জীবনের স্বার্থকতা কোথায়?

গৌতম বুদ্ধ পাল
Published : 5 Sept 2016, 08:30 PM
Updated : 5 Sept 2016, 08:30 PM

সভ্যতার এক ক্রান্তিলগ্নে আমরা দাড়িয়ে আছি। মানব সভ্যতা যখন ইলেকট্রনিক্স ডিজিটাল যুগে পৌঁছে অব্যাহত ভাবে অগ্রসর হচ্ছে, ঠিক সেই মুহুর্তে পিছন থেকে ছুরিকাঘাত করার ন্যায় বিপদগামী পথভ্রষ্ঠ কিছুলোক অগ্রগতিকে ব্যাহত করছে। আমার অবাক দৃষ্টিতে দেখি উচ্চ শিক্ষিত তরুন সমাজ যেখানে নতুন আবিষ্কাররের ন্যায় উজ্বল তারুণ্যের বিকাশ ঘটাবে ঠিক সেই সময়ে পথভ্রষ্ট হয়ে জীবন বিনষ্ট করতে গিয়ে নিজের জীবন হারাচ্ছে।

মানব সভ্যতার মূল হচ্ছে মানবতা। শিক্ষা, দীক্ষার প্রথম শর্ত হচ্ছে মানবতা মানুষের অধিকার মানুষের জয়গানই হচ্ছে প্রকৃত মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি । যদি মানুষ না থাকে মানবতা না থাকে তাহলে সমাজ সভ্যতার স্বপ্ন ও থাকবে না। মানুষ এবং পশুর মধ্যে পার্থক্য খুব কম। শুধুমাত্র মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষ্যত্ব বোধ, প্রজ্ঞা, জ্ঞান, শিক্ষা, বুদ্ধি বিবেচনায় মানুষ শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার। শুধুমাত্র সন্তানাদি জন্মদিলে তাদের শিক্ষা দীক্ষা করলেই মানুষ হওয়া যায় না। মানুষকে তার চেষ্টা, জ্ঞান, ও বুদ্ধিদীপ্ত প্রচেষ্ঠায় উভয়ের পথে অগ্রসর হতে হয়। একজন লোক অন্য লোকের সুখে দুঃখে, বিপদে আপদে নিজের বিবেককে সচেতন করবে। একজনের বিপদে যদি অন্যজন ঝাপিয়ে না পড়ে তা হলে তার মানুষ্যত্ববোধ কিভাবে জাগ্রত হবে?

ঈশ্বর সর্বভূতে বিরাজ করেন। সকলের মধ্যেই একই ঈশ্বরের ছায়া স্পর্শ করে। কারণ জগতের স্রষ্টা একজন। ধর্ম যা ধারণ করে। ধর্ম পরে সৃষ্টি হয়েছে; মানুষ আগে সৃষ্টি হয়েছে। ধর্ম এসেছে মানবজীবনকে রক্ষার জন্য। জীবন দর্শন কে সুখী সমৃদ্ধশালী করাই ধর্মের উদ্দেশ্য। ধর্ম নৈতিকতা শিক্ষা দেয়। ধর্ম বর্বরতা শিক্ষা দেয় না। একজন লোকের প্রাণ দেয়া কারো পক্ষে সম্ভব নয় সুতরাং একজন লোককে বধ করা যাবে না।
মানুষ হত্যা করে সৃষ্টিকর্তার কৃপা পাওয়া যাবে না। বরং মানুষের জন্য কাজ করে ঈশ্বরকে সন্তোষ্ট করা যায়। ধর্ম কখনও কোন হত্যাকে অনুমোদন করে না। একটি কীট পতঙ্গ কে পর্যন্ত হত্যা করা যাবে না। কিন্তু একটি বিবেকহীন মহল প্রচার করছে যে বিধর্মীকে হত্যা করলেই বেহেস্ত পাওয়া যাবে। আর এ অদম্য নেশায় উড়ন্ত পতঙ্গের ন্যায় জলন্ত অগ্নিতে যারা ঝাপ দিচ্ছে তাদের উচিত ধর্মের মর্মবাণী সঠিক ভাবে হৃদয়ঙ্গম করা। সত্যকে জানতে হবে। ধর্মকে জানতে হবে। মানষকে রক্ষার জন্য র্ধমরে সৃষ্ট। র্ধম কে রক্ষার জন্য মানুষরে জন্ম হয়ন। সুতরাং র্ধমীয় মূল্যবোধকে ভালভাবে অনুধাবন করে জীবনরে সুবিন্যান্ত পথকে শুদ্ধ উদ্যানে পরণিত করতে হব। তবইে হতে জীবনরে র্সাথকতা।