সিঙ্গেল সেক্স শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঈর্ষণীয় সাফল্য- সহশিক্ষাঃ পশ্চিমা বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট – একটি গবেষণা প্রতিবেদন

হাসান
Published : 21 April 2011, 05:50 PM
Updated : 21 April 2011, 05:50 PM

ছেলে ও মেয়ে আলাদা­ এমন স্কুলগুলো সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ঈর্ষণীয় ভালো ফল করছে। সর্বশেষ এসএসসি পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, সারাদেশে সেরা ২০০টি স্কুলের মধ্যে মাত্র ৩৯টি স্কুলে সহশিক্ষাব্যবস্থা আছে। বাকি ১৬১টি স্কুল হয় বালক বা বালিকা বিদ্যালয় অথবা ছেলে ও মেয়েদের পৃথক শিফট রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপ ও আমেরিকাতে শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। অনেকটা অবাধ স্বাধীনতা ও নানাবিধ কারণে পশ্চিমা বিশ্বের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে শিক্ষার্থীদের ফলাফল দিনদিন খারাপের দিকে যাচ্ছিল। বিশেষ করে প্রচলিত সহশিক্ষার ফলে ছেলে মেয়েদের সহাবস্থান ও অবাধ মিশ্রণের সুবাদে একদিকে যেমন নারী নির্যাতন, অপ্রাপ্ত বয়সে গর্ভধারণ, লিভ টুগেদার, যৌন ব্যাধির সংখ্যা প্রভৃতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল, অন্যদিকে তাদের একাডেমিক ফলাফলও অনেক নিম্নগামী হচ্ছিল। এই প্রেক্ষাপটে পশ্চিমা নীতিনির্ধারক ও অভিভাবকেরা ছেলেমেয়ের পড়াশুনার জন্য পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে ঝুঁকতে থাকে। বর্তমানে অধিকাংশ অভিভাবক সন্তানদেরকে পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে অনেকটাই প্রতিযোগিতা করে থাকেন।

Percentage of students scoring proficient on the FCAT

boys in coed classes: 37% scored proficient

girls in coed classes: 59% scored proficient

girls in single-sex classes: 75% scored proficient

boys in single-sex classes: 86% scored proficient.

Remember, these students were all learning the same curriculum in the same school. And, this school "mainstreams" students who are learning-disabled, or who have ADHD etc. Many of those boys who scored proficient in the all-boys classes had previously been labeled "ADHD" or "ESE" in coed classes.
Source: http://www.singlesexschools.org/research-singlesexvscoed.htm

U.S. Department of Education এর তথ্য –
http://www2.ed.gov/rschstat/eval/other/single-sex/edlite-single-sex-table.html

কারণ এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফলাফলসহ বিভিন্ন দিক থেকে ছেলেমেয়েদের সম্মিলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অনেক এগিয়ে। সম্প্রতি ২০০৮ ইং সালে মে মাসে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত জার্নাল অফ ইন্টারন্যাশনাল উইমেন্স স্টাডিস দু'ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সফলতার ক্ষেত্রে এক চমকপ্রদ পরিসংখ্যান পেয়েছেন।

পরিচালিত জরিপ থেকে দেখা যায় বালিকা বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরতদের ৮৫ শতাংশ বালিকা এবং বালক বিদ্যালয়গুলো থেকে ৯৩ শতাংশ বালক কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। পক্ষান্তরে সম্মিলিত স্কুল থেকে মাত্র ৭৩ শতাংশ বালিকা এবং ৮৪ শতাংশ বালক কলেজে ভর্তি হতে পারে। তাছাড়া পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ৭৮ শতাংশ বালিকা এবং ৮৩ শতাংশ বালক উচ্চ শিক্ষা অর্জনের সুযোগ পায়। পক্ষান্তরে সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাত্র ৫৭ শতাংশ বালিকা এবং ৬১ শতাংশ বালক উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ পায়। উপরন্তু পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭৮ শতাংশ বালিকা এবং ৮১ শতাংশ বালক ভাল প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য নির্বাচিত হয়। পক্ষান্তরে সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাত্র ৩৩ শতাংশ বালিকা এবং ৬০ শতাংশ বালক ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পায়। এছাড়া পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৭ শতাংশ বালিকা এবং ৬৪ শতাংশ বালক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করে। পক্ষান্তরে সহ শিক্ষা থেকে মাত্র ১৬ শতাংশ বালিকা ও ৪৫ শতাংশ বালক এ যোগ্যতা অর্জন করতে পারে। নার্সিং ও শিক্ষকতায় মেয়েদের অংশগ্রহণ যথাক্রমে ৬০ শতাংশ ও ৪৮ শতাংশ এবং ছেলেদের অংশগ্রহণ ৩ শতাংশ ও ১৩ শতাংশ।

