ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিন সরকারের আমলে ঘটে যাওয়া নানা জানা-অজানা ও এক্সক্লুসিভ বিষয়ের বর্ণনা নিয়ে ১০১ পর্বের ধারাবাহিকের ২য় পর্ব

হাসান
Published : 12 May 2011, 05:16 PM
Updated : 12 May 2011, 05:16 PM

তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীতে যারা ছিলেন

ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত সর্বশেষ তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী
পদ – নাম – প্রাপ্ত মন্ত্রনালয় – সামাজিক অবস্থান
প্রধান উপদেষ্টা – ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ – ক্যাবিনেট ডিভিশন, সংস্থাপন এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়

-উপদেষ্টা – মির্জা আজিজুল ইসলাম – অর্থ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়

-উপদেষ্টা – মেজর জেনারেল (অব.) এম এ মতিন – স্বরাষ্ট্র, নৌপরিবহন, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

-উপদেষ্টা – ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী – পররাষ্ট্র, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়

-উপদেষ্টা – আনোয়ারুল ইকবাল – এলজিআরডি, বস্ত্র ও পাট এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়

-উপদেষ্টা – ড. চৌধুরী সাজ্জাদুল করিম – কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়

-উপদেষ্টা – ড. এ এম এম শওকত আলী – স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়

-উপদেষ্টা – এ এফ হাসান আরিফ – আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি, এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়

-উপদেষ্টা – মেজর জেনা. (অব) গোলাম কাদের – গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং যোগাযোগ মন্ত্রনালয়

-উপদেষ্টা – রাশেদা কে. চৌধুরী – প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়

-উপদেষ্টা – ড. হোসেন জিল্লুর রহমান – শিক্ষা এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৬
চতুর্থ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় ২০০৬ সালে। প্রথমে ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন। নিয়োগ দেওয়া উপদেষ্টাদের মধ্যে চার জন এক মাসের উর্ধে কাজ করার পর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ সাথে মতানৈক্যের অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেন। এরা হলেন ড. আকবর আলি খান, লে.জে. হাসান মশহুদ চৌধুরী, সি. এম. শফি সামী ও সুলতানা কামাল চক্রবর্তী। পরবর্তিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ নতুন চার উপদেষ্টার নিয়োগ দেন। পরবর্তিতে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ইয়াজউদ্দিন আহমেদ আরো চার নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ দেন। এরা ছিলেন, বেসরকারী সংস্থা আশার প্রধান সফিকুল হক চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মইনউদ্দিন আহমেদ, মেজর জেনারেল রুহুল আমিন চৌধুরী ও ড. শোয়েব আহমেদ। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হয় জানুয়ারি ২২, ২০০৭। নতুন উপদেষ্টা পরিষদ বিবাদমান রাজনৈতিক দল গুলোকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাতে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে সকল প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টা পদত্যাগ করেন। রাষ্ট্রপতি দেশে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেন । বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফখরুদ্দীন আহমদকে নতুন প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ড. ফখরুদ্দীন আহমদ দশজন নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়ে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাজ শুরু করেন এবং সেই সাথে রাষ্ট্রপতি ২২ জানুয়ারির নির্বাচন বাতিন ঘোষণা করেন। ২৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে দেশে সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন।

এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার দূর্নীতি বিরোধী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তারা ২০০৭ এর অগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রায় ১৭০ জন শীর্ষ নেতাকে দূর্নীতির অভিযোগে আটক করে। প্রধান দুইটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রধান শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়াকেও দূর্নীতির দায়ে গ্রেফতার করে। নেত্রীদ্বয়ের পরিবারের বিভিন্ন সদস্যকেও দূর্ণীতির দায়ে আটক করা হয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান যেমন, নির্বাচন কমিশন, জন প্রশাসন কমিশনে সংস্কার করেছেন। নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে তারা ২০০৮ এর ডিসেম্বরের মধ্যে একটি ভাল নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবেন।

ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী, ২০০৬
পদ – নাম – প্রাপ্ত মন্ত্রনালয় – সামাজিক অবস্থান

-প্রধান উপদেষ্টা – ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ ক্যাবিনেট ডিভিশন, সংস্থাপন ও স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয় – বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ম্যানেজিং ডিরেক্টর

-উপদেষ্টা – ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন – তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয় – দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী

-উপদেষ্টা – মির্জা আজিজুল ইসলাম – অর্থ, পরিচলনা, বাণিজ্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় – সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) এবং সোনালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান

-উপদেষ্টা – মে. জে. (অব.) এম এ মতিন যোগাযোগ, নৌপরিবহন, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় – প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) ও বিলুপ্ত দুর্নীতি দমন বুরোর সাবেক মহাপরিচালক

-উপদেষ্টা – তপন চৌধুরী – বিদ্যুত জ্বালানি ও খনিজসম্পদ, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় -স্কয়ার গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর

-উপদেষ্টা – গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরী – শিল, বস্ত্র ও পাট, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় – নারী উদ্যোক্তা ও ঢাকা ক্লাবের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট

