জঙ্গি মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্যের ডাকেও ষড়যন্ত্র

এস এম শারফুদ্দিন শাওন
Published : 18 July 2016, 01:04 PM
Updated : 18 July 2016, 01:04 PM

শান্তি প্রিয় মানুষগুলো শান্তি চায়!শান্তির মহাকাব্য রচনা করতে চায়! এ শান্তি আত্মিক কিংবা মৌখিক সে বিষয়টার উপর নির্ভর করে শান্তির রচনায় মনস্থাত্বিক পথচলা। আমরা এমনই এক জাতি দিন দিন কেমন যেন বৈরি আবহ গাযে মেখে মন ও দেহটাকে করেছি স্বার্থের খাচায় বন্ধি। একে অপরের সাথে নেইকো নুন্যতম যোগাযোগ বা আলাপচারিতার মাখামাখি। তবুও সন্ধান করি, চেষ্টা করি একটুকু সুখের পশরায় বদলে দেউক আমাদের সামগ্রিক চেতনাবোধ।

চেতনার রং ভিন্ন ভিন্ন হলেও এক শিবিরে ঐক্যব্দ্ধ হয়ে সমবেত কন্ঠে জয় বাংলার শ্লোগান ধরতে পারলে জয় মোদের অভিসম্ভাবী।কিন্তু এ চাওয়া কতটুকু আলোক উজ্জল পথের সৃস্টি করে সেটা দেখার প্রতিক্ষায় বাংলাদেশ। শ্বাশুরিকে সম্মান দিতে গিয়ে মাকে যেন অসম্মান করা না হয় সেটাও বিবেটনার দাবী রাখে।

ইতিপূর্বে বেগম জিয়ার দল বিএনপি ঘোষনা দিয়েছেন জাতীয় ঐক্য না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিবেন। বিপরীতে সরকারী দল বলেছেন, জামাতকে না ছাড়লে অর্থাৎ দানবের সাথে মানবের ঐক্য হতে পারে না।যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে না,সংবিধান মানে না,পতাকায় সম্মান প্রদর্শন করে না,মুক্তিযুদ্ধ মানেনা,সেই দানরুপী নরঘাতকদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপির শর্তধীন জাতীয় ঐক্যের ডাকে স্পষ্ট প্রতিয়মান হচ্ছে এখানেও একটা পলিটিক্স বা গেইমবিলিং করার অপচেষ্টায় পানি গোলা করার পায়তারা করছে।তাদের বিতর্কতি আবস্থান পরিস্কার করা হলে আশার আলো জাগাতে পারে, তাছাড়া জামাতকে ছেড়ে দিলে জাতীয় ঐক্যেরও দরকার হবে না। কিন্তু এখানেও মেঘাচ্ছন্নতা দেখতে পাচ্ছি। দেখতে পাচ্ছি গোপনে জঙ্গিদের মদদ দিচ্ছেন, পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সাহস বৃদ্ধি করছেন আবার এমনও বলছেন গনতন্ত্র না থাকলে এর চেয়েও ভয়াভহ অবস্থার জন্ম হবে।

গুলশান থেকে শোলাকিয়া হামলার মত বিশ্বের নামীদামী দেশে যেমন কানাডা,আমেরিকা, ফ্রান্সের মত রাষ্ট্রে যখন সন্ত্রসী হামলা হয় তা হলে সেখানেও কি গনতন্ত্রের অভাবেই সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে।সৌদিতে পবিত্র মসজিদে নববীতে বোমা হামলা কি গনতন্ত্র না থাকার ফল,অথচ সেখানে গনতন্ত্রই নেই। এসব খোড়া যুক্তি দেখিয়ে গোপনে আমেরিকার সাহায্য প্রত্যয়ী বিএনপি জামাত আসলে কি চায় সচেতন মহল সেটা বুঝে বলেই তাদের দিবা স্বপ্ন পুরন হতে দিবেনা দেশের জনগন তারাই প্রতিরোধ শক্তিতে বলিয়ান হয়ে রুখে দিবে সব চক্রান্তের বেড়াজ্বাল।

জাতির জনকের ভাষায় বলব এ মাটি বড়ই নরম আবার এ মাটি চৈত্র মাসে রোদ্রের তাপে এমন শক্ত হয় গ্রিনডিং মেশিন দিয়েও ভাঙ্গা যায় না।তাই ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্যে হুশিয়ারী উচ্চারন করতে চাই এ মাটিতে জঙ্গি দখলদার বাহিনীর দালালদের আবাসভূমি হতে পারে না।এ ভুমি শেষরক্তবিন্দু দিয়ে হলেও রক্ষা করবে। যদিও বর্তমান সময়টাতে কিছুটা বিব্রত,সংকিত তবে আতঙ্কিত নই।

কৌশলগত অবস্থানের কারনে জঙ্গি হামলার বাস্তব দৃশ্যে যদিও বাংলা মিডিয়াম, ইংরেজী মিডিয়াম স্কুল, কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তরুন ও মেধাবী ছাত্রদের জঙ্গি সংগঠনে সংযুক্তি লক্ষনীয় এটা এক ধরনের চাতুরতা।মুলত দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করনের জন্য প্রশাসনের নজরধারী ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার জন্য আজ উচ্চবিত্ত মেধাবী তরুনদের সুকৌশলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠি কলকাটি নেড়ে প্রকৃত লক্ষ অর্জনে সচেষ্ঠ।

নর্থসাউথের অধ্যক্ষের বডিলেঙ্গুজ বা বাচন ভঙ্গি কেন যেন আমার মনে খটকা লাগছে???পরিচালনা পর্ষদের দিকেও নজরধারী বাড়ানো প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি।গুলশান হামলার পর বেগম জিয়ার মার্জিত বক্তব্য, জাতীয় ঐক্যের ডাক আমার অবুঝ মন মানতে নারাজ। হঠাৎ করে জামাতের ক্ষমা প্রার্থনার প্রম্তুতি,জামাত বিহীন বিএনপির আগামী রাজনীতির হুজব সবই যেন ধোকাবাজি বা বানুমতির খেল।

পরিশেষে যে তরুনরা না জাগলে সোনালী সূর্যের উদয় হয় না ,সেই তরুনদের রক্ষা করা সমাজের সকল শেনী পেশার মানুষদের এগিয়ে আসার প্রয়োজন।সম্মেলিত প্রচেষ্টায় আমরা হতে পারি বীরের জাতি। মানুষ হত্যা করে বেহেস্তে চলে যাবে এমন চেতনায় লাত্থিমারী।।