রাজকাহিনী : সমালোচনায় বিদ্ধ অভিনেত্রী জয়া আহসান!

ফারদিন ফেরদৌসফারদিন ফেরদৌস
Published : 10 Nov 2015, 06:17 PM
Updated : 10 Nov 2015, 06:17 PM

দেশের সোশ্যাল মিডিয়া বেশ কয়েকদিন ধরে মারাত্মক ট্রল হচ্ছে, 'বাংলাদেশি একট্রেস ১৮+ এতো নোংরা চরিত্র এর আগে বাংলাদেশে কেউ করেনি। বিতর্কটা শুরু হয়েছে গেল অক্টোবরে মুক্তি পাওয়া কলকাতার সৃজিত মুখার্জীর 'রাজকাহিনী' সিনেমার একটি দৃশ্য নিয়ে। রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে ছবির ঐ দৃশ্যে রুবিনার চরিত্রে রূপদানকারী জয়া আহসানকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। শোরগোল চলছে এপার ও ওপার বাংলার চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে। যে দৃশ্যটিতে জয়া তাঁর সহঅভিনেতা প্রাপ্তমনস্ক রুদ্রনীলকে কোনো রাখঢাক বা ইশারা ইঙ্গিতের ধার না ধেরে সোজাসাপ্টা নিজের স্তন বা যোনির হদিস জানাচ্ছেন। দেশ ভাগের যাতনায় পড়ে বাধ্য হওয়া একজন যৌনকর্মী রোজ পাল্টানো পুরনো জামার মতো নানা রঙের নারী চামড়া ও চোখের জলের সম্মিলনে তাঁর যৌবনাশ্রিত ক্লিশে জীবনের উদ্বেল আবেগ দর্শকানুভূতিতে জাগাতে চেয়েছেন।

ছবিটা কলকাতার। এর বিষয়বস্তু সাতচল্লিশের দেশভাগ। এবং বিতর্কের পাত্রীটা হলেন আমাদের দেশের গন্ডি পেরিয়ে ভারতীয় চলচ্চিত্রে দাপট দেখিয়ে জাতে উঠবার প্রচেষ্টারত আমাদেরই সুঅভিনেত্রী জয়া আহসান। তাই সুযোগ বুঝে ভারতের বাংলাভাষার জনপ্রিয় পত্রিকা আনন্দবাজার 'তিনি বাংলাদেশের সানি লিওন, দেশ ছাড়ার হুমকি জয়া এহসানকে' শীর্ষক খবর ছাপিয়ে দিয়েছে। কলকাতার আরেকটি দৈনিক এই সময়ও এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, 'স্তন-যোনি বলায়, পদ্মা পাড়ে সানি লিওন জয়া'
খবরের সুত্র হিসেবে ওই সংবাদ মাধ্যমগুলো গণমাধ্যমের চিরায়ত দায় এড়িয়ে আশ্রয় করেছে বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ার অর্বাচীন গণসমালোচনাকে। এ কথা সত্য যে, ফেসবুক, টুইটার বা ইউটিউবে বাংলাদেশের কিছু মানুষ রাজকাহিনী সিনেমার জয়া ও রুদ্রনীলের বিতর্কিত ভিডিও ক্লিপটি অ্যাডাল্ট ট্যাগ দিয়ে ভাইরাল আকারে ছড়িয়ে দিয়েছে। সেসব ভিডিও লিংকে গিয়ে জয়াকে সানি লিওনের সাথে তুলনা করে কুরুচিপূর্ণ সমালোচনার পাশাপাশি হুমকি ধামকিও দিয়ে যাচ্ছে বিকৃত প্রোপাগান্ডিস্টরা। কিন্ত এসব গণসমালোচকরা যে প্রাপ্তমনস্ক নন এবং সিনেমার ভাষা বুঝবার ক্ষমতা যে তাদের থাকবার কথা নয়, এই বিষয়টি মাথায় না রেখেই বাজার চলতি আইটেম হিসেবে কলকাতার পত্রিকাওয়ালারা সংবাদ করে দিয়েছে। এটার উদ্দেশ্য হতে পারে দুইটি: প্রথমত পত্রিকার হিট বাড়ানো, দ্বিতীয়ত ওই সিনেমার জনপ্রিয়তা বাড়ানো।

শিল্পের অতি সমঝদাররা এই সংবাদকে আনন্দবাজারীয় বা কলকাতাইয়া প্রচলিত বাজার কাটতি তরিকার ফন্দি বলে উড়িয়ে দিলেও সুস্থ ধারার মানুষের মন এতে নাও গলতে পারে। ৯০ এর দশকে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে অসুস্থ যৌনতা ও অশ্লীলতার কারণে সিনেমা হলের চৌকাঠ মাড়ানোতে রুচিবান দর্শকের দীর্ঘদিনের অনীহার বিষয়টি মাথায় রাখছেন সেসব সুস্থধারার দর্শকেরা।

