আমাদের দেবদূতেরা:

নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়
Published : 17 July 2012, 06:01 AM
Updated : 17 July 2012, 06:01 AM

আগে শুনতাম সমাজ, রাষ্ট্রের নানা জায়গায় ঘুন ধরে গেছে। এখন ভুরি ভুরি উদাহরন দেখা যায়- পঁচে পচে মাংস খুবলে পড়ছে। অনিয়ম দুর্নীতি এখন নীতি নিয়মে পরিনত হয়েছে। আর বৈষম্য, অন্যয্যতা যেন বৈধতা দিচ্ছে এসব অন্যায়ের।

দুদকে বসে বসে গল্প শুনলাম, এক বীরের যে-অর্থ আত্মসাতের পর, সেই অর্তের বলে এত বলীয়ান যে তাকে বিচারের আওতায আনা যাচ্ছে না। তার নাম পরিচয় সব কিছু দেয়া যেত কিন্তু আর ইচ্ছে করছে না। কি লাভ?! তা বিরুদ্ধে দুর্নীতির সমস্ত সাক্ষী-প্রমানই রয়েছে। কোর্টে প্রমান উপস্থাপনও হয়েছে, বিভাগীয় তদন্তে প্রমানিতএ হয়েছে। দুর্নীতির বিরোধীতাকারী এক জুনিয়ার সহকর্মীকে খুনও করেছে। সেটার আবার জবানবন্দির মাধ্যমে স্বীকারও করেছে। সেই দুর্নীতি বিচার এখন উচ্চ আদালতের নিদেশে স্থগিত। খুনের মামলাও চলছে এক ভাবে। তবে সেই ভয়ঙ্কর আসামী সমাজের সম্পদশালী সুধী জন হয়ে মুক্ত ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

তেমনী শ'খানেকেরও বেশী উদাহরন দেখানো যাবে শুধু মাত্র রাজনৈতিক ক্ষমতাকে ব্যবহার করে কি বিপুর বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন দেশের একটি শ্রেণী। কিছু দিন আগে আমার এক সহকর্মী বলছিল- টাকা টার মালিক হওয়ায় বড় কথা। কিভাবে এই টাকার মালিক হয়েছেন তা সবাই খুব দ্রুত ভুলে যায়। মন্ত্রী-এমপির সম্পদের হিসেব চাওয়াত দূরের কথা। একজন নব্য মন্ত্রীর এপিএসের ফ্লাট, গাড়ি বিপুল নগদ টাকা নিয়ে কোন প্রশ্ন ওঠে না। উঠলেও কয়েক দিনের উত্তেজনা, শুরশুরি দেওয়ার মত গণমাধ্যমের লাফ-ঝাপ। তারপর সব ঠান্ডা, দুদকের সার্টিফিকেট নিয়ে আরো শক্তি-ক্ষমতায় বলীয়ান হয়ে ফিরে যান স্বস্থানে। কোটি কোটি টাকা প্রতারনার অভিযোগ রয়েছে, এমন সাংবাদিক কাভার করছেন খোদ প্রধানমন্ত্রীকে। সাধারণ মানুষের মত গাযের রং, রক্ত, চামড়া নিয়েই এই দেবদূতেরা যেন মাটিতে নেমে এসেছেন্ কোন কিছুতেই তাদের যেন কিছু হতে নেই।অনেকে বলেন এসব সমাধানের জন্য নাকি রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন। নির্বাচনের আগে দুর্নীতির জিরো টলারেন্সের ওয়াদা শূন্যে পরিনত হয়।

এখন তো পদ্মাসেতু, বিদ্রুৎ ইত্যাদি বড় বড় দুর্নীতির অভিযোগ, অপেক্ষাকৃত ছোট দুর্নীতি গুলোকে যেন আলোচনা অযোগ্যতা বৈধতা দিয়েছে। দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণদিত দুর্নীতির অভিযোগ যেন নি:দোষ প্রমান করেছে বন খেকো ওসমান বা ট্রুট কমিশনে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজদের। অবস্থা দৃষ্টে যেন মনে হয় শুধু দুর্নীতি করার সুযোগের অভাবে দেশের বেমির ভাগ সাধারণ মানুস সৎ রয়েছে। আর সুযোগ থেকেও যারা যারা ওপথে যাচ্ছেন না, তারা যেন নিজের অযোগ্যতার প্রমান দিচ্ছেন।