ভাঙ্গা কুলার মত তৃণমূলের সম্মান

এস এম শারফুদ্দিন শাওন
Published : 7 May 2016, 07:04 PM
Updated : 7 May 2016, 07:04 PM

মাগো তোমার হাস্য উজ্জল বদন খানি দেখার দীপ্ত পথে আমি এক মুসাফির।বিশ্বাস করো আর নাইবা কর, আমার কেন? যেন মনে হচ্ছে, শকুনের দল ওত পেতে বসে আছে তোমারকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য।সকল আয়োজনও প্রায় সমাপ্তির পথে। অপশক্তির সাথে স্বদলীয় কোন্দল যুক্ত হলে নৈরাজ্য তৈরিতে দ্বিগুন শক্তি যোগাবে।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দলীয় প্রতিকে ইউপি নির্বাচনও একটা আত্মঘাতি সিদ্বান্ত।এটাকে কেন্দ্র করে এমপি/মন্ত্রী/থানা ও জেলার নেতাদের পকেট ভারি করার মহাউৎসবে তৃনমুলের কর্মিরাও দারুন ভাবে আঘাত প্রাপ্ত।যার প্রকাশ্য নজীর ভাইয়ে ভাইয়ে মারামারি কোন কোন ক্ষেত্রে হত্যা, খুন,জবর দখলী কর্মকান্ড।

একটানা দু'বার ক্ষমতায় থাকার কারনে স্থানীয় /কেন্দ্রীয় নেতাদের দাম্ভিকতা চরমে।টাকার গরমে কর্মীরা হচ্ছে পদে পদে তিরস্কার আর অব মুল্যায়নের পাত্র। টাকা ছাড়া কোন কাজ হয় না।টাকা পেলে জামাতি-বিএনপি সাচ্চা খাটিসোনা।

গত কয়েক দিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল শাখার সাবেক সভাপতি বাদশা ভাই, সেতু মন্ত্রী মহোদয়কে লক্ষ করে যে সব বক্তব্য দিয়েছেন এরকম লাখো লাখো বাদশা অবহেলিত,বঞ্চিত।সকলের কান্নার আওয়াজ এক সঙ্গে বেজে উঠলে রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল কাজ স্তব্দ হয়ে যাবে। নির্বাক ভঙ্গিতে তাকিয়ে রবে তখন হয়ত কিছুই করার থাকবেনা।

ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানতে পারলাম জামাত-বিএপি মোসাদের সাথে নতুন করে গোপন বৈঠক ও চুক্তি সম্পাদন করেছে।এ যেন বর্জ্য মুখে জামাতের অপচেষ্টার রহস্যগাথা এক ষড়যন্ত্রের নাম ইজরাইল।কথায় কথায় যদেরকে বলতে শুনেছি ইহুদি-নাসারি তারাই আজ হৃদয়ের হৃদপিন্ড। গোটা মুসলিম জাতি যাদের ঘৃনা করে তাদের সাথে গোপন ষড়যন্ত্র করতেও জামাতি-বিএনপিদের বিবেকে বাধেনা। আসলে প্রতিপক্ষত এমন করতেই পারে।কিন্তু মুজিব প্রেমিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সকল অপপ্রয়াস,অপচেষ্টা, বুড়িগঙ্গায় নিমজ্জিত হতে বাধ্য।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারংবার ঘরোয়া পরিবেশে,সভা সমাবেশে বলছেন তৃনমূল নেতা-কর্মীদের কথা,তাদের মুল্যায়নের কথা কিন্তু কেন্দ্রীয় হোক আর স্থানীয় হোক কোন নেতাই সে কথায় নুন্যতম আমলে নিচ্ছে না।যেন নেত্রীর কথা আমলে নেয়ার সময় সুযোগ তাদের নেই।সকল দায়-দায়িত্ব যেন প্রিয় নেত্রীর একাই।তারপর গতকাল মাননীয় সেতু মন্ত্রী যথাযথ সম্মানের সহিত বলেছেন,তৃনমুলের অবদানের কথা।শোনতে বহুত ভাল লাগছিল।গর্ব্বে, মনটা ভরে প্রকৃতির নির্মল বায়ু নিতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেছিলাম। (যখন লিখতে ছিলাম)এমন সময়ে হায়দারাবাদ হয়ে গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে মোম্তাফিজুর রহমানের প্রথম বলে ক্যাচ মিস করায় মনটা খারাপ,অতপর দ্বিতীয় বলে একটি উইকেটের পতন ঘটলে কিছুটা প্রশান্তি আর শুভ কামনায় আবার ফিরে এলাম পূর্বের আলোচনায়।