সূত্র: জার্নাল অফ ইন্টারন্যাশনাল উইমেন্স স্টাডিজ, যুক্তরাষ্ট্র- মে'২০০৮ ইং

পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের তুলনা সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে পড়ার পেছনে ইন্টারন্যাশনাল উইমেন্স স্টাডিজের জার্নালের গবেষনায় অনেকগুলো কারণ বেরিয়ে এসেছে। এতে দেখা যায় সহশিক্ষার ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলে বন্ধু কিংবা শিক্ষকদের দ্বারা অনেকভাবে নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি ছেলে মেয়েরা একে অপরের দ্বারা আকৃষ্ট হয় কিংবা হওয়ার পিছনে অনেক চিন্তা, সময় ও অর্থ ব্যয় করে ফলে তাদের একাডেমিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশুনা ও অন্যান্য ব্যাপারে অধিক মনোযোগী হতে পারে।

প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ
বাংলাদেশে ভালো ফলাফল করার দিক থেকে সিঙ্গেল সেক্স বা পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ অনেকটাই অপ্রতিদ্বন্ধী। বিগত কয়েক বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সহ সকল পর্যায়ের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় প্রায় ৮০ শতাংশের উপরে ভালো ফলাফল অর্জন করা প্রতিষ্ঠান সমূহেই ছেলেমেয়েদেরকে পৃথকভাবে পাঠদান করা হয়। দেশের ভালো ফলাফলকারী তথা নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- দেশের জেলা শহরের সবগুলো জিলা স্কুল অর্থাৎ জেলা বালক ও বালিকা বিদ্যালয়, সবগুলো ক্যাডেট কলেজ, ঢাকা কলেজ, নটরডেম কলেজ, ভিকারুন্নিসা স্কুল এন্ড কলেজ, হলিক্রস স্কুল এন্ড কলেজ, আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, গভর্মেন্ট ল্যাব. স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ প্রভৃতি। বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া দেশের ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের একটা সাধারন বৈশিষ্ট্য হলো ছেলেমেয়েদের পৃথক শিক্ষা পদ্ধতি। পশ্চিমা বিশ্ব একটু দেরিতে হলেও তাদের শিক্ষার্থীদের বিপর্যয়ের কারণ চি‎ন্হিত করতে পেরেছে। ফলে তারা তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে তার দিকে ঝুঁকছে। বাংলাদেশ এদিক থেকে তুলনামুলক স্কুল ও কলেজ শিক্ষার ক্ষেত্রে ভাল অবস্থানে থাকলেও উচ্চ শিক্ষার মান নিয়ে রয়েছে বিস্তর প্রশ্ন। এ ব্যাপারে কারণ অনুসন্ধান করা দরকার। অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরে বলে থাকেন পড়াশুনা যা শেখার স্কুল কলেজেই সুযোগ পেয়েছি। বিশ্ব বিদ্যালয়ে এসে পারছি কই? অথচ এখান থেকেই দেশের আগামী দিনের কারিগর তথা নেতৃত্ব আসার কথা। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, গবেষণা এবং ছাত্র রাজনীতি অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ। একদিকে পাশ্চাত্য সাংস্কৃতির আগ্রাসন অন্যদিকে তরুণ তরুণীদের অবাধ মিশ্রণের সুযোগ তাদের শিক্ষা গবেষণায় মনোযোগহীনতা সৃষ্টি করছে। বর্তমানে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও তরুণ- তরুণীদের অবাধ মেলামেশার পেছনে অধিক সময় দেয়া, বিভিন্ন মরণ নেশায় আসক্ত হওয়া (ট্যাবলেটিং, ফেনসিডাইলিং, মোবাইলিং, কম্পিউটারিং), বড় আপু-ভাইয়াদের নোট মুখস্ত করে পরীক্ষা দেয়া এবং সর্বোপরি রাজনৈতিক দলের লেজুড়বিত্তি তথা টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজি অনেকটাই সাধারন রূপ লাভ করেছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্রদের ভূমিকা দেখে জনৈক ব্যক্তি সেদিন আক্ষেপ করে বলছিলেন- দেশটা বিক্রি হয়ে গেলেও সম্ভবত আমাদের ছাত্রদের ঘুম ভাঙ্গবে না এবং তিনিই বলছিলেন, ঘুম ভাঙ্গবে কি করে, তাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। আমাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক একাডেমিক মান অর্জনের জন্য নতুন করে ভাবতে হবে। নির্মম হলেও সত্য বিশ্বের কয়েকশত বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা করা হলেও সেখানে আমাদের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম খুঁজে পাওয়া যায় না।

