সব আন্দোলনের একটা সারাংশও থাকে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সারাংশ হলো ছাত্রলীগ নেত্রী এশা। এশা হলো এই সময়ের 'গ্রেট সিম্বল অব পলিটিকাল ডেসটিনি'। আমাদের এই রাজনৈতিক কর্মফলের মূল অনুষঙ্গরা হলো জোরজবরদস্তি ও স্ট্যান্টবাজি। কার্যত আমরা কেউই আর এশার চেয়ে ভালো অবস্থানে নেই। ভালোবাসা আর ভালো লাগে না, ঘৃণাতেই আমাদের ঘরবসতি!
এশা যেটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেখালেন ফিলোসফিক্যালি।
আবার শিখলাম, আমরা যদি আমাদের শত্রুর দুইচোখ কানা করতে চাই তবে চেরাগের জ্বীনের কাছে আমাদের একচোখ নষ্ট করে দেয়ার বর চাইব!
ছেলেরা চেয়েছিল ৫৬ ভাগ কোটার রিফর্মেশন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই চাওয়াটারে একধাক্কায় ডাবল মূল্যায়ন করে দিয়ে পুরো কোটা ব্যবস্থাই তুলে দেয়ার কথা বললেন। বড় বিরক্তিতে কৃষি মন্ত্রীর ভাষায় সকল রাজাকারের বাচ্চার ছয়গুন আবদার সুদে আসলে নয়গুন রক্ষা করতে হলো আন্দোলনে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রীকে।
এতে কোনো পক্ষ অধিকার ক্ষুন্নের অভিমানে বিরাগের বশবর্তী হলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীত্বের শপথ, 'কারো প্রতি রাগ বা বিরাগের বশবর্তী হইয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিব না' ভঙ্গ হবে না নিশ্চয়। আমাদের কংক্রিট হার্ড শপথ এত অল্পতে ব্রেকডাউন হয়ও না!
এশা আমাদের শিখিয়ে দিয়েছে বর্তমান সময়ের রাজনীতির আইকন হতে হলে কীভাবে অধিনস্তদের শাসিয়ে শাসিয়ে শোষণ করে যেতে হয়। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের শেখালেন পলিটিক্স কারে কয়! আমাদের কাঙ্ক্ষিত সেই ইউটোপিয়া বিনির্মাণে এমন পলিটিকাল ফেনোমেননই যে বড় দরকার।
চেরাগের জ্বীন এবার তোমার ডাবল টেক্কার খেলা দেখাবার জন্য প্রস্তুত হও। আমরা বরং অপেক্ষায় থাকি।