মৌলভীবাজারে কুমড়াকাপন গ্রামে বিশ্বশান্তিকল্পে হরিনাম সংকীর্তন

গৌতম বুদ্ধ পাল
Published : 22 Jan 2022, 10:36 AM
Updated : 22 Jan 2022, 10:36 AM

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম কুমড়াকাপন সার্বজনীন দুর্গাবাড়িতে  বিশ্বশান্তিকল্পে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলার সূচনা বিগ্রহ ও শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণের পূজাঅর্চনাসহ ১২তম বর্ষ অষ্টপ্রহরব্যাপী শ্রী শ্রী হরিনাম ও জপযজ্ঞ মহোৎসব আয়োজন করা হয়েছে।

সারথী যুব সংঘের আয়োজনে এই সংকীর্তন চলবে ২০ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত।

তিন দিনব্যাপী এই উৎসব উপলক্ষে কমলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম কুমড়াকাপন গ্রাম জুড়ে সাজ সাজ রব।

এই নিয়ে কথা হল মহোৎসব উদযাপন পরিষদ ১৪২৮ বাংলার সভাপতি অসিত কুমার পালের সাথে।

তিনি বলেন,  "তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের প্রথম দিনের আয়োজন  বৃহস্পতিবার শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণের পূজা অর্চনা, সমবেত গীতা পারায়ণ, শ্রীমদ্ভগবদ্ আলোচনা সভা আলোচনা।

"আলোচনা করবেন শ্রী রাহুল কৃষ্ণ দাস ও অষ্টপ্রহরব্যাপী শ্রী শ্রী হরিনাম ও জপযজ্ঞ মহোৎসবের শুভ অধিবাস কীর্তন; কীর্তন পরিবেশন করবেন বাংলাদেশ বেতারের কন্ঠশিল্পী টিটু দাস।"

দ্বিতীয় দিন শুক্রবারের আয়োজনে রয়েছে ব্রাহ্ম মুহূর্ত থেকে হরিনাম সংকীর্তন ও জপযজ্ঞ মহোৎসবের আরম্ভ।

সংকীর্তন পরিবেশন করবেন রাধাবিনোদিনী অষ্টসখী সম্প্রদায়; গোপালগঞ্জ, রাধানাথ সম্প্রদায়; সিলেট, পুরোষোত্তম সম্প্রদায়; জুড়ী এবং আশ্রম সম্প্রদায়; রাজনগর, মৌলভীবাজার।

জপযজ্ঞ মহোৎসব পরিচালনা করবেন পশ্চিম কুমড়াকাপন গীতা স্কুলের পরিচালক শ্রী রিপন পাল।

তিনি বলেন,  "তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনে গীতা স্কুলের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা গত প্রায় ৫ বছর ধরে হরিনাম সংকীর্তনের পাশাপাশি জপযজ্ঞ পরিচালনা করে আসছি। এই বিষয়ে তরুণ সনাতনী ভক্তদের কাছ থেকে ব্যাপক সারা পেয়েছি।"

সবশেষ তৃতীয় দিন শনিবার দধির ভান্ড ভঞ্জন ও মহোৎসবের সমাপন।

অসিত কুমার পাল বলেন,  "তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনে উৎসবকে সফল করতে সনাতনী ভক্তবৃন্দ, গ্রামবাসী, প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিরা বিশেষভাবে সহযোগিতা করছেন। প্রতি বছর লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম ঘটে। আমরা আশা করছি এই বছরও ভক্তবৃন্দের উপস্থিতি ও সহযোগিতা পাবো।"

সারথী যুব সংঘের বর্তমান সভাপতি শ্রী সম্ভু রুদ্র পাল বলেন, "উৎসব উপলক্ষে প্রতিমা কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। আমরা এই বছরে আয়োজন সাজিয়েছি রাধাকৃষ্ণের রাসলীলা নিয়ে। আমাদের কমিটির সদস্যরা দেশব্যাপী নিমন্ত্রণ প্রদান ও প্রণামি সংগ্রহ করছেন।"

সাবেক সাধারন সম্পাদক শ্রী বিষ্ণু কান্ত পাল বলেন, "গত ১১ বছর ধরে আমরা এই উৎসবের আয়োজন করে আসছি। সিলেট বিভাগ তথা সারা বাংলাদেশের সকল সনাতনী ভক্তবৃন্দের কাছে আমাদের যথাসাধ্য প্রচেষ্টা অনুযায়ী নিমন্ত্রণ পাঠানোর চেষ্টা করি। গত বছর করোনাভাইরাসের কারণে আমরা সীমিত পরিসরে এই আয়োজন করেছি।

"এবার আমাদের সকল সদস্য এই উৎসব ঘিরে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উৎসবে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করতে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭১৯-৪২৬৮৬৭ নম্বরে।"

সনাতনী ভক্তদের উপস্থিতি ও সহযোগিতায় এই উৎসব আনন্দময় হয়ে উঠবে এমনটাই আশা করছেন উৎসব আয়োজক কমিটি।