সকল চাকরিতে মেধার মূল্যায়ন বাড়ানো প্রয়োজন, বিশেষত সরকারি চাকরিতে। আমাদের স্বাধীনতা লাভের পর প্রায় অর্ধশতক ছুঁই ছুঁই অবস্থা। অথচ আমরা এখনো সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে মেধা ও কোটার যৌক্তিক একটা অবস্থান নির্ধারণ করতে পারিনি।
১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর আমরা যৌক্তিক কারণেই মুক্তিযুদ্ধের সৈনিকদের অগ্রাধিকার দিয়ে বিসিএস সহ সকল সরকারি চাকুরিতে কোটা ব্যবস্থার পত্তন করা হয়েছিলো। কিন্তু বর্তমানে তো মুক্তিযোদ্ধারা আর চাকুরি প্রত্যাশী নন। তবে হ্যাঁ, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা নাতি-নাতনিরা এখন চাকরি প্রত্যাশী। উত্তরাধিকারীরা তুলনামূলকভাবে ভালো থাকলে এটা প্রকারান্তরে মুক্তিযোদ্ধাদেরই ভালো থাকা হয়।
অন্যদিকে সরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে মেধাবীদের মূল্যায়নও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। কারণ, মেধাবীদের পদায়ন ব্যতীত রাষ্ট্র যন্ত্রের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য সম্ভব নয়। তাই মেধাবীদের মূল্যায়ন ও কোটা ব্যবস্থার মধ্যে সামঞ্জস্য নিয়ে রাষ্ট্রকে আরো গভীরভাবে ভাবতে হবে।