প্রাথমিক সমাপণী পরীক্ষায় পিছিয়ে নেই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্কুল `ইন্টারভিডা'
শিশুদের মুখের হাসি কেমন লাগে! আর সে যদি হয় সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মুখ!
সে রকম চিরসবুজ হাসি ফুটে উঠেছিল ২৮-শে ডিসেম্বর ২০১০, যখন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলো। ফলাফল প্রকাশের সাথে সাথে উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারভিডার সকল স্কুলে।
গত বছর ইন্টারভিডার ২৮ টি স্কুল থেকে ৭১৫ জন ছাত্র/ছাত্রী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে এবং ৭১০ জন সফলভাবে উত্তীর্ন হয়। প্রথম বিভাগ প্রাপ্তের হার শতকরা ৮৮ শতাংশ। মোট উত্তীর্নের হার ৯৯ শতাংশ। এটা আমাদের জন্য বড় সাফল্য।
ইন্টারভিডার সকল শিক্ষার্থীই অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে এসে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে। পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা করে নিয়মিত ভাল পুষ্ঠিমানের টিফিন সরবরাহ করা হয়। পোষাক থেকে শুরু করে যাবতয়ি শিক্ষা উপকরণ ইন্টারভিডা দিয়ে থাকে। সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশের শিক্ষার দক্ষতা অর্জনের জন্য রয়েছে ইন্টারভিডার অনেক গুলো রিসোর্স সেন্টার। সেখানে ছেলে-মেয়েরা কম্পিউটারও শিখতে পাবে। এছআড়াও রয়েছে Economic Development Center, Primary Health Care Center, Children Home.
১৯৯৯ সাল থেকে স্পানিশ এই আন্তজাতিক সংস্থাটি বাংলাদেশে সুবিধা বঞ্চিত ছেলে মেয়েদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। চাইল্ড স্পন্সরশীপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ছেলে মেয়েরা স্কুলে ভর্তির সুযোগ পায়। ইন্টারভিডার শিক্ষা বিভাগ স্কুল গুলো পরিচালনা করে থাকে ।
ফুনডাশিয়ন ইন্টাভিডার জন্ম ২৪ ফের্রুয়ারী ১৯৯৪ সালে স্পেনের বার্সেলোনাতে । এটি একটা উন্নয়নে সাহায্যকারী অলাভজনক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য দরিদ্র, সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়ণ- যাতে করে তারা সম্মানজনক জীবনের অধিকারী হয়ে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন করতে পারে।
বর্তমানে ফুনডাসিয়ন ইন্টাভিডা ভারত, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, ইকুয়েডর, এল-সালভাদর, গুয়েতেমালা, মালি, নিকারাগুয়া, পেরু, ফিলিপাইন, বলিভিয়া সহ বিশ্বের ১৩টি দেশে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।