কিন্তু কলকাতার সিনেমার গল্প, নির্মাণ, ব্যাপ্তি ও বাজার আমাদের দেশের চেয়ে বিশাল বলেই সেখানে অভিনয় করতে আমাদের পাত্রপাত্রীরা মুখিয়ে থাকেন। জয়াও এর বাইরে নন। চলচ্চিত্র বোদ্ধা মাত্রই জানেন, সিনেমা মানেই ডিরেক্টর'স মিডিয়া। সুতরাং রাজকাহিনীর রুবিনারূপি আমাদের জয়া হয়ত নির্দেশক সৃজিত মুখার্জীর ইচ্ছার বাইরে পা ফেলতে পারেননি। তাছাড়া আমেরিকান, ব্রিটিশ, রাশান বা তামিল ছবিতে এরকম দৃশ্যায়ন অহরহই চোখে পড়ে। সেসব নিয়ে তেমন সমালোচনা হয় না। কারণ আমরা বাংলাদেশিরা চলচ্চিত্র উপভোগের ক্ষেত্রে প্রাপ্তমনস্ক হয়ে উঠতে পারিনি। হওয়ার সম্ভাবনাও দেখি না। যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় জয়াকে এডাল্ট ট্যাগ দিয়ে ভাইরাল বানাচ্ছেন। তারা নিজেরা বারবার এই ক্লিপ দেখছেন, যারা সমালোচনা করছেন তারাও দেখছেন এবং দেদারছে শেয়ার করে যাচ্ছেন। এটা দোষের কিছু হচ্ছে না! অথচ সিনেমা যদিও একটি গ্রুপ ওয়ার্কের ফসল, দোষ হচ্ছে কেবল জয়ার। অথচ এই সিনেমাটি দেখে মুম্বাইয়ের চলচ্চিত্র বোদ্ধারা ভূয়সী প্রশংসা করে হিন্দী ভাষায় সিক্যুয়েল নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন।

রাজকাহিনী ছবিতে ঋতুপর্ণা, প্রিয়াঙ্কা সরকার, সোহিনী সরকার, সায়নী ঘোষ, ঋধিমা ঘোষ, দিতিপ্রিয়া রায়, এনা সাহা, যিশু সেনগুপ্ত, আবীর চ্যাটার্জী, রজতাভ দত্ত, শাশ্বত, জয়া, রুদ্রনীলসহ অনেকেই অভিনয় করেছেন। কিন্তু চরিত্রের প্রয়োজনে ইতিহাসের চাহিদা মোতাবেক কেবলমাত্র জয়া ও রুদ্রনীলকেই যোনি বা স্তন নিয়ে গবেষণায় নামতে হলো। এখানে শিল্পের অনিবার্যতা আছে মানলাম, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে জয়ার কোনো দায়বদ্ধতা থাকতে নেই কেন? এমনটা দাবি জয়ার সমালোচকদের। এমনকি বাংলাদেশের সুপারস্টার শাকিব খান পর্যন্ত জয়ার কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, জয়া আহসান বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। সামাজিকভাবেও তিনি সবার কাছে ইতিবাচক একটা ভাবমূর্তি ধরে রাখতে পেরেছেন। কিন্তু 'রাজকাহিনী' ছবির এই জয়া আহসান আমার কাছে একেবারেই অপরিচিত। ছবিতে এমন একটি দৃশ্যে অভিনয়ের তাঁর কী এমন দরকার ছিল, তা আমি আসলেই বুঝতে পারিনি।