২০০৮ সালের ফলাফলে দেশের শীর্ষ ৩ স্কুলের (জিপিএ'র ভিত্তিতে) শিক্ষাদান পদ্ধতি
নং নাম জিপিএ -৫ প্রাপ্ত শিক্ষা পদ্ধতি
১. মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ ৭৬৭ পৃথক শিক্ষা
২. ভিকারুন্নেছা নুন স্কুল এন্ড কলেজ ৬৭৮ পৃথক শিক্ষা
৩. মণিপুর হাইস্কুল ৬৫২ পৃথক শিক্ষা

২০০৮ সালের ফলাফলে বিভিন্ন বোর্ডের শীর্ষ ১০ স্কুলের (জিপিএ'র ভিত্তিতে) শিক্ষাদান পদ্ধতি

নং বোর্ড
১. ঢাকা – পৃথক শিক্ষা – ৭ সহ-শিক্ষা – ৩
২. চট্টগ্রাম – পৃথক শিক্ষা – ৬ সহ-শিক্ষা ৪
৩ . কুমিল্লা – পৃথক শিক্ষা – ৮ সহ-শিক্ষা ২
৪. রাজশাহী – পৃথক শিক্ষা – ৭ সহ-শিক্ষা ৩
৫. যশোর – পৃথক শিক্ষা – ৭ সহ-শিক্ষা ৩
৬ . বরিশাল – পৃথক শিক্ষা – ৮ সহ-শিক্ষা ২
৭ . সিলেট – পৃথক শিক্ষা – ৬ সহ-শিক্ষা ৪
সর্বমোট- ৭০ ৪৯ সহ-শিক্ষা ২১

২০০৮ সালের ফলাফলে সারাদেশের শীর্ষ ২০০ স্কুলের (জিপিএ'র ভিত্তিতে) শিক্ষাদান পদ্ধতি

মোট স্কুল – ২০০ – পৃথক শিক্ষা – ১৬১(৮০.৫%) সহ-শিক্ষা-৩৯(১৯.৫%)

২০০৮ সালের ফলাফলে দেশের শীর্ষ ৩ কলেজের (জিপিএ'র ভিত্তিতে) শিক্ষাদান পদ্ধতি
নং নাম জিপিএ -৫ প্রাপ্ত শিক্ষা পদ্ধতি
১. নটর ডেম কলেজ ১১৮৯ পৃথক শিক্ষা
২. ঢাকা সিটি কলেজ ৯৮৭ পৃথক শিক্ষা
৩. ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ৬৬৩ পৃথক শিক্ষা

২০০৭ সালের ফলাফলে দেশের শীর্ষ ৫ কলেজের (জিপিএ'র ভিত্তিতে) শিক্ষাদান পদ্ধতি

নং নাম জিপিএ -৫ প্রাপ্ত শিক্ষা পদ্ধতি
১. নটর ডেম কলেজ ৮২৫ পৃথক শিক্ষা
২.ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৪৯৩ পৃথক শিক্ষা
৩. ঢাকা সিটি কলেজ ৩৪৮ পৃথক শিক্ষা
৪. মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ ২৭৬ পৃথক শিক্ষা
৫. হলিক্রস কলেজ ২৩৯ পৃথক শিক্ষা