অনাকাঙ্খিত অপ্রত্যাশিত সময়ে নেতৃস্থানীয়রা পালাবে হয়ত অন্য কোন দেশে। সে লক্ষে লোভী সিংহের গল্পের মত নিজেকে আত্মদানের বলি দিয়ে যবনিকাপাত ঘটাবে তবুও অন্য কাউকে সুবিধা দিতে নারাজ পদ-পদবীও ছাড়তে নারাজ। চলমান নীতিতে টাকায় যখন পদ-পদবী সুযোগ-সুবিধাদীর যোগ্যতার প্রমানক হিসাবে দেখা হয় এমন দিন আসবে যদিও প্রত্যাশা করি না তবুও বলি তখন তৃনমুল নিরব দর্শকের ভুমিকা রাখলে কাউকে খুজে পাওয়া যাবে না। এটা বার বার প্রমানিত সত্যের আলোর মত উজ্জল।
মুজিব পাগল তৃনমুল ছিল বলে ২১ বছরের মাথায় ক্ষমতার সাধ নিতে সক্ষম হয়েছিল।এবারও যদি ক্ষমতার পালা বদল হয় তৃনমুলই শেখ হাসিনার নৌকা রক্ষা করবে ইনশাল্লাহ।যদিও লোভী সিংহরা টাকায় বিক্রি করছে জাতির জনকের স্বাধীনতার প্রতিক নৌকা দালালদের হাতে।

আজ যারা টাকার বিনিময়ে রাজাকার, জামাত,বিএনপির কাছে নৌকা হস্তান্তর করছেন তারা মুলত খন্দকার মোস্তাকের উত্তসূরী কিনা খতিয়ে দেখার দাবী রাখে। দেশে-বিদেশে শেখ হাসিনা সরকারের জয়-জঙ্কার থাকলেও সাংগঠনিক ভাবে খুবই দুর্বল বা একটা শক্ত ভিক্তির উপর দাড় করাতে পারেনি। শুধু পকেট কমিটির কারনে।সংগঠনে নির্ভিক সৈন্য আদর্শবান কর্মীরা স্থান না পেলে প্রিয় নেত্রীর স্বপ্ন পুরনে বাধা হয়ে দাড়াবে।টাকার কাছে আদর্শ বিলুপ্ত হতে পারে না।সময় থাকতে কাচের গ্লাস থেকে বেরিয়ে বাস্তবতার জগতে প্রবেশ করলে সম্ভবনাময় সকল অপচেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য।

পরিশেষে শুধু বলতে চাই সকল পরিকল্পিত হত্যার বিচারসহ নিরাপদ বাসস্থান বিনির্মানের জন্য জঙ্গি নির্মুল আবশ্যক।জঙ্গিরা সংখ্যায় আমাদের চাইতে বেশী নয় কিন্তু ভয়াভয়তা সামগ্রীক।বিশেষ বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে রাষ্ট্র চালনা করা খুবই কঠিন কাজ।কঠিনতায়ই যদি বাস্তবতা হয় জনগনকে নিরাপদ রাখতে যত কঠিন হওয়া দরকার তার চাইতে অধিকতর কঠিন অবস্থা দেখতে চাই।