অনেকেই বলছেন টুর্নামেন্টে পথের কাঁটা সরাতে বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটারকে বহিস্কার করানো হয়েছে! অাসলে কি ব্যাপারটা সে রকম? না, ব্যাপারটা তা নয়। এটির আরো গভীর কারণ রয়েছে, যার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী। এটির কারণ যতটানা ক্রিকেটিয়, তার চাইতে অনেক বেশী ক্রিকেট নির্ভর বাণিজ্য।
সংখ্যার বিচারে টেস্ট ক্রিকেট খেলা দেশগুলোর অবস্থান যথাক্রমে নিম্নরূপ:
১) ভারত (১৩০ কোটি)
২) পাকিস্তান (২০ কোটি )
৩) বাংলাদেশ (১৭ কোটি)
৪) যুক্তরাজ্য (৬.৫ কোটি)
৫) দ. আফ্রিকা (৫.৫ কোটি)
৬) অস্ট্রেলিয়া (২.৪ কোটি)
বাকী দেশগুলো ধরছি না …..
স্বভাবতই স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলির টার্গেট অপেক্ষাকৃত বেশি জনসংখ্যাবহুল দেশ, যেখানে ক্রিকেট বেশ জনপ্রিয়। একটি ব্যর্থ ও অকার্য্যকর রাষ্ট্র হিসাবে পাকিস্তান এই রেসে নাই । তো এই তথাকথিত বিগ থ্রিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর সক্ষমতা ধীরে ধীরে অর্জন করছে বাংলাদেশ। তার জন্য অবশ্য নিয়মিত ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নৈপুণ্য কিন্তু সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। যা হচ্ছে বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের হাত ধরে এবং তা রুখে দেওয়ার জন্য অামরা ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রগুলো দেখে আসছি। যেমন- শ্রীনিবাসনের কূট ক্রিকেট নীতি কিংবা বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য নিরাপদ নয় তা প্রমাণ করার জন্য অস্ট্রেলিয়া প্রথমে তার জাতীয় দল ও পরে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে যুবদল না পাঠানো। আবার একটি মেগা ইভেন্টের মাঝখানে বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটারকে বিশেষ করে তাসকিনকে বহিস্কার করা ঐ ষড়যেন্ত্ররই একটি অংশ বলে মনে করি।
সামনে আরো বিভিন্ন ধরণের ষড়যন্ত্র হবে, তা গ্যারান্টি দিয়েই বলা যায়। এবং বিসিবিকে সেগুলো মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।