বাংলাদেশে মৎস কন্যার আবির্ভাব

মওদুদ মোমেন মিঠু
Published : 2 Oct 2011, 02:32 PM
Updated : 2 Oct 2011, 02:32 PM

মৎসকন্যা যাদের কথা শুনা যায় রূপকথার গল্পে। কিন্তু তারাও রূপকথার জগৎ থেকে মাঝে মাঝে নেমে আসে মাটির পৃথিবীতে। কিন্তু তারা মাটিতে বেশিক্ষণ বেঁচে থাকতে পারেনা। তাই জন্মের কিছু সময়ের মাঝেই তারা মারা যায়। এমন একটি মৎস কন্যা গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীতে এসেছিল। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রামের কুড়া গ্রামের আফাজ উদ্দীন(৩৮) তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন(৩০) দুপুর ২টায় তার নিজ বাড়ীতে দ্বিতীয় মৃত শিশু সন্তানের জন্ম দেয়।

চলুন পুরো সংবাদটি একবার দেখে নেই :

ঝিনাইগাতীতে লেজ আকৃতির শিশু প্রসব

"গোলাম রব্বানী টিটু, ঝিনাইগাতী(শেরপুর)থেকে : শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকরা সর্বদায় সচেষ্ট। সেই সাংবাদিকদের ক্যামেরায় মঙ্গলবার একটি লেজ আকৃতির ছবি তুলে আনে । ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রামের কুড়া গ্রামের আফাজ উদ্দীন(৩৮) তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন(৩০) দুপুর ২টায় তার নিজ বাড়ীতে দ্বিতীয় মৃত শিশু সন্তানের জন্মদেয়।

সন্তানটির মহান আল্লাহ তালার নিয়তির খেলায় পশু আকৃতির লেজ দেখা যায়। এই লেজ বিশিষ্ট সন্তানকে দেখার জন্য গ্রামের শত শত মানুষ ও স্থানীয় প্রেসক্লাবের প্রগতিশীল সাংবাদিকরা ভীড় জমায় । বর্তমানে মৃত শিশুর মা সুস্থ আছে । এর আগে প্রথম একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। শিশুকে নিজ বাড়ীর সামনে কবর দিয়ে রাখা হয়েছে। "

এমনটি কিন্তু প্রায়সই ঘটে থাকে। প্রতি এক লক্ষ (সাধারণত টুইন) শিশুর জন্মে এমন একটি হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের কাছে এটি Sirenomelia নামে বা মারমেইড সিনড্রোম হিসেবে পরিচিত। Siren মানে মায়াবিনী নারী।

মৎস কণ্যাদের পা বা পায়ের পাতা থাকে না। এদের চোখ দুটি উভচর প্রাণীদের মত হয়ে থাকে। কানদুটি শীথিল ও ছোট থাকে। এদের প্রজননতন্ত্র থাকেনা। কিডনি বা মূত্রথলিতে সমস্যা থাকে। এসকল শিশুদের পরিপাকতন্ত্র এবং পায়ুপথেও সমস্যা থাকে বা পায়ুপথ একবারে থাকইনা। সাধারনত এসব শিশু ২৪ঘন্টার বেশী বাঁচতে পারেনা।

এর কারন হিসেবে সাধারনত বলা হয় :
১. Failure of normal vascular supply from the lower aorta in utero.
২. মায়ের বা মায়ের পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস।
৩. গর্ভকালিন সময়ের HALOPERIDOL(a major antipsychotic agent, C 21 H 23 ClFNO 2 , used in the management of schizophrenia, severe anxiety, and other behavioral disorders. ) নিলে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় এসব শিশু এসেছে, এদের মাঝে কয়েকটি শিশুই ছিল যাদের কিডনি বা ব্লাডারে সমস্যা ছিলনা।

মিলাগ্রোস কিরওন-


২০০৪ সালের ২৭ এপ্রিল জন্ম নেয়া এ শিশুটি কে অপারেশনের মাধ্যমে ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক সফল অপারেশনের মাধ্যমে আলাদা করা হয়।

টিফানি ইয়োর্কস-
৭ মে ১৯৮৮ সনে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া টিফানিকে এক সফল অপারেশনের মাধ্যমে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব হয়।

সিলোওহ পেপিন-
অগাস্ট ১৯৯৯ সনে জন্ম নেয়া এ শিশুটি একটি আংশিক কিডনি ও একটি আংশিক ডিম্বাশয় নিয়ে জন্মগ্রহন করে।

অতীতেও খুঁজে পাওয়া যায় এদের –