-উপদেষ্টা – মেজর জেনারেল (অব.) মতিউর রহমান – স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পানি সম্পদ ও ধর্ম মন্ত্রণালয় – আর্মি মেডিকেল কোরের সাবেক অফিসার ও এইডস বিষয়ক জাতীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধান

-উপদেষ্টা – আইয়ুব কাদরী – শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় – সাবেক সচিব

-উপদেষ্টা – আনোয়ারুল ইকবাল -এলজিআরডি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় – বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজি

-উপদেষ্টা – ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী – পররাষ্ট্র, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় – জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি

-উপদেষ্টা – ড. চৌধুরী সাজ্জাদুল করিম – কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় –
পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান

অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত সাবেক তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী, ২০০৬

-পদ – নাম – প্রাপ্ত মন্ত্রণালয় –
সামাজিক অবস্থান
-প্রধান উপদেষ্টা – অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ – প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, মন্ত্রণালয় বিভাগ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় , সংস্থাপন , সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স¡রাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও ১৯৯১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা

-উপদেষ্টা – বিচারপতি ফজলুল হক – আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক; জাতীয় সংসদ সচিবালয়, ভূমি, পরিবেশ ও বন – আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সাংবাদিকদের ষষ্ঠ ওয়েজ বোর্ডের চেয়ারম্যান

-উপদেষ্টা – ড. আকবর আলি খান – অর্থ ও পরিকল্পনা, বাণিজ্য, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব,

-উপদেষ্টা – লে. জে. (অব.) হাসান মশহুদ চৌধুরী – বিদ্যুত জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক – সাবেক সেনাপ্রধান

-উপদেষ্টা – সিএম শফি সামী – কৃষি, সংস্কৃতি, যুব ও ক্রীড়া – সাবেক পররাষ্ট্র সচিব

– উপদেষ্টা – আজিজুল হক – স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়; নৌপরিবহন, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন – পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক

-উপদেষ্টা – ধীরাজ কুমার নাথ – মৎস্য ও পশু সম্পদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক – সাবেক স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য সচিব

-উপদেষ্টা – মাহবুবুল আলম – পানি সম্পদ, তথ্য, ধর্ম – দৈনিক ইনডিপেন্ডেন্টের সম্পাদক

-উপদেষ্টা – সুফিয়া রহমান – স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, শ্রম ও কর্মসংস্থান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান – পরিচালক জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

-উপদেষ্টা – ইয়াসমিন মুরশেদ – মহিলা ও শিশু বিষয়ক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, সমাজকল্যাণ- অধ্যক্ষ স্কলাস্টিকা স্কুল

-উপদেষ্টা – সুলতানা কামাল চক্রবর্তী – শিল্প, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বস্ত্র ও পাট – আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক, বিশিষ্ট্য এনজিও ও মানবাধিকার কর্মী

তত্ত্বাবধ্যায়ক সরকার, ২০০১
তৃতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন বিচারপতি লতিফুর রহমান। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় ঐক্য জোট দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ মোট ৩০০ টি আসনের মধ্যে ৫৮ টি আসনে জয়লাভ করে। দেশে বিদেশে এই নির্বাচন ব্যাপক প্রশংসা লাভ করলেও আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে স্থুল কারচুপির অভিযোগ তোলে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন তারা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করবেন ও শপথ নেবেন না। পরে অবশ্য আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্যগণ শপথ নেন, এবং সংসদে যোগ দান করেন।

তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী,২০০১
পদ – নাম – প্রাপ্ত মন্ত্রনালয় – সামাজিক অবস্থান
-প্রধান উপদেষ্টা – বিচারপতি লতিফুর রহমান – মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সংস্থাপন, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, নির্বাচন কমিশন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় –
সাবেক প্রধান বিচারপতি

-উপদেষ্টা – সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ – আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়-
বিশিষ্ট্য আইনজীবী

-উপদেষ্টা – বিচারপতি বিমলেন্দু বিকাশ রায় চৌধুরী – স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়-
সাবেক বিচারপতি

-উপদেষ্টা – এএসএম শাহজাহান – শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়-
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক

-উপদেষ্টা – সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী – কৃষি, নৌ পরিবহন, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়-
ব্যবসায়ী

-উপদেষ্টা – আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী- তথ্য, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, খাদ্য, পরিবেশ ও বন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়

-উপদেষ্টা – একেএম আমানুল ইসলাম চৌধুরী – যোগাযোগ, বিদ্যুত জ্বালানি ও খনিজসম্পদ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়

-উপদেষ্টা – এম হাফিজ উদ্দিন খান – অর্থ, পরিকল্পনা, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়-
সাবেক অডিটর জেনারেল

-উপদেষ্টা – ব্রিগেডিয়ার (অব.) অধ্যাপক আবদুল মালেক – স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় – সাবেক সেনাকর্মকর্তা

-উপদেষ্টা – মেজর জেনারেল (অব.) মইনুল হোসেন চৌধুরী – শিল্প, বাণিজ্য, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়-
সাবেক সেনাকর্মকর্তা

-উপদেষ্টা- রোকেয়া আফজাল রহমান – মহিলা ও শিশু বিষয়ক, সমাজকল্যাণ, শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়-
ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ব্যাংক ম্যানেজার

