ফিরে এসো বাছাধন…

এস এম শারফুদ্দিন শাওন
Published : 5 August 2016, 06:41 AM
Updated : 5 August 2016, 06:41 AM

মা তার সামর্থ্য অনুযায়ী জীবনের সবটুকু সুখ ত্যাগ করে, সন্তানের সুখের ইরামত তৈরিতে নিরলস পরিশ্রম করে এবং তার দেহের সমস্ত শক্তি দিয়ে, মনের মাধুরী মিশিয়ে, সুখ স্বপ্নের আলপনা এটে সাফল্যের সিঁড়িঁ বিনির্মানে ক্লান্ত ম্বপ্ন বিলাসী মমতাময়ী মা । কখনো কখনো সে সন্তানটি অসুস্থ হলে বা দুরারোগ্য কোন ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে জীবন বিসর্জন দিয়ে হলেও মা তার সন্তানের আরোগ্য কামনা করে। আর বড় হয়ে সে সন্তানটি যদি মাকে ভুলে যায় কিংবা আত্মহননের পথে ধাবিত হয় অথবা কোন জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত হয় তখন ঐ মহিয়ষী মায়ের কি অবস্থা হয় বা হয়েছে?

প্রিয় নবী করিম ( সঃ) শিক্ষা মতে মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেস্ত। আজ কিছু কিছু সন্তান সেই বেহেস্তের সন্ধান না করে, নিরিহ নিরাপরাধ মানুষদের হত্যা করে, নিজেও আত্মহত্যার পথ বেচে নিয়ে এ কোন ধরনের বেহেস্তের টিকেট সংগ্রহের ঘৃন্য প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হচ্ছে ? ঐ জঙ্গিবাদী গ্রুপে যোগ দেবার আগে একবারও কি ভেবে দেখেছো তোমার মায়ের ত্যাগের কথা ? তাদের সম্মানের কথা ? নিশ্চিয় না।যদি ভাবতে তাহলে কিছু সংখ্যক তরুন-তরুনীরা ঐ গ্রুপে যোগ দিতে পারতে না।

হে অবুঝ কিউট তারুন্যের প্রতিক,তোমাদের জঙ্গি গুরুদের প্রশ্ন করতে পারো বা পারতে ? যারা তোমাদের শিক্ষা দেয় মানুষ হত্যা করলে ইসলামী খেলাফত কায়েম হবে, বিনা শর্তে বেহেস্তের চাবি তোমাদের হাতে চলে আসবে।ঐ সব জঙ্গি গুরুদের উল্টা জিজ্ঞেস কর তোমরা আমাদের বেহেস্তের সন্ধন দিচ্ছ তবে নিজেরা গ্রহন করছ না কেন ? দেখবে চুপসে যাবে গরুবাদী জঙ্গিরা। নয়তো চাতুরতার ছলে বলবে আমরা চলে গেলে ভিশন পুরন বা খেলাফত প্রতিষ্টার আন্দোলন থেমে যাবে। তাই তোমাদের আত্মহননের মধ্যদিয়ে আমরা স্বর্গ রচনা করতে চাই। বিশ্বে মুসলমান রাজত্ব কায়েম করতে চাই । আজকের আত্ম হত্যার পুরস্কার পরপারে পাবে অনাবিল সুখ শান্তির পশরা।আরো পাবে বেহেস্তের হুর পরি। আমার মনে হয় সেই সুন্দরী হুড় পরীর লালসায় কুপকাত কিউট যুব সমাজের নির্বোধ অংশ। এখান থেকে ফিরিয়ে আনতে মুহাম্মদী ইসলামের অনুসারী, অনুরক্ত তারাই সামাজিক আন্দোলন করে, মসজিদে খুদবা আলোচনায় বা ইসলামী সকল দলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা, বাবা মাকে অধিকতর সচেতনতা অপরিহার্য। যদিও সত্যিকার ইসলাম ঐ সকল মুনাফিকি কার্যক্রম তাদেরকে নরক যাবার রাস্তা তৈরি করছে।নিজ নিজ অপকর্মের দায়ে শাস্তিও অবধারিত।

