আয়ারল্যান্ডের কেরামত নিয়ে আর বাদ-বিবাদ নয়, ত্যাগের মহিমায় জেগে উঠার সময়

সাজেদুল আমিন চৌধুরী রুবেল
Published : 6 Nov 2011, 01:21 PM
Updated : 6 Nov 2011, 01:21 PM

[আজ আয়ারল্যান্ডে ঈদুল আযহা উদযাপিত হল। ব্লগ টিম সহ আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত বাঙ্গালী কমিউনিটি ও দেশে বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য গুণগ্রাহী ভাই বোন বন্ধুদের পবিত্র ঈদের শুভেচ্চা ও সালাম জানিয়ে আজকের লেখা শুরু করলাম।]

মিঃ উন্মাদ, মানুষ তো কেউ উন্মাদ হয়ে পৃথিবীতে জন্মায়না। পারিপার্শ্বিক প্রতিকুলতা, ব্যর্থতা, বিকারগ্রস্থতা, না পাওয়ার বেদনা ইত্যদি জিনিশ গুলো মানুষকে কখনো কখনো এমন একটি স্টেজে নিয়ে যায় তখন তাঁকে উন্মাদ না বলে উপায় থাকেনা। আপনার ঝাঁঝালো মন্তব্য বা লেখনি থেকে অন্ততপক্ষে তার কোন আলামত পাওয়া যায়না। সে যাই হোক, আপনি যেহেতু আমার লিখার আলোকে মন্তব্য করেছেন, সে প্রেক্ষাপটে আপনি আমার অথিতি। অথিতি বা মেহমানকে কেউ অস্মমান করেনা। তাই আমি আপনাকে পূর্ণ সম্মান, ধন্যবাদ ও সাধুবাদ অকৃপণ ভাবে দান করেই কয়েকটি কথা বলবো। যদিও আমার আগেই দৈনিক সংবাদ পত্রিকার জনৈক সাংবাদিক আকাশ চৌধুরী মন্তব্য কলামে আপনার কথার রেশ ধরে তার অনুভুতি ও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

একজন লেখক কোন লিখা সাধুবাদ বা অভিসম্পাত কোনটাই পাওয়ার আশায় লিখেননা। সমাজের কোন বিষয় বা ঘটনা যখন তাঁকে ইতিবাচক বা নেতিবাচক ভাবে রেখাপাত করে তখন তার আলোকে তিনি তাড়িত হন। সেই তাড়িত হওয়া থেকে তার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে নিখাদ সাচ্চা কথা গুলো। যা রুপ নেয় এক সত্য ভাষণে। এই সত্য ভাষন কখনো কখনো যায় কারো পক্ষে কিংবা কখনো কারো বিপক্ষে। সুতরাং আমার সব লিখাই যে উদার সাধুবাদিতার ফুলজুরিতে ঝুলবে, এ ধরনের আহাম্মকি ভাবনা ভাবার কোন অবকাশ আছে বলে মনে হয়না।

উন্মাদ সাহেব, আমি গল্পবাজে এতটা পারদর্শী নই। ডিজিটাল যুগে রুপ কাহিনিতো প্রায় বিলুপ্তির পথে। এক কালে গ্রামে গঞ্জে চাঁদনী রাতে ভাড়াঠিয়া গলপকার এনে ঢাক-ঢোল পিঠিয়ে কিসসার আসর জমানো হতো। লোক জন উদ্গ্রিব হয়ে শুনে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে তুলতে কিংবা গল্পকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে হতে ঘরে ফিরে যেত। সুয়ো রানী দুয়ো রানির দুঃখ, রাজা রানির গল্প, সিংহ বাঘের লড়াই ও শেয়ালের চাতুরতা মানুষের হৃদয়কে আবেগময় করতে সক্ষম হতো। এ দোয়েলের যুগে এসবের কোন কার্যকারিতা আছে বলে মনে হয়না।

