৭ই মার্চ ১৯৭১ এর আগুন ছুঁইয়ে এলাম ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০১৩’তে, সাবাশ আমার তরুণ বন্ধুরা!

গ্রুপ ক্যাপ্টেন ফজলুল হক
Published : 8 Feb 2013, 02:58 PM
Updated : 8 Feb 2013, 02:58 PM

দিনটা ছিলো ৭ই মার্চ ১৯৭১। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী ৭ কোটি জনতা তখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে , কি ঘোষণা আসে রেসকোর্সের মঞ্চ থেকে! ৭ কোটি মুক্তিপাগল জনযোদ্ধার আকুল হৃদয় , রক্তের টগবগে অগ্নি স্ফুলিঙ্গ তখন জড়ো হয়েছে একটি বিন্দুতে। এলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা – সরাসরি না হলেও রূপক অর্থে ঃ এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, "এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।" এরপর ২৫শে মার্চের কালো রাত্রি, আমার যুদ্ধে যাওয়া, পৃথিবীর বুকে আমার একান্ত নিজের একটি স্বাধীন দেশের মানচিত্র রুপায়নে আমার ৯ মাসের সংগ্রাম।

কিন্তু আমি ও আমার সহযোদ্ধাদের জনযুদ্ধের সে বিজয় গত ৪২ বছরে বেহাত হয়ে গেছে বলে যে মনকষ্ট ছিলো, তা মুছে দিয়ে আজকের শাহবাগ মহাসমাবেশ হতাশার অমানিশা ভেদ করে যেন এক নতুন সূর্য এনেদিলো।

সাবাশ আমার তরুণ বন্ধুরা। আমাদের যোগ্য উত্তরসুরী তোমরাই। তোমাদের প্রতিবাদের ভাষা , তোমাদের প্রতিরোধের আগুন জ্বালিয়ে , পুড়িয়ে ছারখার করে দিক সকল ষড়যন্ত্রের কালো জাল। যে মুক্তিযুদ্ধের শুরু ১৯৫২তে আমাদের পূর্বসুরীদের রক্তে, যে মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র সংগ্রাম অনুসরিত হয়েছে আমাদের হাতে ১৯৭১ এ, সেই যুদ্ধেরই পরবর্তী ধাপ – জনমানুষের হাতে, নাগরিকের হাতে, সাধারণ মানুষের হাতে দেশের পাপমুক্তির মাধ্যমে , দেশের নাগরিকের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে শেষ হোক।

হে তরুণ, সংগঠিত হও, সতর্ক হও, এই যুথবদ্ধ সাধারণের বিজয় যেন হাতছাড়া না হয়, আজকে দৃপ্ত কন্ঠে যে শপথ তোমরা নিলে , তা যেন সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হয়।

১৯৭১ এর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে একজন মুক্তিযোদ্ধার আশীর্বাদ রইলো তোমাদের জন্য! হে নবীন, হে সাহসী বীর, হাত থেকে হাতে পৌঁছে যাক চেতনার মশাল, জনযুদ্ধের অণির্বাণ শিখা!