২০০৭ ঢাকা বোর্ডে সেরা ৫ কলেজের মধ্যে ৫ টিই ছেলে-মেয়ে পৃথক শিক্ষাপদ্ধতি চালু রয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ২৫৪ জন পরীক্ষার্থী।ঢাকা বোর্ডে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে নটরডেম কলেজ। এ কলেজে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২ হাজার ১৬৫ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ২ হাজার ১৩৫ জন। পাসের শতকরা হার ৯৮.৬১ ভাগ। এ কলেজ থেকে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮২৫ জন। দ্বিতীয় স্থানে ভিকারুননিসা নূন কলেজ। ভিকারুননিসায় এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ হাজার ১৩৪ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ১২১ জন। পাসের হার ৯৮.৮৫ ভাগ। এ কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯৩ পরীক্ষার্থী। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা সিটি কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেতে এবার পরীক্ষা দিয়েছে ২ হাজার ৯ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ৯৮৪ জন। পাসের হার ৯৮.৭৬ ভাগ। সিটি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৪৮ পরীক্ষার্থী।চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠানের মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯৪০ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৯৩৩ জন। পাসের শতকরা হার ৯৯.২৬ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭৬ পরীক্ষার্থী। ৫ম স্থানে রয়েছে হলিক্রস কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে এবার পরীক্ষা দিয়েছিল ৭৩০ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ৭২৭ জন। পাসের হার ৯৯.৫৯ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩৯ জন।
দেশে শিক্ষার ক্ষেত্রে আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ব্যাপারে স্বঘোষিত কিছু সুশিল ও নারীবাদীরা খোঁড়া আপত্তি জানালেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছেলে-মেয়েদের পৃথক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহ ঈর্ষণীয় সফলতা অর্জন করছে। তাই পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে কিছু মুখস্ত কথা ও হীনমন্যতা বোধ না করে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে যোগ্য করে গড়ে তোলে দেশকে বিশ্ব দরবারে টিকে থাকতে হলে বাস্তবতা উপলব্ধি করে নিজেদের আর্থ সামাজিক ও নিজস্ব মূল্যবোধের আলোকে শিক্ষা পদ্ধতিকে ঢেলে সাজাতে হবে। কারণ যে পশ্চিমাদের অনুসরনে আমরা চলতে চাই তারা নিজেরাই দিক পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছে খবর রাখেন কি?

৮ শিক্ষা বোর্ডের সেরা ১০ স্কুল (২০০৯)

২০০৯ সালের ফলাফলে বিভিন্ন বোর্ডের শীর্ষ ১০ স্কুলের (জিপিএ'র ভিত্তিতে) শিক্ষাদান পদ্ধতি

নং বোর্ড
১. ঢাকা – পৃথক শিক্ষা – ৯ সহ-শিক্ষা – ১
২. চট্টগ্রাম – পৃথক শিক্ষা – ৭ সহ-শিক্ষা ৩
৩ . কুমিল্লা – পৃথক শিক্ষা – ৯ সহ-শিক্ষা ১
৪. রাজশাহী – পৃথক শিক্ষা – ৬ সহ-শিক্ষা ৪
৫. যশোর – পৃথক শিক্ষা – ৮ সহ-শিক্ষা ২
৬ . বরিশাল – পৃথক শিক্ষা – ৯ সহ-শিক্ষা ০
৭ . সিলেট – পৃথক শিক্ষা – ৭ সহ-শিক্ষা ৩
৮. দিনাজপুর বোর্ড- পৃথক শিক্ষা – ৬ সহ-শিক্ষা ৪
সর্বমোট- ৮০ – পৃথক শিক্ষা – ৬২ সহ-শিক্ষা ১৮

ঢাকা বোর্ড
নাম জিপিএ পৃথক পাঠদান সহশিক্ষা
১. ভিকারুননিসা নূন স্কুল ৮৮৭ পৃথক পাঠদান
২. আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ ৭৫৪ পৃথক পাঠদান
৩. মনিপুর হাই স্কুল ৫৫৬ পৃথক পাঠদান
৪. মতিঝিল মডেল হাই স্কুল ৪৫০ পৃথক পাঠদান
৫. উত্তরা মাইলস্টোন কলেজ ৩৩০ পৃথক পাঠদান
৬. ডেমরা এ কে হাই স্কুল ৩২৭ পৃথক পাঠদান
৭. রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল এন্ড কলে ৩২৬ বালক/বালিকা
৮. উত্তরা হাই স্কুল ৩১২ পৃথক পাঠদান
৯. মতিঝিল গভর্নমেন্ট বয়েজ হাই স্কুল ২৯১ পৃথক পাঠদান
১০. মোহাম্মদপুরের ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ ২৬৮ পৃথক পাঠদান