আমি সোজা মানুষ। ভুমিকা টানার খুব বেশী অভ্যেস আমার নেই। তাই সরাসরি কাজের কথায় ফিরে যাই। পৃথিবীতে সকল সৃষ্টির পরিসমাপ্তি ঘটে তার মৃত্যুতে। একজন মানুষ যখন মৃত্যু বরন করে শত দুষী, খারাপ বা জগন্য হলেও তার উপর কোন ক্ষোভ, রাগ, অভিমান বা দাবি-ধাক্কা কিছুই রাখা যায়না। মুসলিম হিসেবে অন্তত পক্ষে আমাদেরকে তাই বিশ্বাস করতে হবে। সেই আলোকে আমি যাকে মরার পরে নিষ্কৃতি দিয়ে বদান্যতা বোধ দেখিয়েছি, আপনি সেখানে তার সাপাই গাইতে গিয়ে আমাকে ব্যক্তিগত আক্রোশের অভিযোগের কাটগরায় দাঁড় করিয়ে গল্প টেনে আরেক ধাপ এগিয়ে নিজের অজান্তেই তার মৃত্যু পরবর্তী চরিত্রেরও বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছেন। আমি যাকে জিবদ্যশা পর্যন্ত ধিক দিয়েও ক্ষান্ত ছিলাম আপনি সেক্ষেত্রে তাঁকে মৃত্যুত্তরও ধিক দিয়েছেন। আমাকে তিরোধান করতে গিয়ে অনেকটা আত্মঘাতিতার আশ্রয় নিয়ে ভদ্র লোকের চৌদ্দ গোস্টি উদ্ধার করে ছেড়েছেন আপনি নিজেই।

ভোট গননা নিয়ে হাজি সাহেবের অধিকারের কথা বলেছেন। আমার লিখায় ভোট গননায় তার অধিকার নিয়ে একটি শব্দও নেই। ভোট গননায় দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে প্রার্থীদেরকে মিথ্যে তথ্য প্রচারের অধিকার তাকে কে দিয়েছে, সম্ভবত এ ধরনের একটা অভিব্যক্তি আমার লিখায় ফুটে উঠেছে। ওই দাড়ি ওয়ালা সাহেব কোন প্রার্থীকে কখন কি বলেছেন তাতো নিখুত বিশ্লেষণাকারে লেখাটায় বর্ণিত হয়ছে। আমি নিজ থেকে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কিছুই লিখিনি। এ গুলো কি আপনার চোখে পরেনি? তাই মন্তব্যে যে হাতি, রাজা ও অন্ধদের গল্প টেনেছেন তার বরাত দিয়ে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে আপনাকেই বলতে ইচ্ছে করছে, আমার লিখাটা যখন পড়েছিলেন তখন কি পাওয়ারফুল কোন গ্লাস আপনার চোখে ছিলনা নাকি উদাসিন উন্মাদের উন্মত্ততায় মত্ত ছিলেন?

লেখকরা সমাজের দর্পণ। সামাজিক অনৈতিকতা যখন তাদের পীড়া দেয়, ভাঙ্গা কলম হাতে নিতে বাধ্য হয় তারা। সমাজের না বলা কথা গুলো তাদের কলমের আচরে ফুটে উঠে শিল্পিত বিকাশে। আপনি তো শুধুই মন্তব্যকারি নন, লেখার ভাষা বলে দেয়; আপনি লেখকও বটে। সুতরাং আপনাকে লেখকের স্বরূপ বিশ্লেষণ করে মার কাছে মামার বাড়ির গল্প বলার আগ্রহ আমার নেই। শুধু এতোটুকু আপনাকে বলা উচিত, ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে কোন লেখক লিখা লিখতে পারেনা। একজন চুর যখন চুরি করে, দুর্নীতিবাজ যখন দুর্নীতি করে সেটা সহজেই লোক জন মেনে নিতে পারে। কিংবা ঐ চুর বা দুর্নীতিবাজ দ্বারা মানুষ সহজেই ক্ষতগ্রস্থ হবেনা কারন এর আগেই তারা সতর্ক হয়ে যাবার চেষ্টা করবেন। কিন্তু যখন কেউ ধর্মের ঢোল পিঠিয়ে সাধুতার পোশাক পড়ে ধূর্ততার সাথে ভণ্ডামি করে যায় তা বিষাক্ত সাপের ছোবলের চেয়েও ভয়ংর। ওরা সমাজের কীট, ডাস্টবিন। ওদের স্বরূপ উন্মুচন করে বিচারের কাটগরায় দাঁড় করানো প্রতিটি সচেতন লোকের নৈতিক দায়িত্ব। ভণ্ডদের ভণ্ডামির চরিত্র তুলে ধরে সমাজকে সচেতন বা সতর্ক করে দেয়াটা যদি নৈতিকতার স্খলন হয় বা কেউ এতে ব্যক্তিগত আক্রোশের গন্ধ পান তাহলে জোরে চিৎকার দিয়ে বলবো, " আমি আপনাদের মতো জ্ঞান পাপিদের দলে নই।"