মা শ্রদ্ধার পাত্র। কল্যানপুরে অবরুদ্ধ জঙ্গিরা নিহত হবার পূর্বে নিজের সার্টিফিকেট আগুনে পুড়ে বলতে শুনেছি এ সার্টিফিকেট চাকর বা গোলামী হওয়া ছাড়া আর কোন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনা। এ শিক্ষা আমাদের মুরতাদ হওয়ার সহায়তা করেছে। তাই ঐসকল সার্টিফিকেট জ্বালিয়ে জন্ম দাতা বাবা মাকেও বিষদগার করতে কুন্ঠাবোধ করে নাই।

ইসলাম বাবা মাকে সর্বেোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করলেও তাদের চেতনায় জাগ্রত বাবা মা সহ পৃথিবীর সকল মানুষ পিপিলিকার মত।আরশোলা টিকটিকির মত কীটপতঙ্গ। অতএব ঐসব কীটপতঙ্গের বাচার অধিকার নাই। তারা বাচলে পৃথিবীতে মুরতাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, তাই তাদরে হত্যা করার জন্য, লালন করা মিথ্য ইসলাম মানুষ হত্যার ইজারা দিয়েছে। পক্ষাস্তরে বাচাধন তোমরা ইসলামকে বিতর্কের মুখোমুখি করে ইসলামের বদনাম করছো। আরে নির্বোধ তোমাদের বিবেক একটু খানি জাগ্রত করো অন্তর দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে দেখ, তোমরা যা করছ তাহা মোটেই কল্যানের নয় অকল্যানের।জান্নাতের নয় জাহারনামের।বাবা মায়ের মনে আঘাত দিয়ে কেহ দুনিয়াতে এবং আখেরাতেও শান্তিতে থাকতে পারে না।তোমরাও শান্তি পাবে না। তোমাদের জঙ্গিপনায় পিতা মাতা হিসাবে আমরাও দায় এরাতে পারিনা।লজ্জায় মাথা অবনত হয়।

সন্তানেরা বিষদগার করতে পারে,অভিযুক্ত করতে পারে কিন্তু মা কখনো অভিশাপ দিতে পারে না,আশির্বাদ করে। যে সন্তানটিকে গর্ভধারন থেকে শুরু করে আজকের দিনটি পর্যন্ত অবিরাম স্নেহ মমতা দিয়ে বড় করেছি, পৃথিবীর নির্মল আলো বাতাসে আদর্শ মানুষ হওয়ার জন্য প্রতিবেশী ও সমক্লাশের গার্ডিয়ানদের সাথে প্রতিযোগীতায় লিপ্ত থেকে সুশিক্ষায় গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি।অাজ অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় কোথাও কোন ভুল করেছি।ভুল হয়ে থাকলে সংশোধন পূর্বক মায়ের বুকে ফিরে আয়,তোদেরও ঘুমন্ত বিবেক জাগ্রত করে ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে আদর্শ রাষ্ট গঠন করি।যেখানে থাকবে না কোনরুপ বৈরিতা,থাকবে কেবল সহমর্মিতা।ওদের জ্ঞান দাও প্রভু ক্ষমা কর।মায়ের অনাবিল হাসি শেয়ার কর।

মনে রাখা দরকার আত্মহত্যা,নর হত্যা,গুপ্ত হত্যা, বিশেষ করে বাবা মাকে অসম্মান করা,নৈতিকতার লঙ্গন করা ইসলাম সমর্থন করে না। পরিপুর্ন ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় উল্লেখীত গুনের ব্যত্তয় গঠলে তাকে ইসলামী লোক বলা যায় না। সে হল এক আতংকের না জঙ্গি। জঙ্গি হতে সাবধান,ইসলামী বিধি বিধান।