সাংসদ ইলিয়াস মোল্লাহ তবে কিভাবে এমন করে সংবিধানবিরোধী কাজ করে যান?
আসলে তিনি সংবিধান পড়তে পারেন, এ কথা গন্ডমূর্খও বিশ্বাস করবে না।
কিঞ্চিত বিদ্যা বুদ্ধি থাকলেও মোল্লাহ বুঝতেন, কোনো মানুষকে বর্ণের পরিচয়ে চিহ্নিত করা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটা সভ্যতার চরম বিরোধিতা! বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী দল সেখানকার মানুষকে কথিত সংস্কৃতি বা আচরণ শেখাতে যায় না। তারা যায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে।
সবশেষে যুগান্তর পত্রিকায় শিবু'র নজর আটকাল।
ঢামেক হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসকের অভদ্র আচরণ।
ডা. মীমের অত্যাচারে শ্বশুর শাশুড়ি বাড়িছাড়া।
ডা. মীমকে বরখাস্তের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।
এবার শিবু'র চক্ষু ছানাবড়া! এযে তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীর কথাই লেখা। বৌটি একটু রাশভারী। কম কথা বলে। সংসারে স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য বাইরে প্র্যাকটিচও করে। তাই বলে একজন বিনাভোটি সাংসদকে নিজের চেয়ার থেকে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেবেন এমন মানুষ মীম না।
ঐ পত্রিকার মালিক ও প্রকাশক ক্ষমতাধর বাবুল সাহেবের স্ত্রী সালমা ইসলাম একজন চুনোপুটি মীমের বিরুদ্ধে স্রেফ নিজের বাড়বাড়ন্তপণা প্রকাশ করতে নিজের পত্রিকায় এসব লিখতে পারেন, এ যে অবিশ্বাস্য!
সামাজিক মাধ্যমেও এ বিষয়ে ঝড় উঠে, সেসব নিয়েও পত্রিকাওয়ালারা স্টোরি করেছে।
ব্লগার অমি রহমান পিয়াল তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে স্পষ্টতই বলেছেন,
যুগান্তর পত্রিকার নিউজে মীমের সামাজিক জীবন তো হুমকির মুখে পড়েছেই, এবার চাকুরিটাও যায় যায়। এই দেশের বড়লোকেরা আগে টাকা হলে কুত্তা পালতেন, এখন পত্রিকা খোলেন। ভবিষ্যতে আর কোনো ডাক্তার মীমের মতো এমন ভুল যাতে না করে সেজন্য দেশের সব কটা চিকিৎসালয়ে এবং ক্লিনিকে ক্ষমতাবান ও বড়লোকদের বউ সন্তানসহ ছবি ও পরিচিতির তালিকা টানানোর দাবি জানাই। এবং সকল বিভাগে একটি বাড়তি আরামদায়ক চেয়ার রেখে দেওয়া হোক যার ওপর 'ক্ষমতাবানদের পাছার জন্য সংরক্ষিত' লেখা থাকবে।
মীমই হোক এই ক্ষমতার লড়াইয়ের শেষ বলি।
কিংবা মীমকে দিয়েই শেষ হোক ক্ষমতার অপব্যবহার…!
অন্যরাও লিখেছেন, আমাকে একটা মিডিয়া দাও, আমি তিলকে তাল বানিয়ে দেব। মানুষকে গিনিপিগ বানিয়ে দেব। ইত্যাদি।
কয়েকমাসের পত্রিকার শিরোনাম পড়েই আমাদের শিবু'র মাথাটা ভনভন করে ঘুরছে।
সভ্যতা অর্থ যদি হয়, সভ্য জাতির জীবনযাত্রা নির্বাহের পদ্ধতি, সাহিত্য, শিল্প, বিজ্ঞান, দর্শন, ধর্ম ও বিবিধ বিদ্যা অনুশীলনহেতু মন ও মস্তিষ্কের উৎকর্ষ সাধন, তবে সেই সভ্যতা বাংলাদেশের লোকালয়ে কোথায়?
প্রায় ২৫ কোটি বছর পূর্বে পৃথিবীতে বয়ে যায় এক ভয়াবহ দুর্যোগ। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে আগ্নেয়গিরির উদগীরন শুরু হয় দানবিক আকারে। বায়ুমন্ডলের অনেকাংশ ভরে ওঠে জীবনের জন্য ক্ষতিকর কার্বন-ডাই-অক্সাইডে। পৃথিবীর প্রায় ৭০ শতাংশের অধিক প্রজাতির জীব মারা যায় সেই 'পার্মিয়ন গণবিলুপ্তি' দুর্যোগে।
তবে কি আমার সোনার দেশেরও সময় হলো সেই ধারার গণবিলুপ্তি দেখবার! ভাবল শিবু।
কী হলো ভাই, লোকালয়ে ফিরবেন না? আমাদের দেরী হয়ে যাচ্ছে, ক্যাপ্টেন কিন্তু রাগ করবেন। হাঁক ছাড়ল ছোট নৌকার নাবিক।
সম্বিৎ ফিরে পেল অরণ্যাচারী শিবু। চারপাশের বন্য বৃক্ষরাজি ও পশুপাখিদের সুসভ্য সুন্দর মুখগুলো স্মরণে এলো তাঁর। খানিক দাঁড়াও ভাই। নাবিককে বলল শিবু।
এই যে, এই ছোট চিরকুটটা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমার প্রিয়তম স্ত্রী ডা. নূনযীরুল মুহসেনীন মীমকে পৌছে দিও।
শিবু সেখানে রক্তাক্ষরে লিখে দিয়েছেঃ
আমি আমার সভ্যতা খুঁজে পেয়েছি…
'অ্যাডাম আইল্যান্ডের' জনমানবহীন এই নির্জন অরণ্যে।
তুমি আমার বাড়ি এসো।
চিরকুটের নীচে কবিগুরুর গানের দু'টি লাইন:
এসো নীপবনে ছায়াবীথিতলে,
এসো করো স্নান নবধারা জলে।
ফারদিন ফেরদৌসঃলেখক ও সাংবাদিক
০৭ আগস্ট ২০১৫
https://www.facebook.com/fardeen.ferdous
https://twitter.com/fardeenferdous