প্রথম বারের মত প্রবাসী বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের (এনআরবি) তিনটি নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে । এই নিয়ে গতকাল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহা সচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম মিডিয়াতে বলেছেন দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। আমি দলীয় অনুভুতির উর্ধ্বে উঠে বলতে চায় যে হরতাল ডেকে আপনারা গাড়ির চাকা বন্ধ করে দেন। এতে করে কি অর্থনীতি নষ্ট হয় না? সাংবাদিক সম্মেলন করেও আপনাদের কথা বলতে পারতেন । আরো বলেছেন যে যারা অনুমোদন পেয়েছেন তারা নাকি আওয়ামী লীগের দলীয় লোক । আমাদের মত সাধারণ জনগণের প্রশ্ন আসে যে বিএনপির সময়ে যে সব ব্যাংক অনুমোদন পেয়েছে তারা কি তবে বিএনপির লোক ছিল? থাক এসব দলীয় সমালোচনা। আমরা মনে করি যে কোন সার্ভিস সেন্টার চালু হলে সেবার হাত সাধারণ জনগণের নাগালের মধ্যে আসে সেটা যে দলের মালিকানা থাকুক । তাছাড়া শিক্ষিত বেকার যুবকের কর্ম সংস্থান হবে ।
অতীতে কোন একটি বা দুটি ব্যাংক কলাপ্স হতে পারে , তাই বলে সামগ্রিক প্রেক্ষাপটের উপর নীতিবাচক মনোভাব রাখা উচিৎ নয় । যে কোন সার্ভিস সেন্টার ধ্বংস হতে পারে সে দক্ষতার উপর নির্ভরশীল । অর্থনীতির ভাষায় আমি যদি বলতে চায় ব্যাংক থেকে যদি ঋণ নিয়ে শিল্প কারখানাতে বিনিয়োগ করে তাহলে নতুন লোকের কর্ম সংস্থান হবে এবং তাদের প্রডাকটিভিটি বৃদ্ধি পাবে । মাথা পিছু গড় আয় বেড়ে যাবে । যদিও টক শো কেউ বলেছেন নতুন ব্যাংক চালু হলে নাকি অন্য ব্যাংক থেকে কর্মকর্তা চলে আসবে । এটাতো স্বাভাবিক ঘটনা । ভাল সুযোগ হলে আসতেই পারে এতে দোষের কিছু নেই । এই ধরনের রত বদল সব সেক্টরে আছে এবং থাকবে । নতুন ব্যাংক এর উপর কেন দোষ চাপিয়ে দিব। অর্থনীতির উপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা উচিৎ নয় । আসলে কি সরকারের ভাল মন্দ সব কাজে সমালোচনা করা আমাদের সংস্কৃতি হয়ে গিয়েছে । সত্যিকার অর্থ যদি জনগনের জন্যে কথা বলেন তাহলে অন্তত্ত্ব ধন্যবাদ না জানালেও ভাল কাজের সমালোচনার অপ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসুন । তাহলে জনগন ৫ বছর পর আপনাদের পক্ষে নিশ্চয়ই রায় দিবে ।