আমার প্রিয় বিজ্ঞানী এপিজে আব্দুল কালামের সাথে কিছুক্ষন

হাসানুজ্জামান তালুকদার
Published : 20 Oct 2014, 03:44 AM
Updated : 20 Oct 2014, 03:44 AM

কিছুদিন আগে একটি সংবাদ আমার দৃষ্টিগোচর হলো যে ইন্ডিয়ার ১১তম রাষ্ট্রপতি এবং বিশ্বখ্যাত পদার্থবিদ ও মহাকাশ বিজ্ঞানী এপিজে আব্দুল কালাম আসছেন বাংলাদেশে। মেট্রোপলিটান চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিস (এমসিসিআই) এর ১১০তম বর্ষপুর্তিতে তারা এই মহান বিজ্ঞানীকে আমন্ত্রন জানাচ্ছে।

আমি এমসিসিআইএর অফিসে টেলিফোন করে বললাম; আমি একজন লেখক এবং বিজ্ঞান গবেষক। আমার কিছু প্রকাশনাও আছে তাই আমি এপিজে আব্দুল কালাম স্যারের প্রোগামে অংশ নিতে চাই।

আমি অফিসে গিয়ে দেখা করলাম।

যাইহোক, এমসিসিআই আমাকে একটি কার্ড দিলো এবং বললো, প্রোগামে আপনার অংশগ্রহনের ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি তবে সেখানে গিয়ে কিভাবে এপিজে আব্দুল কালাম স্যারের সাথে দেখা করবেন সেটা আপনার দায়িত্ব। সেখানে অনেক হাই সিকিউরিটি পরিবেশ তৈরী হবে তাই এমন কোন আচরন করবেন না যেন আমাদের বিব্রত হতে হয় কারন আপনাকে আমরা পাঠাচ্ছি।

আমি বললাম; আগেও আমি বেশকিছু হাই প্রোফাইল ব্যক্তিদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেছিলাম, যেমন; ড. গওহর রিজভী, তিন বাহিনী প্রধানগন, সাবেক তত্বাবধায়ক সরকার প্রধান ফকরুদ্দিন সাহেবের প্রোগ্রামে, ইত্যাদি।

অত:পর ১৭ অক্টোবর ২০১৪ ইং তারিখ সন্ধ্যেয় ঢাকার প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওএ এমসিসিআই আয়োজিত ড. এপিজে আব্দুল কালাম স্যারএর ইউথ ডায়ালগ প্রোগামটিতে অংশগ্রহন করেছিলাম। অনেক অনেক ভালো লেগেছে। এতবড় একজন বিজ্ঞানীকে কাছ থেকে দেখতে পারা আমাকে বিমোহিত করেছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ষোলটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাতশত ছাত্র অংশগ্রহন করেছিলো। অনুষ্ঠান শেষে তিনি যখন বলরুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন আমি তার সামনে গিয়ে দাড়ালাম আমার সাইকোহিস্ট্রিক্যাল ফিজিক্সের বই এবং প্রেজেন্টেশনের সিডিটি নিয়ে। তার একান্ত ব্যাক্তিগত সহকারীর সাথে আমাকে আগেই পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এমসিসিআই'এর ফারুক স্যার এবং ফারুক স্যারের সাথে আবার আমার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এমসিসিআই'এর আলম স্যার ও সাকিব কোরেইশি ভাই যিনি আমাকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে একটি ইনভাইটেশন কার্ড পাইয়ে দিয়েছিলেন।

প্রথমবার ব্যর্থ হবার পর, ড. কালাম স্যারের পিএস আমাকে তার কাছে নিয়ে গিয়ে বইটির কথা বললো ও আমিও তাকে আমার বইটি বাড়িয়ে দিলাম। একজন সিকিউরিটি বইটিতে হাত দিয়ে বললো; বই দেয়া যাবে না।
আমি খুব অবাক হলাম। কে একজন পাশ থেকে বললোঃ একটি বই দিলে কি হবে?

তখন ড. আব্দুল কালাম স্যার আমার হাত থেকে বইটি নিয়ে বললেনঃ Prime Radiant! I will read it.
আমি বললাম: Sir, this is Psychohistory. It is Study of Future Prediction, as Calculus is Study of Change.

আমি আর কিছু বলার সুযোগ পাই নি, অতঃপর আমার সিডিটা দিলাম।

আমি চেয়ে দেখলাম, তার পিএস আমার দেওয়া বই এবং সিডিটা আব্দুল কালাম স্যারের ব্যাগে ঢুকিয়ে নিলেন। আমিও তাদের সাথে কিছুক্ষন হেটে সামনে এগিয়ে গেলাম। অত:পর তারা লিফট ধরে উপরে উঠে গেলেন।

ফিরতিপথে লবিতে মুখোমুখি হলো সামিট গ্রুপের চেয়্যারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান।
-স্যার, কেমন আছেন?
-ভাল। আপনী ভালো আছেন তো?
-জ্বী স্যার ভালো আছি।

আমার সেই প্রজেন্টেশনের স্লাইডগুলি এখানে আপলোড করে দিলাম এবং অরিজিনাল পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনটি কেউ চাইলে ডাউনলোড করেও নিতে পারবেন এই লিংক থেকে: http://blog.bdnews24.com/wp-content/uploads/2014/10/Physics-of-Noble-Materials.pptx

আমার বইটির নাম; Prime Radiant da Luxuries Physics: Hatashe's Hypothesis and the Principle Mathematics of Applied Psychohistory. এবং বইয়ের অনলাইন ভার্সন পড়তে এখানে ক্লিক করুন: https://sites.google.com/site/primesradiant

Power Point Presentation of Physics of Noble Materials

Physics of Noble Materials: The Life Simulation Device "Obama" of Commonwealth System; Wherever Commonwealth, Internet & Telecom System is the Life Simulation Platform and Obama, Computer & Mobile Phone is their Prime Radiant Devices.

অনেকের হয়তো আগ্রহ জাগতে পারে। প্রজেক্ট সেলডন প্রোগ্রামস এন্ড দ্যা প্রিজম, এটা কি?
এই বিষয় নিয়ে সম্ভব হলে অন্য একদিন লিখবো।