সাধারণত পূর্ণ চাঁদ ওঠে সাড়ে ঊনত্রিশ দিন পর পর। সে হিসেবে প্রতি মাসে গড়ে একটিই পূর্ন চাঁদ দেখা দেয়। কিন্তু অনেক মাস ৩১ দিনে হবার কারনে কোন কোন সময় এক মাসেই দুটি ফুল মুন বা পূর্ন চাঁদ দেখা যায়। এক্ষেত্রে সেই মাসের দ্বিতীয় পূর্নিমাকে বা পূর্ন চাঁদকে নীল চাদ বা ইংরেজীতে ব্লু মুন হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়। সে হিসেবে এ অগাস্টের ২ তারিখে প্রথম পূর্নিমা হয়েছিল। আর আজ ৩১ অগাস্ট দ্বিতীয়টি, মানে নীল চাঁদটি দেখা দেবে। দেখতে কিন্তু অন্যান্য দিনের মত সাদাই থাকবে। কিন্তু নামের একটা ব্যপার আছে না। আহ! হুমায়ূন আহমেদ থাকলে নিশ্চয়ই আমাদের সাথে যোগ দিতেন। তবে নিল আর্ম স্ট্রং এর সাথে বসে তারাও ওপার থেকে এ নিল চাদটা আরও কাছ থেকে দেখবেন নিশ্চয়ই।
গড়ে দুই থেকে আড়াই বছর পরপর এই বোনাস পূর্নিমা দেখার সুযোগ হয়।
সর্বশেষ ২০০৯ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর এই চাঁদটি দেখা গিয়েছিল।
পরবর্তিতে ২০১৫ সালের ৩১ শে জুলাই এই ব্লু মুন দেখতে পাবেন।
আর ২০১৮ সালে দুইবার নীল চাঁদ দেখতে পারবেন।
নিল চাঁদের ভিসন টুয়েন্টি টুয়েন্টি নিচে দেয়া হলো :
2012
Full Moon – August 2, 2012
Blue Moon – August 31, 2012
2015
Full Moon – July 2, 2015
Blue Moon – July 31, 2015
2018
Full Moon – January 2, 2018
Blue Moon – January 31, 2018
2018
Full Moon – March 2, 2018
Blue Moon – March 31, 2018
2020
Full Moon – October 1, 2020
Blue Moon – October 31, 2020
আমার মা আমার সাদা কাপড় গুলোতে জোড় করে নীল দিয়ে দেয়। তার ধারনা এতে করে কাপড় অরও ধবধবে সাদা হয়। আমার মনে হয় চাঁদের বুড়ি চড়কাতে করে যে সুতো বুনে, তাতে দুই/আড়াই বছরের জমানো সুতো দিয়ে কাপড় বোনার পড়, নিল দেয় এদিনে। আর এ থেকেই নীল চাঁদ। আবার হতে পাড়ে চাদের বুড়ির নাতনীটার নাম নীলা। নীলার কোন বিশেষ কারনে, এ ঘটনা চাঁদের সরকারি দলের পক্ষ থেকে, বুড়িকে খুশি করানোর জন্য হয়ে থাকতে পারে।
যাই হোক, নাসার বিজ্ঞানীরা কিন্তু বলছেন পৃথিবী থেকে সত্যি সত্যি নীল চাঁদ দেখা যায়। নীল রংয়ের যে চাঁদের ছবিটি দেখছেন এটা কিন্তু নাসার ফটোগ্রাফার কোসটিয়ানা ইফটিকা সাহেব মানে ইফটি সাহেব নীল রংয়ের ফিল্টার ব্যবহার করে কাজটি করেছেন। তাই নীল রংয়ের চশমা পড়ে আজ চাঁদ দেখুন। দেখবেন সত্যিই নীল নীল চাঁদ দেখা যাচ্ছে।
সত্যিই কি চাঁদ কখনো নিল রংয়ের দেখা যায়???
হ্যাঁ, দেখা যায়।
১৮৮৩ সালে ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাটোয়াতে একটি শক্তিশালী আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরন হয়। যা ১০০ মেগাটন পারমানবিক বোমার সমান ছিল। আর এর ধোয়া প্রায় ৬০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ছিলো। যার ফলে তখন চাঁদটা সত্যি সত্যিই নীল হয়ে গিয়েছিল। নিচে ক্রাকাটোয়া আগ্নেয়গিরির বর্তমান চিত্র দেখা যাচ্ছে।
আবার যখন বনে প্রচন্ড রকমভাবে পুড়তে থাকে তখনও সে ধোঁয়া থেকে অনেক সময় নীল চাঁদ দেখা যায়। যদি সে ধোয়া এক মাইক্রোন এর বেশী পার্টিকেল তৈরীতে সক্ষম হয় তবেই নীল লাগবে। নতুবা চাঁদটা লাল লাগবে।
আজকে আমি কিছু বন্ধুদের সাথে মেঘনা নদীতে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদীতে নৌকায় ঘুরবো। আর নীল রংয়ের চাঁদ দেখবো। ণীল চাঁদ বলে একটা ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছি। নীলা, নীলাঞ্জনা, নীলিমা নাম গুলো আজ খুব বেশী বেশী মনে পড়ছে।
ইংরেজীতে একটা প্রবাদ আছে,
If they say the moon is blue,
We must believe that it is true.
এখন কি আর করা , জোর্তি বিজ্ঞানীরাই বলছেন সাদা চাঁদকে নীল চাঁদ। মিথ্যা বলার তো উপায় নাই!!!!! ভাইসাবের নামই যখন সম্রাট, সম্রাট না হলেওতো সম্রাট বলেই ডাকতে হবে, তাই না????