ভারতবর্ষের এই বাংলা পরগণায় স্বাধীকার চেতনার দিক থেকে ১৯৪৭ বা ১৯৭১ এক ঐতিহাসিক সত্য। এই ইতিহাসে কারো মন ভেঙ্গেছে আবার কেউ নিজেদের প্রকৃত অধিকার ফিরে পেয়েছে এটাই বাস্তবতা। ক্ষুদিরাম থেকে রবীন্দ্রনাথ কেউ বঙ্গভঙ্গ মেনে নিতে না পারলেও তৎকালীন ব্রিটিশ শাসক চক্রের কূটচালে এই বাংলায় মানুষে মানুষে প্রতিহিংসা, জাতি ধর্ম বিভাজন ও রক্তগঙ্গা কেউ থামাতে পারেনি। ইতিহাসের এই অবশ্যম্ভাবী বিভাজন নিয়ে চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটক 'মেঘে ঢাকা তারা', 'কোমল গান্ধার' এবং 'সুবর্ণরেখা' নামে ত্রয়ী মুভি বানিয়েছিলেন। আর আমাদের তানভীর মোকাম্মেল নির্মাণ করেছিলেন, শোকবিহবলপূর্ণ চলচ্চিত্র 'চিত্রা নদীর পাড়ে'। কিন্তু এসব ছবিতে কোনো সানি লিওনের চরিত্র সৃষ্টির জরুরত পড়েনি। পড়ল কেবল একালের সৃজিত মুখার্জীর রাজকাহিনীতে। আর সেই মুখার্জী কল্পনার ক্রীড়নক বা স্বপ্নপূরণের হাতিয়ার হয়ে উঠতে হলো আমাদেরই শক্তিমান অভিনেত্রী জয়া আহসানকে।

অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ার ঝড় কিংবা সমালোচকের চোখ রাঙানিকে থুরাই কেয়ার করছেন ঝানু অভিনেত্রী জয়া। তিনি বলেছেন, এ ছবিতে রুবিনার ভূমিকায় ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। আর এখানে কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ সব শিল্পীরা ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কিন্তু সে তুলনায় আমার পর্দায় উপস্থিতি অন্য সবার চেয়ে বেশি। এতে অভিনয় করার মানে হচ্ছে ঐতিহাসিক একটা কাজের অংশ হয়ে থাকা। বাংলাদেশের একজন শিল্পী হিসেবে তারা সম্মান করে আমাকে নিয়ে গেছেন। আমি তাঁদের ছবিতে অভিনয় করেছি। সেটা আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। অভিনয়ের জায়গাও ছিল। দর্শকরা দেখলে বাকিটা বুঝতে পারবেন।


কিন্তু আমাদের কথা হলো, ৪৩ বছর বয়সী জয়া আহসানের অভিনয়ের শিল্প সৌন্দর্য আমরা না হয় বুঝলাম, আমাদের আন্ডার এইটিন সন্তানেরা কী বুঝবে? সাতচল্লিশের ইতিহাস জানাটা যে তাদেরও অধিকার, এর জবাব কি জয়ার কাছে আছে?

অথচ এই জায়া আহসান কিনা সৈয়দ শামসুল হক রচিত 'নিষিদ্ধ লোবান' অবলম্বনে মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকায় নাসির উদ্দীন ইউসুফ নির্মিত 'গেরিলা' চলচ্চিত্রে বিলকিস বানুর চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য ২০১১ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পেয়েছেন। জাতিসংঘের নারী ও শিশু সহায়তা বিভাগের সাবেক শুভেচ্ছা দূত জয়ার ঝুলিতে রয়েছে চোরাবালি বা পূর্ণদৈর্ঘ প্রেমকাহিনীর মতো জাতীয় পুরষ্কার ও মেরিল প্রথম আলো পুরষ্কার পাওয়া বেশ কিছু ছবি। গুণী অভিনেত্রী হিসেবে তিনি আজকাল কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটেও হাঁটবার সুযোগ পান। সেই তাঁকে তবে ব্যক্তিগত, পারিবারিক জীবন বা দেশের সম্মান পেছনে ফেলে রুবিনা হয়ে উঠতে হয় কেন? কারণ তিনি ইতিহাসের অংশ হতে চান।

কিন্তু মুম্বাই সিনেমার লিজেন্ড অমিতাভ, কাজল শাহরুখ, সালমান বা আমীর খানদের লিজেন্ড হয়ে উঠার পথে রুবিনা-রুদ্রনীলের রাজকাহিনী ধারার অভিনয়ে নাম লেখাতে হয়েছে একথা কেউ বলতে পারবে না। সম্প্রতি বাজিমাত করা 'বজরঙ্গী ভাইজান' ছবির নায়ক সালমান খান পর্যন্ত সম্প্রতি মিডিয়ায় বলেছেন, অনস্ক্রিন চুমুর এখনও তেমন দরকার নেই। আমার এ বিষয়ে বেজায় অস্বস্তি আছে। আমি লাজুক নই, কিন্তু আমার ব্যাপারটা পছন্দ নয়। পর্দায় চুমু খাওয়ার খুব একটা দরকার আছে বলে মনে হয়নি কোনোদিন।
এই অর্থে রাজকাহিনীর রুবিনার কর্মকান্ড যদি চুমুকেও হার মানিয়ে থাকে তবে এমন দৃশ্যের খুব দরকার ছিল কি সৃজিত মুখার্জী, রুদ্রনীল বা জয়া আহসান?

