মহাজোট সরকারের আমলে সাংবাদিক খুন ১৪ জন

হাসান আজাদ
Published : 29 May 2012, 04:54 AM
Updated : 29 May 2012, 04:54 AM

দিনের পর দিন সাংবাদিক হত্যাকান্ড বেড়েই চলছে। বিগত জোট সরকারের সময়ও হয়েছিল। আর মহাজোট তথা শুধু আওয়ামীলীগ সরকারের এই তিন বছরের মাথায় দেশে সাংবাদিক খুন হয়েছে ১৪ জন। এর মধ্যে ২০১২ সালের শুরুতেই অর্থাৎ ১১ ফেব্রুয়ারি খুন হলেন সাংবাদিক সাগর-রুনী দম্পতি। এছাড়া ২০১১ সালে খুন হয়েছে ৪ জন। গত ২৮ জানুয়ারি ৭৭ নয়াপল্টনের বাসায় খুন হন প্রবীণ সাংবাদিক ফরহাদ খাঁ (৬০) ও তার স্ত্রী রহিমা খাঁ (৫৫)। ৭ ডিসেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ কুকরাইল এলাকায় গলা কেটে হত্যা করা হয় দৈনিক ভোরের ডাকের গোবিন্দগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ফরিদুল ইসলাম রঞ্জুকে। ৭ এপ্রিল ঢাকার উত্তরা ও চট্টগ্রামর পোর্টকলোনিতে খুন হয়েছেন ২ সাংবাদিক। পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যমতে, ৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের পোর্টকলোনি এলাকায় দৈনিক আজকের প্রত্যাশা, সাপ্তাহিক সংবাদচিত্র ও আজকের সূর্যোদোয় পত্রিকার সাংবাদিক মাহবুব টুটুলকে হত্যা করা হয়েছে। একই দিন উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর সড়কে ১০ নম্বর বাসার বাসিন্দা সাপ্তাহিক বজ্রকন্ঠের সাংবাদিক আলতাফ হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর ১১ দিন আগে থেকে নিখোঁজ ছিলেন সাংবাদিক আলতাফ।

২০১০ সালে খুন হয়েছেন ৪ জন। তাদের মধ্যে ঐ বছরের ৯ মে গুপ্তহত্যার শিকার হন বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার সিনিয়র ক্যামেরাম্যান শফিকুল ইসলাম টুটুল। যদিও পরবর্তীতে পুলিশ জানিয়েছে, তিনি ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হয়েছেন। ২০১০ সালের ২৮ এপ্রিল খুন হন বিশিষ্ট সাংবাদিক ফতেহ ওসমানী। সাপ্তাহিত ২০০০ এর সিলেট প্রতিনিধি ফতেহ ওসমানীকে ঐ বছর ১৮ এপ্রিল কুড়াল ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে আহত করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় তার মৃত্যু হয়। ২০১০ সালের ২৩ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে দিবালোকে খুন হন বরিশালের মুলাদী প্রেস কাবের সভাপতি মনির হোসেন রাঢ়ী।

২০০৯ সালে নিহত হয়েছেন ৪ জন। ফেব্রুয়ারী মাসে ঢাকায় এনটিভির ভিডিও এডিটর আতিকুল ইসলাম আতিক, জুলাই মাসে ঢাকার পাক্ষিক মুক্তমনের স্টাফ রিপোর্টার নুরুল ইসলাম ওরফে রানা, আগস্ট মাসে গাজীপুরে ঢাকার সাপ্তাহিক সাপ্রতিক সময় এর নির্বাহী সম্পাদক এমএম আহসান হাবিব বারি, ডিসেম্বরে রূপগঞ্জে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সংবাদদাতা ও রূপগঞ্জ প্রেসকাবের সহসভাপতি আবুল হাসান আসিফ খুন হন।