এতোসব প্রবঞ্চনার কাঁটায় মোড়ানো আমার বন্ধুর পথ…
এক চিলতে স্বস্তির খোঁজ কোথায় যে পাই…
আমার হাজার দুঃখ আর অযুত বিষাদে কিঞ্চিত সান্ত্বনা চাই…
আমার বন্ধ হয়ে যাওয়া দমকে কে দিতে পারে খানিকটা বিশুদ্ধ হাওয়া…
অধিক শোকে পাথর হয়ে যাওয়া আমার যুগল নয়নে কে দিতে পারে অঝোর ধারা বারি বর্ষণ…
জীবনের সকল সুন্দরকে ভালোবাসার মন্ত্র শেখাতে পারে যে ওঝা, তাঁকে কোথায় গেলে পাই…?
আমরা যে ভীষণভাবে বুক ভরে অতল রোদন করতে চাই…
কিন্তু সবখানেই যে কেবল প্রবঞ্চনার ফাঁদ পাতা!!
…
সেদিন রাতে হলি আর্টিজানে থাকতে পারতাম আমি, আপনি, কোনো ধর্মগুরুর স্ত্রী-কন্যা, প্রাইম মিনিস্টারের বংশধর কিংবা পুলিশ প্রধানের স্বজন! কারো'রই কি রক্ষা ছিল? কাজেই আসুন না একে অপরের প্রতি ঢিল না ছুড়ে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুশিক্ষিত, সুদর্শন, অল্পবয়সী বিপথগামী সেইসব যুবাদের জীবনকে ভালোবাসবার মন্ত্র দেই। সেই ভালোবাসাতেই মুখ লুকাক সকল প্রবঞ্চনা…!
জীবন এতো সুন্দর! কত কি যে, দেখবার আছে, জানবার আছে, শুনবার আছে, অনুধাবন করবার আছে!
আর আছে আমাদের জীবনদেবতা'র বন্দনা করবার! বিপথে অকালে আত্মপ্রাণ বিনাশের কী আছে মানে?
ওদেরকে কবি নজরুলের পাঠ শেখাই, 'মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান'!
দেশটাকে কোনোমতেই এভাবে হারতে দিতে পারিনা আমরা!
এই প্রত্যয়ে আমাদের শোক হোক ভালোবাসার শক্তি।
……
স্মরণ করছি আর্টিজান ট্রাজেডি'র শিকার সকল করুণ প্রাণকে।
লেখকঃ সংবাদকর্মী, মাছরাঙা টেলিভিশন
০৩ জুলাই ২০১৬
facebook.com/fardeen.ferdous.bd
twitter.com/fardeenferdous