সংবাদ মাধ্যম বিবিসিতে লুসি রজার্স 'হাউ টু উইন এন অস্কার' শিরোনামে একটি আর্টিকেলে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত থেকে প্রমাণ করেন পতিতা চরিত্রে অভিনয় করে সেরা হওয়ার হার শতকরা ১২ ভাগ। সেই ১৯২৭ সাল থেকে একাডেমি এওয়ার্ড তথা অস্কার চালু হওয়ার পর ১৯২৮ সালে 'স্ট্রিট এঞ্জেল' ছবিতে পতিতা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথম অস্কার জিতেন জেনেট গে'নর। 'বাটারফিল্ড ৮' ছবিতে অভিনয় করে সেরা হন ক'দিন আগে পরলোকে যাওয়া এলিজাবেথ টেইলর। ঐ আর্টকেল অনুযায়ী যেখানে বাস্তব চরিত্রে রূপদানীকারদের মধ্যে অস্কার জয়ের হার ১৯ ভাগ।
আমাদের জয়া আহসান যদি রাজকাহিনী ছবির শ্রেষ্ঠ সংলাপ 'এ লড়াইয়ের শেষ না দেখে আমি কোথাও যাব না'র মতো করে নিজের দেশের ভক্তদের আবেগ অনুভূতি বা দেশজ মূল্যবোধ পায়ে দলে ভারতীয় ফিল্মফেয়ার কিংবা জাতীয় পুরষ্কার নিজের ঝুলিতে পুরবার প্রয়াসী হন সেক্ষেত্রে সালমান খানের মতো আর্টিস্ট বা লুসি রজার্সের গবেষণাপত্রটি আশা করছি মনে রাখবেন।

আমাদের অঞ্চলের চলচ্চিত্রের প্রবাদ পুরুষ সত্যজিৎ রায় তাঁর লেখা 'চলচ্চিত্র রচনা : আঙ্গিক, ভাষা ও ভঙ্গি' প্রবন্ধে বলেছেন, লেখকের হাতে যেমন কথা, চলচ্চিত্র রচয়িতার হাতে তেমনি ছবি (image) ও শব্দ (sound)। এই দুইয়ে মিলে যে ভাষা, তার প্রয়োগে যদি মুনশিয়ানার অভাব হয়, তার ব্যাকরণ যদি রচয়িতার আয়ত্ত্ব না থাকে এবং সব মিলিয়ে ছবির বক্তব্যে যদি জোর না থাকে, তাহলে ভালো ছবি হবে কি করে? এত যে লেখা হয়, তার কতটুকুই বা সাহিত্য হয়ে ওঠে। শিল্পী আগে, তার পড়ে তো শিল্প। যেখানে শিল্পী নেই সেখানে শিল্পের উপকরণ থাকলেও শিল্পের উদ্ভব সম্ভব নয়।

কানাডিয়ান পর্ণ স্টার সানি লিওন তাঁর অতীত জীবন পেছনে ফেলে মুম্বাই সিনেমায় নাম লেখানোর মাধ্যমে শিল্পের স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসতে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর এই নবযাত্রায় সঙ্গী হিসেবে পাচ্ছেন নিজের স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবার ও হাজারো ভক্তকে।

পক্ষান্তরে প্রিয় জয়া আহসান অর্বাচীন সমালোচকের ভাষায়, আপনি রুবিনা সেজে সানি লিওন হয়ে উঠছেন! এমন যাত্রায় আপনার পরিবার কিংবা লাখো ভক্তের হার্দিক ভালোবাসা হারাতে যাবেন কেন? বারবণিতার চরিত্র রূপায়ন অবশ্যই কষ্টসাধ্য কাজ; আর গুণী অভিনেত্রীরাই সেটা পারেন। কিন্তু আপনার এমনধারার অভিনয়ে আপনাকে বাঙালি সানি লিওন ঠাওরে কুরুচিপূর্ণ ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াবে কেন? চলচ্চিত্র অসমঝদারের অশালীন বাক্যবাণে কেন আপনি জর্জরিত হতে যাবেন? আমরা চলচ্চিত্রের বোদ্ধা সমঝদাররা আপনার মতো শক্তিমান অভিনেত্রীর জন্য দু:খিত হবো কেন? তাহলে আপনাকে দিয়ে আমাদের শিল্পের সত্য ও সুন্দর উর্বর ভূমিতে আসলে ব্যতিক্রম আর কি চাষ হবে?

লেখকঃ সংবাদকর্মী, মাছরাঙা টেলিভিশন
১০ অক্টোবর ২০১৫।
facebook.com/fardeen.ferdous
twitter.com/fardeenferdous