রাজশাহী বোর্ড
নাম জিপিএ পৃথক পাঠদান সহশিক্ষা
১. বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ১৭৪ বালক/বালিকা
২. বগুড়া গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুল ১৪৩ পৃথক পাঠদান
৩. বগুড়া জেলা স্কুল ১৪০ পৃথক পাঠদান
৪. পাবনা জেলা স্কুল ৯৭ পৃথক পাঠদান
৫. বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক হাই স্কুল ৯৩ বালক/বালিকা
৬. রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ৮৭ পৃথক পাঠদান
৭. রাজশাহী গভর্নমেন্ট পি. এন. গার্লস হাই স্কুল ৭৮ পৃথক পাঠদান
৮. বগুড়া পুলিশ লাইন হাই স্কুল ৭৪ বালক/বালিকা
৯. রাজশাহী গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুল ৬৯ পৃথক পাঠদান
১০. নবাবগঞ্জের হরিমোহন গভর্নমেন্ট হাই স্কুল ৬৪ বালক/বালিকা

কুমিল্লা বোর্ড
নাম জিপিএ পৃথক পাঠদান সহশিক্ষা
১. কুমিল্লা জেলা স্কুল ২৬৪ বালক
২. কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুল ২১৪ বালক
৩. কুমিল্লা নওয়াব ফয়জুন্নেসা গভর্ণমেন্ট গার্লস হাই স্কুল ১৬৯বালিকা
৪. চাঁদপুরের আলআমিন একাডেমী ১১৩ বালক
৫. নোয়াখালী জেলা স্কুল ১০১ বালক
৬. কুমিল্লা ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ৯৭ বালক/বালিকা
৭. কুমিল্লা ইবনে তাইমা হাই স্কুল ৮৮ বালক
৮. ব্রাহ্মণবাড়িয়া আনন্দ গভর্নমেন্ট হাই স্কুল ৭৫ বালক
৯. নোয়াখালী গভর্নমেন্ট হাই স্কুল ৬৫ বালক
১০. কুমিল্লার আওয়ার লেডি অব ফাতিমা গার্লস হাই স্কুল ৬৪ বালিকা

যশোর বোর্ড
নাম জিপিএ পৃথক পাঠদান সহশিক্ষা
১. খুলনা জেলা স্কুল ১৯৯ পৃথক পাঠদান
২. গভর্নমেন্ট করোনেশন সেকেন্ডারি গার্লস হাই স্কুল ১৭২ বালিকা
৩. কুষ্টিয়া জেলা স্কুল ১২২ বালক
৪. যশোর জেলা স্কুল ১১৫ বালক
৫. কুষ্টিয়া গভর্নমেন্ট সেকেন্ডারি গার্লস স্কুল ১০৮ বালিকা
৬. যশোর পুলিশ লাইন সেকেন্ডারি স্কুল ৬৮ বালক/বালিকা
৭. যশোর গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুল ৬৬ বালিকা
৮. খুলনার গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল ৬৪ বালক
৯. খুলনা পাবলিক কলেজ ৫৮ বালক
১০. খুলনা নৌ বাহিনী সেকেন্ডারি স্কুল ৫৫ বালক/বালিকা

চট্টগ্রাম বোর্ড
নাম জিপিএ পৃথক পাঠদান সহশিক্ষা
১. চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল ৩৪৬ বালক
২. ডা. খাস্তগীর গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুল ২২৯ বালিকা
৩. গভর্ণমেন্ট মুসলিম হাই স্কুল ১৯৬ বালক
৪. বাংলাদেশ মহিলা সমিতি গার্লস হাই স্কুল এন্ড কলেজ ১৯১বালিকা
৫. নাসিরাবাদ গভর্নমেন্ট হাই স্কুল ১৮৫ বালক/বালিকা
৬. নৌ বাহিনী হাই স্কুল এন্ড কলেজ ১৫৫ বালক/বালিকা
৭. চট্টগ্রাম গভর্নমেন্ট হাই স্কুল ১৩৮ বালক
৮. চট্টগ্রাম পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ১১২ পৃথক পাঠদান
৯. চট্টগ্রাম গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুল ৯৮ বালিকা
১০. ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ৮৭ বালক/বালিকা

