মোহনীয় পঙ্গুত্ব
সময়ের কোষ নকশা আঁকে বেঁচে
থাকবার অভ্যন্তরীণ লোভে।
আমার বেপরোয়া অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কখনও
ঢুকে পড়ে অন্যের পকেটে
কখনও নিজের পেটে অথবা
খাঁজকাটা চামড়ার গতরে,
কামে অথবা কাতরে।
আমি হচ্ছি কতগুলো ইচ্ছার যোগফল –
যে কিনা একটা জাদুপোশাকের খোঁজে
মাঠের পর মাঠ চষে বেড়াচ্ছি।
অঙ্গসংস্থানবিদ্যায় পারদর্শিতা আমাকে
এক মোহনীয় পঙ্গুত্ব দিয়েছে,
শুধু অপরের মরে যাওয়া দেখি;
নিজে মরি না।
মাঝে মাঝে নিজেকে চাবুক খাওয়া
সার্কাসের জন্তু মনে হয়।
আমি নাকি এখনও
বেঁচে আছি বহাল তবিয়তে।
ব্লাকবক্স অথবা প্যাডেল
অতি-প্রাসঙ্গিক মুহূর্তে মুমূর্ষু হাসপাতাল এসে ঢুকে পড়ে
লোকমার মানচিত্রে অথবা শিশুদের নরম ঘুমে।
সমাধি সাজিয়ে ঘরে ফিরতে ফিরতে নিভে যায় আলো,
পকেটভরতি বিচলিত আয়ুষ্কাল নিয়ে ফিরে আসি জীবনের ঘনীভূত আয়নায়।
উপায়ান্তর আমি,
না শিখেছি প্যাডেল ঠেলতে,
না পারদর্শী উড্ডয়নবিদ্যায়।
আমার মৃত্যুর ব্লাকবক্স অথবা প্যাডেল ছুঁয়ে দেবে কে?
প্রতিচিত্রী কবিতা
কলসজুড়ে শূন্যতার হাহাকার।
আঙিনার ঘুঘু পিপাসার্ত।
তৃষ্ণা জিহ্বার অতল গহ্বরে।
উত্তর ঘাটে নদীগুলোর চোখে অশ্রু।
বিমূর্ত ফসলের শূন্য শরীরে আগুন।
জীবনসংগীতে আরোপিত গ্রীষ্মের মিছিল।
সমস্ত ক্রোধ হু-হু।
ভাটি থেকে উজানমুখী অসন্তোষ।
প্রেম
স্নিগ্ধ বাতাস জড়িয়ে ঘুমোতে যাচ্ছি,
বাতাস আসছে তোমার দিক থেকে।
নীলাম্বরী-
তোমার শরীরে কি বৃষ্টি নেমেছে?