কিশোর-কিশোরীরা নিজেদের অনলাইন তত্পরতার বিষয়ে মা-বাবা কিংবা অভিভাবকদের সত্য তথ্য দিচ্ছে না। তারা অনলাইনে কোথায় যায় বা কার সঙ্গে যোগাযোগ করে সে ব্যাপারে সত্য তথ্য নানাভাবে গোপন করছে।
ফাঁকি দেয়ার জন্য সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হলো- ইন্টারনেট ব্রাউজারের হিস্ট্রি মুছে ফেলা কিংবা মা-বাবা ঘরে ঢুকছেন টের পাওয়া মাত্রই ব্রাউজার মিনিমাইজ করা। এ ছাড়া, কিশোর-কিশোরীরা আর যেসব পথ বেছে নেয় সেগুলো হলো- ইন্সট্যান্ট মেসেজ বা ভিডিও মুছে ফেলা, অনলাইন কর্মকাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত কথা বলার সময় মিথ্যা বলা কিংবা এ বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া এবং মা-বাবা সাধারণতঃ যে কম্পিউটার ব্যবহার করেন না সে কম্পিউটার ব্যবহার করা। স্মার্টফোনের মতো ইন্টারনেট ব্যবহার উপযোগী মোবাইল ফোন ব্যবহার করেও কিশোর-কিশোরীরা তাদের মা-বাবাকে আজকাল ফাঁকি দিচ্ছে ।
অনেকাংশে দেখা যায় মা-বাবা তাদের কিশোর বয়সী সন্তানরা অনলাইনে কী করছে সে সম্পর্কে তারা সবই জানেন। অনলাইন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সন্তানরা তাদের মা-বাবার সঙ্গে খোলামেলা কথা বলছে। ফলে, ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সন্তানদের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখার কাজটিও তারা সঠিকভাবে করতে পারছেন বলে মা-বাবারা আত্মতৃপ্তি বোধ করে। আসলেই কী তাই ?