এ পৃথিবীতে কোন কিছুই আলোচনা সমালচনা বা সীমাবদ্ধতার উরধে নয়। অনেক কাফেরতো আল্লাহ রাসুলের সমালোচনা করতেও দ্বিধা বোধ করেনা। সে ক্ষেত্রে আমার মতো এক নগন্য লেখকের লেখা সমালোচনা বা সীমাবদ্ধতার উরধে বিরাজ করবে সে কথা কিভাবে আমি হলফ করে বলি! তবে মন্তব্যকারী যে ভাবে লেখটাকে অসম্পূর্ণ ও প্রশ্নবিদ্ধ বলে অভিহিত করেছেন তার আলোকে দু একটি কথা না বললেই নয়। তার মতে, তৃতীয় ব্যক্তি বিজয়ী সভাপতির সাথে কোন কথা বা আলোচনা না করে লিখাটা লিখাতেই প্রশ্নবিদ্ধ ও সীমাবদ্ধতার দোষে দুষ্ট হয়েছে। মন্তব্যকারিকরির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, বিজয়ী সভাপতি ডাক্তার সাহেবের সাথে আমার খুব বেশী একটা পরিচিতি ছিলনা। ভোট গননার রাতে তার সাথে একবার কোলাকোলি হয়েছিলো বটে কিন্তু কোন কথা তিনি বলেননি, আমিও আগ বাড়িয়ে বলিনি। আমার লিখায় যে তিনি নেই তা বলা যাবেনা, অস্পষ্ট ভাবে লুকিয়ে আছেন। অনুসন্ধানী দৃষ্টিতে খোঁজে বের করে নিতে হবে।

দুজন বিজিত সভাপতিকে খাম্বা বানিয়েছেন বটে, আমি বিজয়ী সভাপতিকে হাতি মনে করেই তার ব্যাপারে অস্পষ্ট ভুমিকা রেখেছি। বিভিন্ন দোকান পাটে লাগিয়ে রাখা লিফলেট থেকে তার জীবনী পড়ে যথেষ্ট শ্রদ্ধা কাতর হই। একজন সফল ডাক্তার। পাশাপাশি লেখক ও ব্লগারও বটে। শ্রদ্ধেয় বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তিত্ব। কিন্তু যখন দেখি যদু মদুদের মতো তিনিও সস্তা পরিচিতি লাভের আশায় বিভিন্ন মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন প্রদানের মাধ্যমে মানুষের মুখরোচক গল্পের ক্ষেত্র তৈরি করেন তখন সে শ্রদ্ধাটায় অনেকটা ভাটা পড়ে। কান টানলেই মাথা আসে। তাই ডাক্তার সাহেবের কথা অবতারনা করে তার প্রতি সৃষ্ট শ্রদ্ধাবোধটার অবলোপন ঘটাতে চাইনি।

কেরামত ও কেরামতির কথাও তুলেছেন। বস্তুত কেরামতির সংজ্ঞা একেজনের কাছে একেক রকম। আপনার কাছে যা কেরামতি আমার কাছে তা বাস্তবতা। আমার কাছে যা কেরামতি আপনার কাছে তা নেতিবাচকতা। এ বিষয়ে সঠিক সংজ্ঞা নিরুপন করাটা বেশ কঠিন। তার পরো যুক্তির খাতিরে দু একটি কথা তো বলতেই হয়।

মানুষই এক মাত্র প্রানি যে নাকি অসম্ভবকে সম্ভব করতে সক্ষম হয়। পল এলোয়ার থেকে নজরুল, সক্রেটিস থেকে সাত্র পর্যন্ত এ দৃষ্টান্তের অভাব নেই। আয়ারল্যান্ডের মতো একটি দেশে মাত্র কয়েক হাজার বাঙ্গালিকে নিয়ে একটি সংস্থা গড়ে তুলার স্বপ্ন দেখাটা কোন মিরাকলের আওতায় পড়েনা। বরং তাদের একনিষ্ঠ চেষ্টা, শ্রম ও বুদ্ধিমত্তাকেই প্রাধান্য দেয়া উচিত। স্বাভাবিক হারের চেয়ে বেশী ভোট কাস্ট হওয়ার পেছনে কাজ করেছে ভোটারদের অপরিসীম কৌতূহল। এতেও কোন কেরামতির বালাই নেই। আপনি কেরামতি বলতে যা বুঝাতে চেয়েছেন সে প্রেক্ষাপটে আমি বলবো – কেরামতি হচ্ছে সেইসব যার আঙ্গুলের ইশারায় চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়ছে কিংবা কারো আযানের প্রলয় ধ্বনিতে খান খান হয়ে ভেঙ্গে পড়েছে অত্যচারি রাজার প্রাসাদ।

আয়ারল্যান্ডের নির্বাচনে আমার বর্ণিত কেরামত বৃন্দ ছাড়া অন্য কাউকে যদি কেরামত হিসেবে আখ্যায়িত করতে হয় তিনি হলেন বিজয়ী সভাপতি ডাক্তার সাহেব। নাম নেই, গন্ধ নেই, কমিউনিটিতে পরিচিতির বালাই নেই। নব আগন্তুক এক মুসাফিরের মতো। বর পুত্র। অথচ তিনি মন্তমুগ্ধের মতো ভোটারদেরকে জয় করে নিয়ে স্বীয় বিজয় ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হন। যাদু, কেরামতি বা সম্মুহন শক্তি যাই বলিনা কেন এ ঘটনাকেই সবার আগে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা যায়।