বরিশাল বোর্ড
নাম জিপিএ পৃথক পাঠদান সহশিক্ষা
১. বরিশাল জেলা স্কুল ১২২ বালক
২. বরিশাল গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুল ১১৬ বালিকা
৩. বরিশাল ক্যাডেট কলেজ ৪৯ বালক
৪. বরিশাল উদয়ন সেকেন্ডারি স্কুল ৩৬ বালক
৫. পটুয়াখালী গভর্নমেন্ট জুবিলী হাই স্কুল ৩৫ বালক
৬. পিরোজপুর গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুল ৩১ বালিকা
৭. ভোলা গভর্নমেন্ট সেকেন্ডারি স্কুল ৩১ বালক
৮. পিরোজপুর গভর্নমেন্ট সেকেন্ডারি স্কুল ২৯ বালক
৯. পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি কলেজিয়েট একাডেমী২৮ বালক
১০. পিরোজপুরের কে এম লতিফ ইন্সটিটিউশন ২৬ বালক
১১. ভোলা গভর্নমেন্ট সেকেন্ডারি গার্লস স্কুল ২৬ বালিকা
১২. পটুয়াখালী গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুল ২৪ বালিকা

সিলেট বোর্ড
নাম জিপিএ পৃথক পাঠদান সহশিক্ষা
১. ব্লু বার্ড হাই স্কুল ১৩৮ বালক/বালিকা
২. সিলেট গভর্নমেন্ট পাইলট হাই স্কুল ১৩৩ বালক
৩. সিলেটের গভর্নমেন্ট অগ্রগামী গার্লস হাই স্কুল১০৪ বালিকা
৪. সিলেট শাহজালাল জামিয়া ইসলামিয়া হাই স্কুল৭৭ পৃথক পাঠদান
৫. মৌলভীবাজার গভর্নমেন্ট হাই স্কুল ৫২ বালক
৬. সিলেট ক্যাডেট কলেজ ৪৮ বালক
৭. হবিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাই স্কুল ৪৬ বালক
৮. সিলেট জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ৪২ বালক/বালিকা
৯. দি বাডস রেসিডেন্সিয়াল মডেল হাই স্কুল, শ্রীমঙ্গল ৪১ বালক/বালিকা
১০. সুনামগঞ্জের গভর্নমেন্ট এস. সি. গার্লস হাই স্কুল৩৯ বালিকা

দিনাজপুর বোর্ড
নাম জিপিএ পৃথক পাঠদান সহশিক্ষা
১. রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ১৯৭ বালক/বালিকা
২. রংপুর জেলা স্কুল ১৯৫ বালক
৩. রংপুর গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুল ১৪২ বালিকা
৪. দিনাজপুর জেলা স্কুল ১৩৯ বালক
৫. রংপুর পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজ ১০৭ বালক/বালিকা
৬. ঠাকুরগাঁও গভর্নমেন্ট বয়েজ হাই স্কুল ১০২ বালক
৭. সৈয়দপুর লায়ন্স হাই স্কুল ৯৯ বালক/বালিকা
৮. দিনাজপুর গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুল ৯৮ বালিকা
৯. সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ৯২ বালক/বালিকা
১০. পঞ্চগড় বি. পি. গভর্নমেন্ট হাই স্কুল ৮৫ বালক

২০১০ সালের ফলাফলে বিভিন্ন বোর্ডের শীর্ষ ১০ স্কুলের ও কলেজের (জিপিএ'র ভিত্তিতে) শিক্ষাদান পদ্ধতি

শীর্ষ ১০ স্কুল ২০১০
. ঢাকা বোর্ড – পৃথক শিক্ষা – ৯- সহ-শিক্ষা – ১

শীর্ষ ১০ কলেজ ২০১০
.ঢাকা বোর্ড – পৃথক শিক্ষা – ৯ -সহ-শিক্ষা – ১

গত বছর ১৮ জুন যুক্তরাষ্ট্রের টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্লুচেস্টার হাইস্কুলে গ্রীষ্মের বন্ধে ১৭ জন বালিকা গর্ভধারণ করেছে এবং এর আগের বছর স্কুলে মোট ১ হাজার ২০০ বালিকা গর্ভধারণ করে। এ ছাড়া এপি পরিবেশিত এক খবরে বলা হয়, ওহিও রাজ্যে টিমকিন সিনিয়র হাইস্কুলে ১৩ শতাংশ ছাত্রী গর্ভবতী হয়।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রোকেয়া আক্তার বেগম বলেন, আমি সহশিক্ষা সমর্থন করি না। এটি ছেলেমেয়েদের জন্য খারাপ পরিণতি ডেকে আনছে। তাছাড়া মোবাইল ও টেলিভিশন সংস্কৃতি তাদের পরস্পরের প্রতি উৎসাহিত করছে এবং এর ফলে তারা লেখাপড়ায় অমনোযোগী হচ্ছে।

(আপডেট চলবে)

পোস্টে আপনাদের পরামর্শ আশা করছি।