কোলকাতায় এবারের নির্বাচনের নামে যা হয়েছে তাকে নির্বাচন না বলে "নির্বাচনের প্রহসন" বলাই শোভনীয়। অধিকাংশ এলাকাতেই "এলাকার ক্ষমতাসীন" গোষ্ঠির অনুগত ভোটার ছাড়া "ভিন্নমতের" কিংবা "সন্দেহজনক ভিন্নমতের" কেউকে ভোট প্রদান তো দূরের কথা এমনকী বাজার করতেও যেতে দেয়া হইনি। সকাল বেলা পড়ার "পার্টি অফিস" থেকে "টুল" আর " মালের বোতল" নিয়ে প্রতিটি রাস্তার মোড়ে মোড়ে কর্মী বাহিনী হাজির। সঙ্গে সাউন্ড বক্স। যারা যারা "সন্দেহভাজন ভিন্নমতের", তাদেরকে ডেকে ডেকে " ও দাদা, ভোট দিতে যেতে হবেনা কষ্ট করে, ও আমরাই ম্যানেজ করে নোবো, আজ আপনার ছুটি। বাড়িতে থাকুন, ছুটি কাটান। না হয় আমাদের সঙ্গে আসুন, মস্তি করুন। ভোট দিতে কিন্তু যাবেন না মাইরী, আগেই বলে রাখলুম"। অবস্থা এমন, ভিন্নমতের লোকজন নির্বাচনের দিন যে ঘর থেকে যে বের হবেন, তাও পারবেন না।
অভিযোগ দুটি লক্ষ্য করলেই সহজেই অনুমেয় টাওয়ার হ্যামলেটসের পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাবের চূড়ান্ত ফলশ্রুতিই হলো "লুত্ফর রহমান"-এর বিজয়, যা আদালতের রায়েও স্পষ্ট।
প্রশ্ন জাগে বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে, নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিরপেক্ষতা আর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আসলে ইইউ বিভিন্ন সময়ে কথা বলে কেন? বা আমাদের নির্বাচন নিয়ে তাদের কথা বলার কোনো এখতিয়ার আছে কিনা? আমার মনে হয় না সেই এখতিয়ার ইইউ'র আছে। যেখানে ইইউ'র বড় অংশীদার যুক্তরাজ্যের একজন মেয়র নির্বাচনে কমিশনের পক্ষপাতিত্ব, পুলিশের নিস্ক্রিয়তা, রেসিজমসহ নানাভাবে ধর্মীয় অস্ত্রে ঘায়েল করে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মতো ঘটনা নিয়মিত শোনা যায়, তারা কীভাবে, কোন মুখে বাংলাদেশের নির্বাচনের "নিরপেক্ষতা সনদ" প্রদান করতে আসে? আমার বোধগম্য নয়! তাও আবার তারা এমন সব দলকে দলের প্রার্থীদেরকে উত্সাহিত করে "ফোড়ন" কাটে যাদের নির্বাচনের মূলধন-ই হলো ধর্মীয় সুরসুরি দিয়ে জনতাকে ধোকা দেওয়া!
https://www.facebook.com/goutam.2511