তত্ত্বাবধায়ক সরকার, ১৯৯৬
দ্বিতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে। ১৯৯৬ সালে বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বাংলাদেশের সর্ব প্রথম সংবিধান সম্মত তত্ত্ববধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে ১৪৭ আসন লাভ করে এবং জতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে। বিএনপি এই নির্বাচনে ১১৬ টি আসনে জয়লাভ করে দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম বিরোধীদল হিসেবে সংসদে যোগ দেয়।

তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী, ১৯৯৬
পদ – নাম – প্রাপ্ত মন্ত্রণালয় –
সামাজিক অবস্থান
-প্রধান উপদেষ্টা – মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান – মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সংস্থাপন, স¡রাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, তথ্য, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগ – সাবেক প্রধান বিচারপতি

-উপদেষ্টা – সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ – আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়-
বিশিষ্ট্য আইনজীবী

-উপদেষ্টা – প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস – প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়-
অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা

-উপদেষ্টা – অধ্যাপক মোঃ শামসুল হক – শিক্ষা, যুব ও ক্রীড়া এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়

-উপদেষ্টা – সেগুফতা বখত চৌধুরী – শিল, বাণিজ্য, পাট এবং বস্ত্র মন্ত্রণালয়

-উপদেষ্টা – এজেডএ নাসিরউদ্দিন – কৃষি, খাদ্য, মৎস্য ও পশুসম্পদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়

-উপদেষ্টা – মেজর জে. (অব.) আবদুর রহমান খান – স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়- সাবেক সেনাকর্মকর্তা

-উপদেষ্টা – ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ – অর্থ এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়- অর্থনীতিবিদ

-উপদেষ্টা – সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী – যোগাযোগ, নৌপরিবহন, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়- ব্যবসায়ী

-উপদেষ্টা – ড. নাজমা চৌধুরী – শ্রম ও জনশক্তি, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়- অধ্যাপক উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

-উপদেষ্টা – ড.জামিলুর রেজা চৌধুরী – বিদ্যুত জ্বালানি ও খনিজসম্পদ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়- বিশিষ্ট্য শিক্ষাবিদ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক

তত্ত্বাবধায়ক সরকার, ১৯৯১
বাংলাদেশের প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধান সম্মত ছিল না। সকল দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ প্রধান উপদেষ্টা হতে রাজি হন। তবে তার শর্ত ছিল, দ্বায়িত্ব পালন শেষে তাকে আবার নিজ কাজে ফিরে যেতে দিতে হবে। সকল দল এতে রাজি হন এবং বিএনপি সরকার গঠন করে সংবিধান সংশোধন করে তাকে আবার প্রধান বিচারপতির দ্বায়িত্ব পালনে ফেরত পাঠায়। ১৯৯১ সালে ঐ সরকারের অধীনের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে সুক্ষ কারচুপির অভিযোগ তোলে কিন্তু তারা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নাই।

তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী,১৯৯১
পদ – নাম – প্রাপ্ত মন্ত্রণালয়-
সামাজিক অবস্থান
-প্রধান উপদেষ্টা – বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ – অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি

-উপদেষ্টা – বিচারপতি এমএ খালেক – আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় – বিচারপতি

-উপদেষ্টা – কফিলউদ্দিন মাহমুদ – অর্থ মন্ত্রণালয়

-উপদেষ্টা – ফখরুদ্দীন আহমদ – পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

-উপদেষ্টা – রেহমান সোবহান – পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় – অর্থনীতিবিদ

-উপদেষ্টা – ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ – জ্বালানি, খনিজ সম্পদ এবং পূর্ত মন্ত্রণালয় – অর্থনীতিবিদ

-উপদেষ্টা – জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী – শিক্ষা মন্ত্রণালয় – বিশিষ্ট্য শিক্ষাবিদ

-উপদেষ্টা – আলমগীর এমএ কবীর – সমাজকল্যাণ, মহিলা বিষয়ক এবং যুব উন্নয়ন ও ক্রীড়া

-উপদেষ্টা – একেএম মুসা – শিল, পাট ও বস্ত্র

-উপদেষ্টা – ডা. এমএ মাজেদ – স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা

-উপদেষ্টা – মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম – জাহাজ, নৌ চলাচল এবং পর্যটন – মুক্তিযোদ্ধা, বীর উত্তম

-উপদেষ্টা – অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ – সংস্কৃতি ও খাদ্য- অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

-উপদেষ্টা – এবিএমজি কিবরিয়া – যোগাযোগ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ

-উপদেষ্টা – কাজী ফজলুর রহমান – সেচ, বন, পরিবেশ, মৎস্য ও পশুসম্পদ

-উপদেষ্টা – ইনাম উদ্দিন আহমদ চৌধুরী – বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

-উপদেষ্টা – বিকে দাস – ত্রাণ ও পুনর্বাসন।

-উপদেষ্টা – এম আনিসুজ্জামান – কৃষি ও ভূমি ব্যবস্থা।

-উপদেষ্টা- চৌধুরী এমএ আমিনুল হক – শ্রম, জনশক্তি এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ (চলবে)