শুরু করলে শেষ তো একদিন করতেই হয়! মেঘে মেঘে বেলা তো কম হলোনা। সেই ২০০৭ সাল থেকে শুরু। ২৯শে মার্চ প্রথম ক্লাস, পুরাতন কলাভবনের ২০৯ নম্বর রুমে।
এরপরের সময়গুলো যেন বইয়ের পৃষ্ঠা ওল্টানোর মত করে কেটে গেলো। ২০১১ সালের জুলাইয়ে এসে যখন অনার্স ফাইনাল শেষ করলাম তখন থেকেই বুকের ভেতরটা হু হু করে উঠলো। সময় শেষ! আর মাত্র টেনেটুনে ১টা বছর। মাস্টার্সে আসলে প্রত্যেকটা দিনই শেষ দিনের মত।
প্রতিদিন যাচ্ছে আর কেবল ভাবছি জাহাঙ্গীরনগরে শেষ ঈদের ছুটি। পরের ছুটিতে আর বাস থেকে প্রান্তিকে নামা হবেনা! শীত নেমে গেছে। জাহাঙ্গীরনগরের শীত যে কুখ্যাত শীত। ফার্স্ট ইয়ারে শীতকাল কাটাতে খুব কষ্ট হয়েছিলো। সকালে প্যাকেট হয়ে বেড়োতাম, ক্লাস, খাওয়া, আড্ডা মেরে একবারে রাতে রুমে গিয়ে সেই প্যাকেট থেকে বের হতাম। এবার ভাবছি এটাই জাহাঙ্গীরনগরে শেষ শীতকাল। চমৎকার কিছু শীতের সকাল আর পাবোনা।
ক্যাম্পাসের প্রতিটা রাস্তায়, প্রতিটা আড্ডায়, প্রতিটা চায়ের কাপে, প্রতিটা বেঞ্চে কত কত যে স্মৃতি…..
হলে যেদিন প্রথম উঠি, সেদিন মাত্র একটা ব্যাগ ছিলো জামাকাপড়ের। আর মাত্র পাঁচ বছরে এত স্মৃতি, ঋণ, ভালোবাসা জমেছে যে যদি ব্যাগভর্তি করে নিতে চাই তাহলে ওরকম আরও কমপক্ষে ৫০০ ব্যাগ লাগবে।
রোদ. বৃষ্টি, জোছনা সবগুলো দিন যে কি ভীষণ আনন্দে কেটেছে! জীবনের সুন্দর মুহুর্ত্যগুলো যদি হিসেব করি তাহলে ৯০% সময়ই জাহাঙ্গীরনগরের দখলে চলে যাবে।
জাহাঙ্গীরনগর…এতটা ভালো আমি কোন মানুষকে বাসিনি, যতোটা তোমাকে বেসেছি।