আগের লিখাটায় আর্থিক ক্ষয় ক্ষতির প্রসঙ্গ ইচ্ছে করেই টানিনি লেখাটা কলেবর হয়ে যাওয়ার ভয়ে। যে পরিমান অর্থ খরচ হয়েছে তা দিয়ে যদি একটি মসজিদ বা মাদ্রাসাও তৈরি করা যেত কমিউনিটি উপকৃত হতো। ঈদকে সামনে রেখে খরচক্রিত অর্ধেক পরিমান টাকাও যদি স্বদেশে গরিবদের বিলিয়ে দেয়া যেত তা আখেরি জিন্দেগি দুটোর জন্যই ফল বয়ে আনত। কিন্তু সমাজ সেবার চেয়েও যে আমাদের নেতা হওয়ার সখটাই বেশী। এসব বিষয়ে আরও ছয় মাস আগেই জনকণ্ঠ, সংবাদ, প্রথম আলো সহ বিভিন্ন পত্রিকাতে দিক নির্দেশনা মূলক লেখা লিখেছি। আমার মতো নগন্য লোকের সস্তা কথা এতো বড়ো বড়ো নেতাদের কর্ণপাত করার সময় কোথায়!

নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা আছে। অনেক ভুল ত্রুটি আছে। কিন্তু সর্বোপরি একটি অপ্রশিক্ষন ও অপেশাদার কমিশনের কাছ থেকে নিখুত কিছুই আশা করা যায়না। ইচ্ছে করলে তারা পরিকল্পনা ও পদ্ধতির অনেকটা উন্নতি ঘটাতে পারত। তার পরো তাদেরকে ধন্যবাদ জানাতেই হয় এ জন্য যে পুরো দেশে একটি নির্বাচন সম্পন্ন করাটাও ছেলের হাতে মোয়া নয়।

এসব বিষয়ে যুক্তি তর্কে গিয়ে লাভ নেই। এতে শুধু পানি ঘোলাই হবে। মুদ্দা কথা, আমার লেখার দিক গুলোই আপনার মন্তব্যের উপসংহারে ফুটে উঠেছে। ঘুরে ফিরে আপনিও অভিন্ন সুর তুলেছেন। এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। নবাব সিরাজ উপায় নেই গোলাম হোসেন বলে কিন্তু বসে থাকেননি। তার পরো পালিয়ে চেষ্টা করতে চেয়েছিলেন। নতুন করে নির্বাচন দেয়া, পুনগননা ইত্যাদি কাজ গুলো মুখে বলা যতো সহজ বাস্তবায়ন যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু কোন প্রার্থী যদি ভোট গননায় অসন্তুশ থেকে পুনঃ ভোট গননার দাবী উত্থাপন করেন সে ক্ষেত্রে কমিশন আইনগত ভাবে ভোট গোনতে বাধ্য। যেহেতু বিভিন্ন প্রতিকুলতা ও সীমাবদ্ধতার যাতাকলে কমিশন আবদ্ধ সেহেতু তাদেরকে গত লিখায় অনুনয়ের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শও দিয়েছিলাম। দু তিন দিন আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ ব্যপারে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তাহলে উপায়?

সব কুল হারিয়ে মানুষ যখন নিরুপায় হয়ে যায় তখন আল্লাহর উপর ভরশা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা। তাই বলবো আর বিবাদ নয়, অভিযোগ অনুযোগ নয়, কেরামতদের কেরামতি নিয়ে বাদানুবাদ নয় আসুন কমিউনিটির স্বার্থে আল্লাহর উপর ভরসা করে সব কিছু মেনে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলি। ভুল ভ্রান্তি যাই ঘটেছে পরবর্তীতে এসব ভুল ভ্রান্তি ফুল হয়ে ফুটবে।

আজ ঈদুল আযহা। যা আমাদেরকে শিক্ষা দেয় ত্যাগের মহিমা সম্পর্কে। বিজিত প্রার্থীদেরকে দরদী চিত্তে বলতে চাই ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠুন, এতে আপনাদের মঙ্গল নিশ্চিত। যারা বিজয়ী হয়েছেন তারাও তাদেরকে যথাযত মর্যাদা দান পূর্বক কাদে কাদ রেখে এক প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে রচনা করবেন এক শান্তি নিকেতন- সে প্রত্যাশায়।