নদীতে চাঁদ দেখার মজাই অন্যরকম। ৩৬০ ডিগ্রির একটা প্রশস্ত ভিউ পাওয়া যায়। চারিদিকে শুধু পানি আর পানি। অর্থাৎ নিচে তাকালেই নদীর পানি । সে পানিতে চলে মুক্ত বাতাসের দৌড়াদৌড়ি। সেই থেকে ঠেউ এর আছড়ে পড়া শব্দ । আর উপরে তাকালে শুধুই আকাশ। সে আকাশে মেঘ উসাইন বোল্টের মত দৌড়াদৌড়ি করে আবার কখন লোকাল বাসের মত থেমে থেমে যায়। তৈরী হয় বিচিত্র সব চিত্রকলা। আর এই আকাশ এবং পানির মাঝে থাকে দিগন্ত রেখা। আর সেই দিগন্ত রেখার পূর্ব দিকে একটু উপরে গোধূলি লগ্নে আস্তে আস্তে চাঁদটা দেখা দেয়। ধরা দেয় সেই নীল চাঁদ।
আর পশ্চিম আকাশে লাল গোধূলি ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে সন্ধ্যাকে রেখে যায়। আর তখনই সুকান্তের সেই ঝলসানো রুটিটা পূর্ণ রূপে তৈরী হয়ে যায়। রুটিটা নদীর পানিতে যে প্রতিবিম্ব ফেলছিল , মনে হচ্ছিল যেন সুকান্ত স্বর্গে বসেই রুটিটা মেঘনার মিষ্টি পানিতে চুবিয়ে চুবিয়ে খাচ্ছেন। দেখুন..।
"ও কারিগর,
দয়ার সাগর,
ওগো দয়াময় চান্নি পসর রাইতে যেন আমার মরণ হয়…"
________________________________________________________________________
এই পোস্টটি শ্রদ্ধেয় ব্লগার নুরুন্নাহার শিরীনকে উৎসর্গকৃত। যিনি গ্লুকোমার কারনে ইচ্ছে থাকা সত্বেও, এই নীল চাঁদ দেখতে পাননি, দেখেছেন মনের আকাশে।
গতকালের পোস্টটি: আজকের আকাশে 'নীল চাঁদ' উঠবে, মিস করলে আবার ২০১৫ সালে